হে ঘোর রজনী,
হে ঘোর রজনী
দেবপ্রসাদ জানা
হে ঘোর রজনী,
কৃষ্ণবর্ণ তমসাচ্ছন্ন মেঘের ঘনঘটা,
আঙ্গিনার কোণে আমি একলা নিঃসঙ্গ।
তোমার বিদ্বেষে আমার প্রাণ ফাটে।
হে সই তমসা, কি আর বলিব তোরে,
হে অভিমানী, দূরের স্টেশনে দাঁড়িয়ে
ভয়ঙ্কর অভিমান বুকে নিয়ে,
কেন অপেক্ষা করো নীরবে নিভৃতে।
যে কৃষ্ণচূড়ার নিচে দিবসে তোমার দু’চোখে !
নীল জলরাশি রোদ্দুরে উন্মুখ,
দুলে উঠতো অশান্ত হাওয়ায়,
ছুটে যেতো দক্ষিণ দিগন্তে ।
কিছুই তো অবশিষ্ট নেই,
বড় বড় চোখ দুটি ছাড়া,
তাকালে মনে পড়ে-
তোমার নির্মমতায় স্বপ্নের সমাধি।
এখনো উঠানে শীতের তমিস্রা,
অপরাহ্নে তোমার স্পর্শে-
গোধূলির বিমর্ষ আলোয় পড়ে আছি
কখন হারাবো রাত চাপচাপ অন্ধকার
তার প্রতীক্ষায় ।
পরিশ্রান্ত ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছি
বাতাসের হিম সম্ভাষণে।
মনে পড়ে কত রাত জেগে,
ঘুমচোখে প্রিয় শব্দের আশায়
চোখে আশার আলো জ্বালিয়ে
জোসনাময় পথে অপার বাৎসল্যে
উঠোনে আজ পৌষের চাঁদ ওঠেনি
বারান্দায় আশ্চর্য গহিন কণ্ঠে কে যেন
বড় আদরে রাত্রির দরজা খুলে প্রভাত
নিয়ে এলো বুকের নিবিড় আশ্রয়ে।
Comments
Post a Comment