Posts

Showing posts from March, 2021

ফাগুনের নেশা

 ।।ফাগুনের নেশা।।  দেবপ্রসাদ জানা   ২৭.৩.২০২১ অন্ধকারে স্মৃতিহীন,টুকরো আকাশ,  অগ্নিবানে অমৃতের,মহামুল্য প্রাণ - মুহূর্তেই বুকফাটা,ক্রন্দনের ত্রাস। ঘরের ঠিকানা ভুলে,স্বার্থপর ত্রান। তখন চোখের জল মুছে,একবার ভোরের সকালটাকে,চুরি করে নিয়ে। পলাশে আগুন জ্বেলে,বসন্ত আবার এসেছে লাল মাটির,নিমন্ত্রণ পেয়ে। অবেলায় সোনাঝুরি ,ঝিমঝিম রোদে কোপাইনদে সাঁতার কেটে হবে পার। অশোক পলাশ বনে,খোয়াই বিবাদে- আকাশ পথে অশান্তি,ঠেকায় কে আর? পলাশে আগুন লাগে,হৃদয়ের নেশা বসন্ত আবার এলো,কবিতায় মেশা।।

ঈশ্বর ও মানব

 ।।ঈশ্বর ও মানব।। ।।দেবপ্রসাদ জানা।।      ৩০.৩.২০২১ কেমন আছো?সকলে বলবে না আর - কেউ কেউ ইতিহাস খুলেই বসবে এদিক ওদিক দেখে বলবে তখন- রাত হতেই,দেহের বাসনা বাড়বে- দিনের আলোয় চোখ সভ্যভব্য থাকে। সমাজের সঙ্গে তার পরিচয় নেই। ইতিহাস হয়ে গেছে শৈশব,দেহের। শরীরে ভোগ বাসনা বাড়ছে-বাড়ছে  লোভ। ঐ গনিকালয়ে,দরজা আগলে দাঁড়িয়ে থাকা মহিলা বাড়ছে-ক্রমশ। মনুষ্যরূপী ঈশ্বর যে বলেছিলেন- ভোগবাসনা ক্রোধ ও,লোভ ত্যাগ করো? দিনের শেষে অঙ্কটা এক থেকে গেছে। এই জড়দেহে নাকি ভগবান আছে? কোথা?এখনো দেখিনি,তার মায়াকায়া। খবর নিয়ে দেখোতো,কোন দেহে আছে সেই ভগবান,নাকি ভয়ে লুকিয়েছে। বছরে প্রতিটা মাসে,আতঙ্কেরা ডাকে কখনো অন্ধকারের ছায়া হয়ে আসে, কখনো স্বজন বন্ধু,হাত ধরে টানে- প্রত্যক্ষভাবে পরোক্ষে এই আমরাই সাধারণ মানুষেরা,খেতে না পাওয়া- ঝুপড়ির ঘরে থাকা,ফুটপাতে আর- লাইনের ধারে থাকা নিকৃষ্ট জীবন। কেন জন্মালাম এই ধরণীতে,কেন? কেন পাঠাল এখানে,মৃতদেহ করে। কোন রাজকার্য আছে,এ জড়দেহের স্রষ্টার কাছে একটা প্রশ্ন ছিল আজ, প্রতিশ্রুতি দিলে বলি,উত্তর দিতেই হবে,তোমাকে এবার,তুমি যদি থাকো মানব দেহে তাহলে,অসুর ও তুমি- আর ঈশ্বর ও তুম...

