নিশ্চল পৃথিবীর দিকে
নিশ্চল পৃথিবীর দিকে
দেবপ্রসাদ জানা
দুহাতের মুঠোয় ধরা, বিষাক্ত বাতাস,
চৈত্র নয় বৈশাখের মধ্যাহ্নে।
দাঁড়িয়ে আছো বোধের জোছনা মেখে ঘুমিয়ে পড়া,
পাথরের মতো, তুমি নীবর নিশ্চল।
কী ভাবে ভাঙাবো ঘুম?
লাল নীল সবুজ কালো কত রঙের বিষ
মিশে যাচ্ছে বাতাসের সাথে,
ভাঙচুর ভিতরে ভিতরে ভারসাম্যহীন খেলা,
পাথর হয়ে থাকা, জীবনের প্রতিটাক্ষণ কীভাবে---
অপার্থিব তামাসাটুকু বুঝে নিতে জীবন গেলো-
মৃত্যুর স্রোতে বেঁকে।
কালের বল্মীক কুরে কুরে খেল মন,
কত অন্তরঙ্গ কথা হলো মৃত নক্ষত্রে বসে,
কত তারা গেলো খসে, অজান্তে আচম্বিতে।
আমাকে নিঃশব্দে ফেরালে ঘুমে,
অচেনা কঠিন স্বরে, ডেকে ওঠা পাখির কর্কশকণ্ঠের, গানে...
তোমার আত্মরব আসে শূন্য মহাশূণ্য হতে,
আমি দিকভ্রান্ত, ঝিলের জলে ডুবে যাওয়া চাঁদের তরঙ্গ হওয়া দেখি।
চির অস্তমিত সূর্যের দেশ কামনার আধার-
বিষের পসরা সাজিয়ে প্রতিদিন-
প্রতিক্ষণে মেঘ আসে।
কী আশ্চর্য? সেই বোধহীনতার মরারোদে
মৃত্যুর-আঙিনা সেজে উঠেছে।
সহস্র দয়ার খুলে দাঁড়িয়ে আছি,
প্রত্যাশিত ভোরের ফুল হাতে ।
এক অবরদ্ধ স্তব্ধতায় আমাকে শূন্যে নিয়ে যাবে
কেউ নিশ্চল পৃথিবীর দিকে !
Comments
Post a Comment