অহংকার

অহংকার 

একদিন ত্রিভুবন বিজয়ী বীর রাবণ ভাবলেন তার এই রমরমা এত ঐশ্বর্য এতো রত্নধন অথচ তার আরাধ্য দেবতা মহাদেব নিঃশব্দে নির্জনে সুদূর কৈলাশে নিঃস্ব রিক্ত ভাবে পড়ে আছেন, তাকে তিনি সোনার রাজপ্রাসাদে এনে রাখবেন, যেই ভাবা সেই কাজ, কৈলাশে গিয়ে দেবাদিদেব মহাদেবের নিকটে অতি অহংকারের সহিত বললেন, হে প্রভু আপনি কেন এই নির্জনবাস করছেন চলুন আমি আপনাকে আমার রাজপ্রাসাদে অতি সুখে রাখবো। কিন্তু মহাদেবের থেকে কোনো উত্তর না পেয়ে ভাবলেন, আমার যা শক্তি আছে পুরো পর্বতটাকেই তুলে লঙ্কায় নিয়ে যাবেন। রাবণ তার শক্তি দিয়ে দুই হাতে কৈলাশ পর্বত তুলতে গেলেন, পর্বতে নাড়া পড়তেই সারা পৃথিবী যেন নড়ে উঠলো, পর্বতের তলদেশে হাত ঢুকিয়ে রাবণ তুলতে যাবেন, তখন দেবাদিদেব মহেশ্বর একটু মুচকি হেসে, তার পায়ের বুড়ো আঙুল দিয়ে পর্বতটাকে একটু চাপ দিতেই লঙ্কেশ্বর রাবণের হাত পর্বতের নিচে আটকে গেল, বহু চেষ্টা করেও হাত বের করতে পারলো না, তখন সেই অহংকারী রাবণ শিবের ধ্যান করে শিবকে তুষ্ট করে নিজের হাত বের করল। এবং সেখান থেকে মাথা নিচু করে চলে এলেন। কিন্তু তার মন খুঁতখুঁত করতে লাগল, মনের অজান্তেই সে তার আরাধ্য দেবতার মনক্ষুন্ন করেছেন, তাই তিনি শিবকে তুষ্ট করার একটি মন্ত্র রচনা করলেন, শিব তাণ্ডব।

Comments

Popular posts from this blog

দুঃখটাকে এবার

মহাঋষি শুক্রাচার্য্য

গিরিশ চন্দ্র ঘোষ