চিনতে পারবে আমাকে

 ।।চিনতে পারবে তো আমাকে।। তোমার বাড়িতে যাবো একদিন। যেদিন সূর্যের তাপ একটু কম থাকবে। বসন্তের ফুল গুলো হলুদ হয়ে থাকবে। বাতাসে ছাতিম ফুলের গন্ধ থাকবে। রাস্তায় রঙ আবীরের খেলা হবে। গানের সুর বাজবে মোড়ে মোড়ে। সেদিন যাবো তোমার বাড়ি। অনেক দিনের সাধ আমার,  তোমার বাড়ি যাবো। আড়ালে আবডালে,পর্দার আড়ালে  তোমার হাতটা ধরে বলব ভালোবাসি। সেদিন কি তুমি চিনবে আমায়? আধা কাঁচা-পাকা চুল দাড়িতে, চোখে মোটা ফ্রেমের চশমায়? চিনতে পারবে তো আমায়? নাকি, না চেনার ভান করবে সেদিন? করতেই পারো,আরতো সেই টান নেই তোমার। তবু যাবো তোমার বাড়ি, দেখবো তুমি কেমন আছো?  তুমি কি সেই আগের মতোই আছো? অগোছালো চুল,হালকা লাল লিপস্টিক। গলায় সরু চেন। আচ্ছা আমার দেওয়া মুক্তোর হারটা সেটা পরেছ কখনো? অবশ্য ফেসবুকে একটা ছবি দেখেছিলাম  সেখানে একটা মুক্তো হার গলায় ছিল তোমার। সেটা কি সেইটা? কি জানি?  তুমি কি আজো - মনে রেখেছ আমায়? নাকি-এই বদলে যাওয়া প্রকৃতির মতো - তুমিও বদলে গেছো অনেকটা?

তোমার জন্য

 ।।তোমার জন্য।।  দেবপ্রসাদ জানা কলমের প্রেমে,সাহিত্যের টানে    শব্দের গভীর ভালবাসায়, শব্দহীন দ্যোতনায়, প্রকৃতির সবুজ চাদরে, মেঘের আড়ালে থেকে- এতদিন শুধু তোমাকে আদরে গড়েছি ।  কবিতার সাথে গড়ের মাঠে,  ভিক্টোরিয়ার চাতালে, ঘরের চিলে কোঠায়, মোবাইল ফোনের পর্দায়,  পরকীয়া করেছি,ভালোবেসেছি,   মহাকাব্যের পাতায় পাতায়,  অবৈধ সম্পর্কের-গল্প শুনেছি,  শব্দ চয়ন করেছি, ভালোবাসার- শুধু তোমার জন্য।  চাঁদ সদাগরের কাহিনী পড়েছি, ঢেউ এর দোলায় দোলায় – মেঘের ছায়ায়।  পানকৌড়ির ঘরে বসে-  মাছ ধরার কৌশল শিখেছি, পুষ্করিণীর অলিন্দে,   তোমাকে ধরবো বলে।  কচুরিপানায় ঢাকা কালো জলে, সারা শরীর জুড়ে পাঁকের গন্ধ মেখে- শোল, মাগুর, শিঙি, মাছ ধরা তাও শিখেছি।   পিঁপড়ের কাছে শৃঙ্খলার জ্ঞান নিয়েছি – তোমাকে পাবো বলে,শুধু তোমার জন্য।

অশ্রুর আলপনা

 ।।অশ্রুর আলপনা।।   দেবপ্রসাদ জানা আমি আমৃত্য বাঁচব,তোমার আঘাতে, আমার নয়ন জলে,আলপনা দেবো- তোমার হেঁটে যাওয়া, অমুসৃণ পথে। ওখানে পথের কাঁটা,বুকে তুলে নেবো। ছবির তলে,প্রত্যহ ফেলি অশ্রজল তুই নেই,ভাবতেও পারি নাযে আর, জীবন সম্মতি দেয় না কি করি বল? অনুভূতিরা আহত, হৃদয়ে আমার। অশ্রুর আল্পনা তবু,যায় নি শুকিয়ে, দগ্ধ হৃদয় তবুও,থাকে অবিচল। অনুভবের আয়না,গিয়েছে হারিয়ে, একফালি জীবন যে,বড়ই চঞ্চল। জীবন অকালে যাবে,ভাবে বোধ হয়। একটুকরো জীবন, মুল্য অত নয়।

