চারযুগ

      চারযুগ

দেবপ্রসাদ জানা

   ২৭.৫.২০২১


উপনিষদের কথা অমৃত সমান।

মনপ্রাণধ্যান সহ শোনে পূন্যবান।।

ব্রহ্মার মানস কন্যা, সরস্বতী নামে।

বিদ্যাদেবী সরস্বতী,প্রকৃতির ধামে।।

জীবকুল পৃথিবীতে অত্যাচার করে।

বারে বারে রূপভেদে ঝড় বৃষ্টি ঝরে।।

অবাক ব্রহ্মার মন,সৃষ্টি তার দেখে।

এমন সুন্দরী বুঝি,দেখে নাহি চোখে।।

চোখে চোখে রাখে ব্রহ্মা চর্তুদিকে মুখ।

দেবীর রূপের গুনে ভরিল যে বুক।।

স্বর্গমর্ত পাতালের রমনীর নেশা।

কামনা বাড়িল কামে ব্রহ্মার সহসা।।

রূপে মুগ্ধ সয়ম্ভুর যন্ত্রণা বাড়িল।

সরস্বতী বিনা বুঝি জীবন ছাড়িল।।

সঙ্গমের তরে ব্রহ্মা চারদিকে খোঁজে।

আপন কন্যার দেহে,কাম ভরে লাজে।।

জন্মিল অসুর দেব,জন্মিল মানুষ।

ঘুমেতে মুদিল আঁখি,রহিল না হুঁস।।

দেবকুল অসুরেরা পারে না মানতে।

ধ্বংস হলো জীবকুল,ব্রহ্মার অজান্তে।।

ঘুম থেকে উঠে ব্রহ্মা দেখেই অবাক।

কোথায় সাধের জীব,দেখে হতবাক।।

পূনরায় লিপ্ত হলো সঙ্গমে আবার।

জীবকুল সৃষ্টি করে,নিদ্রা চারবার।।

চারযুগ সৃষ্টি করে,ঘুম দিতে যান।

ঘুমিয়ে আছেন পিতা,হেথা যায় প্রাণ।।

ধ্বংসলীলা শেষ হলে উঠিবেন পিতা।

জগৎ সৃষ্টির তরে,সরস্বতী মাতা।।

ব্রহ্মার ঘুমের কাল,এক এক যুগ।

ঘুম ভাঙলেই জেনো,ধ্বংসের অসুখ।।

ধ্বংসলীলা চলে দেখো,পৃথিবীর বুকে।

ঘুমায় সৃষ্টির দেব, কে ডাকিবে তাকে?

উপনিষদের কথা অমৃত সমান।

মনপ্রাণধ্যান সহ শোনে পূন্যবান।।


Comments

Popular posts from this blog

দুঃখটাকে এবার

মহাঋষি শুক্রাচার্য্য

গিরিশ চন্দ্র ঘোষ