Posts

Showing posts from September, 2024

মোনালিসা

*লিওনার্দো ভিঞ্চির সৃষ্টি মোনালিসাকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরি মেয়ের ছবি বলা হয়। কিন্তু মোনালিসার ছবিতে টর্চলাইট দিয়ে খুজেও সৌন্দর্য খুজে পাওয়াটা কঠিন! কিন্তু মোনালিসার ছবির সৌন্দর্য ঠিক মোনালিসাতে নয়। সৌন্দর্যটা এই ছবির রহস্যে! রং তুলিতে এই ছবি আকতে গিয়ে ভিঞ্চি জন্ম দিয়ে গেছেন অসংখ্য রহস্যের......... ১৫০৩ সালে ভিঞ্চি মোনালিসা আকা শুরু করেন। ১৫১৫ সালে মোনালিসা আকার সময় তিনি রহস্যজনক ভাবে মৃত্যবরণ করেন। ১২ বছর সময় নিয়ে আকা মোনালিসার ছবি সম্পূর্ণ না করেই তিনি মারা যান! অর্থাৎ আমরা মোনালিসার যে ছবিটি এখন দেখি সেটিতে আরো কিছু আঁকার বাকি ছিল....... ভিঞ্চি মোনালিসাকে কোন কাগজ বা কাপড়ে নয়, এঁকেছিলেন পাতলা কাঠের উপর। অবাক করার বিষয় হলো মোনালিসার ছবিটিকে যদি বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে দেখা হয় তবে মোনালিসা তার হাসি পরিবর্তন করে! এ যেন এক রহস্যময়ী মোনালিসা! ১৭৭৪ সালে সর্বপ্রথম প্যারিসের লুভর মিউজিয়ামে মোনালিসার ছবিটির দেখা মিলে। কিন্তু ছবিটা মিউজিয়ামে কিভাবে এল কিংবা কে আনল এমন প্রশ্নের উত্তর মিউজিয়ামের কর্মীরাই জানতোনা! কারণ তারা কাউকে ছবিটি নিয়ে আসতে দেখিনি!! রহস্যময়ভাবে লুভর মিউজিয়...

চাটুবাক্য

চাটুবাক্য  দেবপ্রসাদ ১ আত্মদোষী বৃথা করে নিগুড় বন্ধন। চাটুবাক্যে মন তোষা। বুঝি না তার কি ভাষা। হিতাহিত পাপ পুণ্য বুঝেছে কজন। ২ বাক্যালাপ কাব্যপাঠ কৌতুক কথায়। অনাবিল খুশি তায়। ভারি সুখ সাধনায়। শাস্ত্রে কহে কাব্যপাঠে বেদন হারায়। ৩ পদে পদে ঘটে যায় ঘটনা এমন। জীবের প্রকৃতি গত মহা মহা দোষ যত হলাহলে হয়ে যায় জীবের নিধন। ৪ বেড়ে ওঠো তত দূর সামর্থ্য যেমন। করো ধন উপার্জন  মান্য করো দশজন অহঙ্কারে থেকো না প্রিয় যথা রাবন। ৫ সকাতরে সযতনে ভালোবাসার ছায়। তোমারে গড়িতে যার। মহাসিন্ধুর দুইপার। অহঙ্কারে পদ খানি, দিয়ো না তার গায়। ৬ সমান প্রকৃতি কারো দেখা নাহি যায়। হিম জমে শিলা হয়। পরপীড়া আপন হয়। সব দুঃখ আবরণ করে করুণায়। ৭ ধরণীতে কত জীব, অযথা হারায়। জন্ম যার দীনতায়। বুভুক্ষায়, নগ্নকায়। পথ পরে হেথা হোথা ভোগে সূতিকায়। ৮ নারী বিনা, নর দৈন্য তিমির তপন। এ হেন জীবন যার। কি গতি হইবে তার। অশ্রু বৃষ্টি করে সদা, অকালে মরণ। ৯ অতি স্থুলকায় তনু, জীবন অসার। নানান অসুখে ভোগে। বেঁচে রয় ঔষধি যোগে। অতি বলবান জেনো করে ফলাহার।   ১০ যাতে আছে প্রয়োজন মমতা সেথায়। যে পুত্র খাদ্য দেয়। তার তরে করে ব্যয়। কুন্ঠিত লজ্জ...