সনেট।। ফাগুনের নেশা।।

 ।।ফাগুনের নেশা।।  দেবপ্রসাদ জানা অন্ধকারে স্মৃতিহীন,টুকরো আকাশ,  অগ্নিবানে অমৃতের,মহামুল্য প্রাণ - মুহূর্তেই বুকফাটা,ক্রন্দনের ত্রাস। ঘরের ঠিকানা ভুলে,স্বার্থপর ত্রান। তখন চোখের জল মুছে,একবার ভোরের সকালটাকে,চুরি করে নিয়ে। পলাশে আগুন জ্বেলে,বসন্ত আবার এসেছে লাল মাটির,নিমন্ত্রণ পেয়ে। অবেলায় সোনাঝুরি ,ঝিমঝিম রোদে কোপাইনদে সাঁতার কেটে হবে পার। অশোক পলাশ বনে,খোয়াই বিবাদে- আকাশ পথে অশান্তি,ঠেকায় কে আর? পলাশে আগুন লাগে,হৃদয়ের নেশা বসন্ত আবার এলো,কবিতায় মেশা।।

তৈরী হও

 ।।তৈরী হও।। দেবপ্রসাদ জানা ২৩.৩.২০২১ তৈরী হও,ঝাঁ-ঝাঁ রোদ্দুরে, খেলা হবে মাঠে।  মাঠ-ঘাট শুকিয়ে কাঠ, তৈরী হচ্ছে আগুন। হ্যাঁ আগুন তৈরী হচ্ছে কারখানায় - নদীর শুকনো বালি,ভাঙ্গা কাঁচের টুকরো- আর? আর দড়ি দিয়ে পেঁচানো ফুটবল। খেলা হবে ধু ধু মরুভূমির ওপর - লাল সবুজ,সবুজগেরুয়া জার্সি পরে। আট আটটা ম্যাচ।  তৈরী হও।  দেওয়ালে,দেওয়ালে লিখে ফেলো- টিমে থাকা খেলোয়াড় দের নাম। রঙ পেন্সিলের প্রতিটা রঙ দিয়ে লেখো খেলা হবে -  জলের খোঁজে হন্তদন্ত, রঙ গুলে দেবে দেওয়ালে। তুলি হাতে শিল্পী হাঁক দিচ্ছে কাকে? হই হই, রই রই, রঙ গোলার জল কই? কোথাও নেই এক বিন্দু জল, ওরে কলসী কাখে কারা যায়? জল দে না একটু, তুলি হাতে শিল্পী, ছুটোছুটি করছে।  লিখতে হবে অনেক কিছু। অনেক দামি শিল্পী - সাদা শাড়ি,সাদা চুল, দাড়িও আছে সাদা রঙের। অনেক দামী তার,ছবিতে লেখা আঁকিবুকি। খেলা হবে মাঠে, জলহীন,আগুন ছড়ানো মাঠে। নর্দমার জলেও শিল্পী ভালো আঁকে। তৈরী হও খেলা হবে মাঠে।        

কিছুই নয়

 ।।কিছুই নয়।। দেবপ্রসাদ জানা ২৪.৩.২০২১ রক্তে ভেজানো পতাকা গুলো অবহেলায় পড়ে। তোমার হাতে শহীদ,তাই বুথ দিয়েছে গড়ে। চাষের মাঠে ধান নাই,কাস্তে নিয়েছি হাতে। ভেঙে গেছে কলের চাকা হাতুড়ি মারি তাতে। পড়ে আছি রাস্তার ধারে মরা ঘাস ফুল। দশটা বছর জল দিয়ে তাও করলাম ভুল। জলে জলে কাদা হলো ফুটবে পাঁকে সদ্য। অকাল বোধনে এবারে আর লাগবে নাকো পদ্ম।। বাংলা খাওয়া পেটে কি আর ফরেন লিকার চলে। শূন্য পকেট,দাম নাই,আর শিক্ষিত সব ছেলে। অযোগ্য সব রঙ মেখে যোগ্য পেয়াদা। রাতের বেলায় পাহারা দেয় নিত্য পালের গদা। ইতিহাসে কম জুরি অঙ্কে ভারি পাকা। অহংকারে পা পড়ে না, রোজ কাটে টাকা। গরুর গাড়ির ট্যাক্স বসেছে কেমন কেলেঙ্কারি। ভাতের সাথে জুটছে শুধু কচুর তরকারি।

