ঈশ্বর ও মানব

 ।।ঈশ্বর ও মানব।।

।।দেবপ্রসাদ জানা।।

     ৩০.৩.২০২১

কেমন আছো?সকলে বলবে না আর -

কেউ কেউ ইতিহাস খুলেই বসবে

এদিক ওদিক দেখে বলবে তখন-

রাত হতেই,দেহের বাসনা বাড়বে-

দিনের আলোয় চোখ সভ্যভব্য থাকে।

সমাজের সঙ্গে তার পরিচয় নেই।

ইতিহাস হয়ে গেছে শৈশব,দেহের।

শরীরে ভোগ বাসনা বাড়ছে-বাড়ছে 

লোভ। ঐ গনিকালয়ে,দরজা আগলে

দাঁড়িয়ে থাকা মহিলা বাড়ছে-ক্রমশ।

মনুষ্যরূপী ঈশ্বর যে বলেছিলেন-

ভোগবাসনা ক্রোধ ও,লোভ ত্যাগ করো?

দিনের শেষে অঙ্কটা এক থেকে গেছে।

এই জড়দেহে নাকি ভগবান আছে?

কোথা?এখনো দেখিনি,তার মায়াকায়া।

খবর নিয়ে দেখোতো,কোন দেহে আছে

সেই ভগবান,নাকি ভয়ে লুকিয়েছে।

বছরে প্রতিটা মাসে,আতঙ্কেরা ডাকে

কখনো অন্ধকারের ছায়া হয়ে আসে,

কখনো স্বজন বন্ধু,হাত ধরে টানে-

প্রত্যক্ষভাবে পরোক্ষে এই আমরাই

সাধারণ মানুষেরা,খেতে না পাওয়া-

ঝুপড়ির ঘরে থাকা,ফুটপাতে আর-

লাইনের ধারে থাকা নিকৃষ্ট জীবন।

কেন জন্মালাম এই ধরণীতে,কেন?

কেন পাঠাল এখানে,মৃতদেহ করে।

কোন রাজকার্য আছে,এ জড়দেহের

স্রষ্টার কাছে একটা প্রশ্ন ছিল আজ,

প্রতিশ্রুতি দিলে বলি,উত্তর দিতেই

হবে,তোমাকে এবার,তুমি যদি থাকো

মানব দেহে তাহলে,অসুর ও তুমি-

আর ঈশ্বর ও তুমি। জগত সেবায়-

আর কত মতি দেবো,মানব দেবতা?

সকল জন্মের পর সেরা জন্মই তো

মানব জন্ম তাইতো। রূপ গুন বুদ্ধি

একটা বিশাল মাথা,ঘাড়ের ওপর

রাখা,বলতো এবার,অসুরের দেহ

চিনব কেমন করে?তুমিতো রয়েছ

তার ভেতরে,মানব শরীরে ঈশ্বর।

যে অন্তর্গত সংলাপে প্রচ্ছন্ন আড়াল

থাকে,পাখির ডানায় বাঁধা অন্তহীন 

বাতাস,চৌকাঠ পার হতে ভয় লাগে।

রক্তের ভিতরে রক্ত দিয়ে একবার

কবিতায় আত্মদানে তার প্রতিদান।

অফুরান,কালরাত্রী যেন অফুরান।

ঈশ্বরই প্রেমময় আবার দানব।

মানব দেহেই আছে,অমৃত ঈশ্বর-

অসুরও আছে তার,নশ্বর শরীরে।


                   

Comments

Popular posts from this blog

দুঃখটাকে এবার

মহাঋষি শুক্রাচার্য্য

গিরিশ চন্দ্র ঘোষ