মিষ্টি

ইতিহাসের হাজার নথি ঘাঁটলেও এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে না। তবে ইতিহাস এটা অবশ্যই বলে যে, বাঙালি জাতির বিশ্বজোড়া প্রসিদ্ধি রয়েছে তাঁর রসনার জন্য। সেজন্যই, প্রাচীন বঙ্গের বাঙালি নারীরা, ‘৬৪ রকমের ব্যঞ্জন’ ও হরেক রকম মিষ্টান্ন বানাতে জানতেন। অতীতে, উত্তর ভারতের শ্রেষ্ঠ মিষ্টান্ন ছিল ‘ক্ষীরের তৈরি লাড্ডু’। সেই ‘লাড্ডু’ ছাড়া, ‘বিহার’ ও ‘উত্তরপ্রদেশের পূর্বাংশের’ মিষ্টান্ন ছিল ‘ক্ষীরের তৈরি প্যাঁড়া’। অতীতে, উত্তর ভারতে ছানার তৈরি মিষ্টান্নের কোনো বালাই ছিল না এবং বর্তমান সময়েও বিশেষ নেই। ছানার তৈরি মিষ্টান্ন বঙ্গদেশেরই বৈশিষ্ট্য।  বাঙালিদের ছানা তৈরি করার শিখন পদ্ধতি যদিও বাঙালি ছানা তৈরি করা শিখেছে পোর্তুগিজদের কাছ থেকে, তবুও অতীতে ছানা দিয়েই হরেক রকম মিষ্টান্ন তৈরি করতেন বাঙালি নারীরা। এ ছাড়া তাঁরা ক্ষীরের, ময়দার, নারকেলের ও ডালবাটার মিষ্টান্নও তৈরি করতেন। ময়দা দিয়ে তৈরি মিষ্টি  সেই সময়, বাংলার ঘরে ঘরে সেগুলো তৈরি হত। পুরানো  kolkata-য় ময়দা দিয়ে তৈরি মিষ্টান্নের মধ্যে প্রসিদ্ধ ছিল -- ‘জিভেগজা’।  ক্ষীর দিয়ে তৈরি মিষ্টি ক্ষীর দিয়ে তৈরি খাবারের মধ্যে প্রসিদ্ধ ছিল -- ‘...

মঞ্চে তিলোত্তমা

মঞ্চে তিলোত্তমা  দেবপ্রসাদ  সাম্যমৈত্রী প্রতিষ্ঠিয়া তার লাগি যুঝি' অনিবার। উদ্‌গীত এ' সাম্য-সামগীতি, নাম তার অঙ্গীকার। প্রথমে বাজিল শঙ্খ সেদিন তিলোত্তমার মঞ্চে। অন্যায়-শাসনে-ক্ষুব্ধ যারা সাধারণের বেঞ্চে। জাগাইয়া ভীতি, ফুসিয়া শাসক, জাগায় মৃত্যুভয়। আজ করিলাম অঙ্গীকার আমরা করবো জয়। বক্ষে জোরে করেছি আঘাত, সেইদিন প্রাতে। বাজাইয়া রণবাদ্য করিব-রণ, প্রাণ লয়ে হাতে। জ্বেলেছি প্রদীপ, তার স্মরণে, আর নয় সখ্যতা। রাজদ্রোহী সাধারণ জন, আর নয় ভদ্রতা। কম্পিছে বক্ষ, লণ্ডভণ্ড কর্ম বন্ধ যতই করো আদর। ধ্বংসিব প্রাসাদ, উদঘাটিব রাজ, হাঁটিব দিনভর। কম্বুকণ্ঠে কহিছে রমণী হায় হায় কি প্রমাদ! বিচার চাই তিলোত্তমার, করিছে আর্তনাদ। যুদ্ধ যদি হবে তবে, আগে বোঝো অধিকার। ছিন্ন করো আভিজাত্য বোঝো স্বার্থ আপনার! শাসন-শৃঙ্খল ভাঙো খোলো লোহার জিঞ্জীর। জাগাও দুর্বল ওহে সবল তুলে রাখো দেখি' শির। যুবতী কিশোরী হাতে হাত রাখি করি অঙ্গীকার। শেষ সেই বুঁদির শাসন' মানবো নাকো আর। তিলোত্তমার স্মরণ মঞ্চে যত কলম সৈনিক। হস্ত তুলে কহিছে, শাসকেরা ধিক্ শত ধিক্।

