শুভেচ্ছা বার্তা

শুভেচ্ছা বার্তা 

একুশ শতকে পৌঁছে যখন আমরা মহাকাশে স্টেশন তৈরির পরিকল্পনা করছি, এমন কি স্বর্গের সিঁড়ি তৈরি করার মতো প্রকল্পের কথা ভাবছি, ভবিষ্যতে নতুন নতুন আবিষ্কারের সম্ভাবনায় মগ্ন রয়েছি, সারস্বত জগতে যখন নিত্য-নতুন বিষয় বিকশিত হচ্ছে, প্রগতিশীলতার যুগে কবিতার বই নিয়ে হইচই বা কবিতা নিয়ে ভাবার মতো সামান্য বিষয় সত্যিই ধৃষ্টতা। কিন্তু কথা হচ্ছে, প্রগতি মানে যদি সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া বোঝায় তবে তা তখনই সম্ভব, যখন পেছন থেকে আলো এসে সম্মুখের পথকে আলোকিত করে। 
বাঙ্গালা সাহিত্যের আর যে কিছু অভাব থাকুক, কাব্যের অভাব নেই। বিদ্যাপতির সময় হইতে আজ পর্যন্ত, বাঙ্গালী কবিরা কাব্যের বৃষ্টি করে আসছেন। এ মহাসমুদ্রে শিশিরবিন্দু প্রয়োজন হয়তো ছিল না। আমার বিশ্বাস আছে যে, অনেক স্থানে পদ্যের অপেক্ষা গদ্য কাব্য উপযোগী। বিষয় বিশেষে  কাব্যের উপযোগী হইতে পারে, কিন্তু অনেক স্থানে গদ্যের ব্যবহারই ভালো। যে স্থানে ভাষা ভাবের গৌরবে আপনা আপনি ছন্দে বিন্যস্ত হইতে চায়, কেবল সেই স্থানেই পদ্য ব্যবহার করা ভালো । নহিলে কেবল কবিনাম কিনিবার জন্য ছন্দ মিলাইতে বসা এক প্রকার সং সাজিতে বসা। কাব্যের গদ্যের উপযোগিতার উদাহরণ স্বরূপ  কবিতার মাধ্যমে সেই পথকে আলোকিত করতে কবি সৌমেন কুমার চৌধুরীর কাব্যগ্রন্থ "বিটি" রম্য রচনা "ঘুমের ফেরিওয়ালা " "মশার বিয়ে" এর মতো বই পড়েছি। এই প্রতিবাদী রচনা বাংলা সাহিত্যে দুর্লভ। তাঁর এই প্রতিবাদী চরিত্র কখনো কখনো বিপদ ডেকে এনেছে, তাই  "নীল খাম" প্রকৃতি প্রেম প্রতিবাদে ভরা এই বইটি "নীল উল্কা" ছদ্মনামে তার আরো একটি কাব্যগ্রন্থ  আগামীকালের পথ আলোকিত করবে এই আশা রাখি। 
শুভেচ্ছান্তে 

দেবপ্রসাদ জানা


Comments

Popular posts from this blog

দুঃখটাকে এবার

মহাঋষি শুক্রাচার্য্য

গিরিশ চন্দ্র ঘোষ