কানাঘুসো

 ।।কানাঘুসো।। দেবপ্রসাদ জানা   ২৫.৩.২০২১ কানাঘুসো চারদিক। ডাইনে বামে বেঠিক। অজুহাত ঠিক ঠিক। ফুলে ফুলে ভরে দিক।। আলু পিয়াঁজে শতরান। মোদকবাবু ধরেছে গান। তেলের নদী ডেকেছে বান। সোনার লঙ্কা আগুন চান।। অতিমারির পিছুটান। খেলায় নেমে বলতে চান। খেলার আগেই তার দান। মাঠের মধ্যে যাচ্ছে প্রান।। এসো সাথী সাথ দাও। ঘরের মেয়ে সঙ্গে নাও। দেবো শ্রী যত চাও। দুইবেলা নাও খাও।। চেয়ার ভাঙা দুষ্টু মেয়ে। চেয়ার ছেড়ে উঠছে গেয়ে। খেলা খেলা খেলা পেয়ে। খেলবে এবার এক পায়ে।। চায়ের দাম দুই টাকা। ঝাড়ু হাতে করছে ফাঁকা। দামি পোষাক আছে রাখা। রামনাম বলছে কাকা। গুজগুজ ফুসফুস। ফুলেফেঁপে ফুলটুস। হাতের মোয়া ঘুসটুস। খোকার হাতে লেমনচুস।।

শেষে একদিন

 ।।শেষে একদিন।।  দেবপ্রসাদ জানা না একজীবনে সব পাওয়া হয় না ঠিকই। তবুও যতটুকু সম্ভব। অনেক স্বপ্ন থাকে, যা ভোরের স্বপ্ন নয়। ভালোবাসার মানুষ গুলো, কেমন যেন, সময় কাটাতে আসে। তাদের এড়িয়ে যাওয়ার ধরণ, দেখে মনে হয়,কত না কষ্ট করেছেন এসে। কত অচেনা আপনজন থাকে  অনেক দুরে,  মন থেকে সরে।  কারোর দুঃখ পাওয়াটাকেও বোঝে না, সব পাওয়ার,আনন্দটাকেও হারিয়ে ফেলে। কত কথা ছিলো মনের-  সুখ দুঃখ নিয়ে গড়া জীবন,শুধু পৃথিবীতে। যারা অন্য লোকে বসবাস করে,  তাদের নাকি ওসব দায় নেই। তাদের শুধু সুখ। বেদনার লেস মাত্র নেই। ইচ্ছে জাগে হারিয়ে যাওয়ার আগে-  মানুষ গুলোকে পাই কাছে,  জীবনে আপন করে, পাশে নিতে চাই । কষ্ট গুলো আঁকড়ে ধরে জীবনের সব শান্তি,  তাদের সঙ্গে ভাগ করে নি- কিন্তু কই,তারাই তো আসে না।

ভবিষ্যত

 ।।ভবিষ্যত।। দেবপ্রসাদ জানা খাটের পাওয়ার কাছে, একটা পেতলের কলসে- ভাবনা গুলোকে জমিয়ে রাখছি। আমার মৃত্যুর পরে,  তোমরা ভেবো একবার কাজ কিছু করে উঠতে পারিনি এখনো, ভালো করে ভেবে দেখে, নেবে ভাবনা গুলোর ভবিষ্যত আছে কিনা? যদি না থাকে - তালা বিহীন ঘরটার মধ্যে রেখে দিয়ো- পঁচে যাওয়া পযর্ন্ত। নইলে প্রতিটি ভাবনা বিলিয়ে দেবে- দান বীর হরিশচন্দ্রের মতো। ঠিক যেভাবে,ভেবেছি আমি, প্রতিদিন। সেইভাবেই ভাবতে পারো যদি দেখো একবার। খাটের নীচে শুয়ে আছে,আমার ভবিষ্যত। তাদের জাগিয়ে তুলো,আমার মৃত্যুর পরে, আমার শব যাত্রাপথে, তাকে সঙ্গে নিয়ো। আমার সঙ্গে সহমরণে যাবে সে - এই কথাই ছিল বরাবর। টেবিলের ওপর কিছু বোতল রয়েছে, হ্যাঁ বোতল সুরাহীন বোতল,ওই ওরাই আমার ভবিষ্যতের প্রায় সম্পূর্ণটা গিলেছে, কালো রাতে। কিছু ভবিষ্যত ওই পাশের বাড়ির বৌদি নিয়েছে অকারণ ভালোবাসা দেখিয়ে- তার ছেলের পড়ার খরচ,শাড়ি গহনা,লাক্সারী, শান্তির মৌচাকে মধু জমেছে কিছু - সে মধুও তারিয়ে তারিয়ে খেয়েছে, বিবাহিত প্রেমিকা।