বিচার চাইছে তিলোত্তমা

বিচার চাইছে তিলোত্তমা  দেবপ্রসাদ জানা বিচার চাইছে তিলোত্তমা  জানি আর নিস্তার নেই জানি তোমরা টুঁটি টিপে ধরবে এবার। তোমরা যতই গলা টিপে ধরো- আমার কলম বলবে বিচার চাই দিকে দিকে তোলপাড় হোক, সব কলমের মুখে ঝলসে উঠুক আগুন পথে ঘাট ফুটপাত, নদী নালা  সবকিছু সোচ্চার গদ্দার হুঁশিয়ার । কি ভীষণ লজ্জার  দিকে দিকে হুংকার হোক বিচার চাই জানি আর নেই নিস্তার নেই তোমরা গলা টিপে ধরবে এবার তবু কলম আমার বলবে - বিচার চাই বিচার, দোষী তুমি হুঁশিয়ার । কলমের মুখে সান্ দিয়েছি,  তলোয়ার নিয়েছি তুলে - এ হাতিয়ার বড় বেয়াড়া গোচের- বাধা মানে না কারোর খান খান হবে অপরাধীর মাথা। ছারখার হবে মানুষ কেনাবেচার দোকান যার নজরে নজর রেখে মেরেছ কেটেছ  গুঁড়িয়েছ এতদিন  তাকে করছি হুঁশিয়ার। সব কলমের জিহ্বা লম্বা নয় পা-চাটা শয়তানেরা-খুব হুঁশিয়ার। তোদেরও পালা পরের ক্ষেপে।

প্রতিধ্বনি

প্রতিধ্বনি  দেবপ্রসাদ জীবন চিরে চিরে মৃত্যুর দ্বারে দাঁড়িয়ে  মস্ত ঘন্টার হাতলে হাতুড়ির আঘাত করি। জীবনের এত সব ছন্দপতন, স্খলন, ব্যর্থ গ্লানি - সব রেখে চলেছি - প্রাপ্তির ভান্ডার শূন্য জেনেও এগিয়েছি  জীবনের সেই শেষ পথে। আঘাত-প্রত্যাঘাত পায়ে লুটিয়েছে। গনগনে রোদ্দুর, পায়ের নিচে উত্তপ্ত বালি- ব্যগ্র জীবন, প্রতিধ্বনিময় রৌদ্রাক্ত মৃত্যু  দূর্বার শিখরে হয়েছে পরাজিত। মৃত্যুর কাছে বায়না করেছি - ফের জন্মানোর আগে প্রতিষ্ঠার ধুলোয় একবার গড়িয়ে নিতে, যদি পারি তবে- জীবন স্থির চিত্তে মহারণ্য, মরুদ্যান স্বেচ্ছায়- পদানত হবে, এ আত্মার ক্ষুধায়। দিব্যদৃষ্টিতে দেখা অর্জুনের তীরে পাখির চোখ।  তীব্র তীক্ষ্ণতেজা রক্তপাত। নিঃস্ব রিক্ত অন্তঃসার শূন্য জীবন, উপেক্ষার জ্বালা। আমাকে অনন্ত আঁধারে ভরিয়ে- মহামানবের ললাটপটে কন্টকাকীর্ণ অলক্তকের ছোঁয়ায় হোক অভিষিক্ত ।  কে বলে প্রাপ্তির ভান্ডার শূন্য, পৃথিবীর নিষ্ক্রমণের পথে।

