বসন্ত এলে

বসন্ত এলে
দেবপ্রসাদ জানা

লাল আবিরের ছোঁয়া লেগেছে গগনে।
অবাক ফাগুণ চেয়ে, দেখে আনমনে ।
পাতা ঝরে, শব্দ পাই, সোনাঝরি বনে।
কথা বলে ঝরা পাতা,  সবুজ কাননে।

পাথর-প্রাণে জমেছে, প্রত্যাশা-শিশির। 
পৃথিবী ভরা খুশির,  উৎসবে আবির-
বসন্তের গায়ে লেগে, বড়ই অস্থির।
ঝটিকা আকাশে নীল, হয়েছে গম্ভীর। 

জীবনের বর্ণময় ,সোনালী রোদ্দুর-
ডানা মেলে উদাসীন. যাবে কতদূর?
আকাঙ্ক্ষার চাঁদে দেখি, জ্যোৎস্না ভরপুর।
রূপালী জোছনা করে,  সোহাগ প্রচুর।

বুকের ভেতরে জন্মে, বাসনার নদী।
সে বসন্তে তুমি ছিলে, আজ থাকো যদি,
আগুন হয়ে ফাগুনে, পার হবো নদী।

বন্ধনের সুতোটায় পড়ে ছিল, টান।
প্রেমের চন্দন মেখে গেয়ে ছিলে গান।
পলাশের বনে ফুল করে অভিমান।
শাশ্বত নক্ষত্র আলো জ্বেলে দিয়ে যান।

প্রত্যাশা পীড়িত হই, আমি অনাদরে,
বসন্ত এসেছে, তাই, প্রণত রোদ্দুরে, 
বিছিয়ে বিষণ্ণ পাতা, নিজের ভিতরে, 
শুষ্ক পাপড়ি ছড়িয়ে,বসে আছি ঘরে।

তোমার গন্ধ আমার,  ঘুমন্ত মুকুল। 
জেগেছে ঘুমিয়ে থাকা,প্রেমের বকুল।

Comments

Popular posts from this blog

দুঃখটাকে এবার

মহাঋষি শুক্রাচার্য্য

গিরিশ চন্দ্র ঘোষ