হ্যাপা

 ।।হ্য্যপা।। দেবপ্রসাদ জানা ২৬.৩.২০২১ ১। হে মহামানব,  জীবনীশক্তি তোমারই মজ্জাগত,  তুমি সব পারো।  চিরাচরিত ধারা, কালাপানির লৌহকপাট - তুমিই পারো ভেঙ্গে দিতে। তোমার আঙুলে লাগানো বেগুনী রঙের অনেক শক্তি,  চুরমার করে ভেঙে ফেলো সব, তুমি ভয় পেয়ো না, ২। মেয়ে না হয় একটু দুষ্টু- তাবলে এতো রাগ? ওরে ভয় পেয়েছে মেয়েটা- ঘরের মেয়ে ঘরে থাক, অন্যের ঘরে মানাতে পারবে না শশুর বাড়িতে প্রচুর চাপ। বাসন মাজা, রান্না করা,অন্যের ছেলে- মানুষ করা, ভারি হ্যাপা। সবার মনে,তাই হয়? না হয় কিছু অন্যায় করেই ফেলেছে  তাবলে-তাড়াতে হবে? ওরে বাবা মেয়েতো নিজের ঘরের নাকি? ৩। শুধু শুধু অন্যের ঘরের পোলাপানে জামাই আদরে লাভ কি? আরে মশাই শোনেন নি? যম জামাই ভাগ্না,কেউ নয় আপনা।। ৪। ঘরের ছেলেটাও কম নয়? লাল জামা লাল টুপি পরে খোকাবাবু সেজে ঘুরতো, কাজতো করেনি কিচ্ছু- এখন আবার - লালসবুজের জামা পরে দোরে দোরে ঘুরছে। ওরে বাংলা তোর ছেলেমেয়ে মানুষ হয়নি মোটে।।

মনের কথা

 ।।মনের কথা।। দেবপ্রসাদ জানা  ১০.৩.২০২১ মনের কথা বলব তোমায়,সেদিন- যেদিন আমার কাছে,কালের কল্লোল   কষ্টের বোঝাটা তুলে কবে,আলাদিন- প্রেমের মধ্য প্রহরে,এত কলরোল? আততায়ীর কামার্ত,নিঃশ্বাস প্রশ্বাস- শিশিরপ্লাবিত ধুলি,আমায় চাপালে। সেই কথাটি বলতে এসে,অবিশ্বাস  সুযোগ বুঝি পায়নি,ব্যর্থ অথৈ জলে।  মনের ভাষা বুঝতে যদি কষ্ট এত ? ভরসার পথ ধরে,অজানা বাঁধন ছিন্ন করে অন্ধকারে,ফুল অবিরত, ঠিকানা হারিয়ে আজ,করেছে ক্রন্দন। তোমার হরিন কালো,দুচোখে বিধাতা স্বগর্বে পড়েছে কিনা,প্রেমের কবিতা?

বিষন্নতা

 ।। বিষন্নতা।। দেবপ্রসাদ জানা    ৯.৩.২০২১ একটা হাতের সাথে,একটু দূরত্ব  জীবন ভর ভাবতে ভাবতে বিষন্ন অরণ্য মাঝে সমস্ত পাতার ঘনত্ব হৃদয় হোক,তোমার হৃদয়ের জন্য। দূরত্বটা থাক এখন,কয়েক দশক সমস্ত ফুলের থেকে পাপড়ি পড়বে একটা দৃষ্টির সাথে,একটা পলক দৃষ্টির দূরত্ব যবে,হঠাৎ কমবে। যখন,সমুদ্রে বান আসবে তখন  পাখির মতন উড়ে,যাবো পলকেই পাখি আনন্দের গান,গাইবে যখন বিষন্নতার উষ্মাশ্রু, তার পড়বেই। ধরতে চাওয়া সুখ,একটা মুহূর্তে। ঘূর্ণিঝড় হয়ে উড়ে যাবেই আবর্তে।।