কাব্যগাথা

    কাব্যগাথা

দেবপ্রসাদ জানা

  ০২.৮.২০২১


হয়তো বহু দূরের তারা গুলো,কোনদিন-

অন্ধকার পৃথিবীকে আলোকিত করতে পারেনি।অন্ধকার আকাশে স্বপ্নময় দ্যুতি।

একটা চাঁদ যখন অন্ধকার পৃথিবীর অর্ধদেহ -

জোছনার আলোয় আলোকিত করে,

আকাশ ভরা মিটিমিটি তারা ঝিলমিল করে,

অপুর্ব তার মনোহরা রূপ।

হয়তো কচিকাচা শিশু গাছ-

পৃথিবীকে সবুজ চাদরে ঢেকে রাখা তৃণ-

পর্যাপ্ত অক্সিজেন দিতে পারে নি,

তবু জড়িয়ে থাকা সবুজ তৃণ,

বিস্তৃত প্রান্তর,ধু ধু করা মাঠের ওপর, সুন্দর।

নিস্তেজ,বিবর্ণ পাহাড় পর্বত, মরুভূমি-

পৃথিবীর প্রাণী, কীট বা জীবাণু,

পৃথিবীকে রূপসী করেছে।

নির্জন জীবনের,সন্ধ্যা রাতের জোছনা

মেঘের প্রাচীর ভেঙ্গে সহসা হাঁপাতে হাঁপাতে পৌঁছায় জনপদে-

পর্বত শিখরে,অন্ধকারে দেখতে না পাওয়া -

কালো সবুজ গাছের ওপর।

বড়পথ, রাজপথ দুপাশে বাড়ির সারি-

অভূতপূর্ব সৌন্দর্য্য।

শহর আছে অথচ শব্দ নেই,

গ্রাম আছে নির্জনতা নেই,

বিস্তৃত ময়দানে নিঃসঙ্গতা নেই,

দুপাশে তাকিয়ে দেখা শুনশান ছমছমে বাঁশবন।

তার ভিতরে অলৌকিক ভুতের ভয়-

জীবনে কোন সাড়া পড়েনি?

কাক পক্ষী পিপীলিকা,

পশুদের ডাক,মেঘের গর্জনে-

কলম তখন সাদা খাতায় কবিতার ঝড় তোলে,

কবির মনে ফুটে ওঠে, প্রেমের লাল গোলাপ।

কিভাবে কোন জাদুবলে,কলমের ঠোঁটে 

কবিতার মধু ঝরে?

যে গ্রহে বাস করি,তার যে এত রূপ,

এত মুগ্ধতা,সমুদ্রের তরঙ্গ,

নদীর কলকল শব্দ-

শহরের ভিড়,ধুলো,চিৎকার,কূটকাচালি

প্রতিদিনের সংসার,অবাধ্য পরকীয়া প্রেম,

কলমের পেট ফেঁপে ফুলে উঠে,

সাদা পাতায় জন্ম নেয় গল্প কাব্যগাথা।


Comments

Popular posts from this blog

দুঃখটাকে এবার

মহাঋষি শুক্রাচার্য্য

গিরিশ চন্দ্র ঘোষ