মাকালী মহাকালী

মাকালী মহাকালী দেবপ্রসাদ মা মানে মমতা, মায়া, মা মানে করুণা অথচ মহাকালীর রূদ্র রূপ দেখি। কেন দেখি রূদ্র তারে, কেন সে ভীষণা অতীন্দ্রিয়তার সত্তা ক্রোধাম্বিতা মুখি। রক্ত মণ্ড মালা গলে, রক্তাক্ত নয়না,  কেন দেখি রক্তচক্ষু, লাল রক্তমুখি। দিনরাত ভেদে তার ক্ষমা নাহি চক্ষে। বহে রক্তধারা তার বুঁদেলা শরীরে। শব স্তূপ দিয়ে চলে মুণ্ডমালা বক্ষে। ধুলায় ধুসর দেহ, রুর্ধিরাক্ত ঝরে। মধ্যে মধ্যে ভস্মভেদি প্রকাশিছে চক্ষে। পুরা সেই কথা হেথা কহি ধীরে ধীরে। পুরাকালে রম্ভাসুর নামে এক সুর। ঘোর তপ করে খুশি করে ব্রহ্মদেবে। সহস্র বৎসর ধ্যান করিল অসুর। অমরত্ব চাই তার, কহে ব্রহ্মদেবে। সমরে হারিয়ে সবে যাবে স্বর্গপুর। অসুর কুলেতে জন্মে, অমরত্ব নেবে। ব্রহ্মা কহে তুষ্ট হয়ে, অমরত্ব কেন? এত বড় বিশ্ব তুমি চাও অন্য বর। চালাক অসুর কহে, কি কহিব হেন। পড়ে যদি রক্ত মোর ধরিত্রীর পর। এক বুঁদ রক্ত হতে, ফের জন্মি যেন। চতুর অসুর বর, পেলো অতঃপর। বর পেয়ে দুরাচারী হইল বিকট। ব্রহ্মা কহে ওরে দুষ্ট, তুই দুরাচারী যত পাপ করে যাবি করিবি কপট। তোরে যে বধিবে নারী, রূদ্র রূপ ধরি। এই বলে ব্রহ্মদেব, হয় অপ্রকট। হাঃ হাঃ রবে রম্ভাসুর, হাসিল হুঙ্কারি...

সূর্যের শোনিত

সূর্যের শোনিত ক্রমমৃত্যু ইতিহাসে মুদ্রিত আমরা। মরণ প্রোথিত আত্মায় অনাবাদি চাষ জমি রক্তাল্পতাজনিত অসুখে ভোগে খণ্ডিত জ্যোতিষ্ক। ক্ষয়ে যেতে যেতে একদিন  শেষ হয়ে যাবে প্রাচীন পৃথিবী। এই অগ্নিগর্ভ সূর্যের শরীর শুষে, দুমড়ে মুচড়ে দেবে নতুন পৃথিবী, তখন উত্তাপহীন পৃথিবী ঘুরবে উত্তাপের খোঁজে। আগুন ধার চাইবে মহাশূন্যের দোরে দোরে। আক্কেলহীন পৃথিবী ভিক্ষা পাত্র হাতে- শুকিয়ে যাওয়া আগ্নেয়গিরির মুখে দাঁড়িয়ে থাকবে। বুঝেছো তবু প্রতিবাদ নেই, প্রতিবাদ নির্বোধেরই কৃত্য  সূর্যের শোণিত ওই গাছ হয়তো - সূর্যের শরীর নিঃসৃত রক্তকণা পাতারা বানায় খাদ্য প্রাণরস সঞ্চারিত করে কোষে কোষে। আগুন চাই আগুন চাই পৃথিবীর ঘরে ঘরে বাঁচার জন্য বাঁচিয়ে রাখার জন্য।

আতঙ্কের পাখি

আতঙ্কের পাখি গভীর রাতে পাখি ডেকে উঠলে   ভেসে ওঠে আতঙ্কের ছবি, জীবনকে বুকের মধ্যে নিয়ে স্বপ্নের পথে- এই বুঝি কুমারী মেয়েটার পিঠে- কালো হাতে ছায়া পড়লো। হয়তো দিনের আলোতেই মেয়েটা- হয়তো বা সুরক্ষিত কর্ম ক্ষেত্রে- কোনো দুঃশাসন, চুলের মুটি ধরে টেনে হিঁচড়ে- নাকি ছদ্মবেশে কোনো এক ইন্দ্র- অহল্যার শরীরটাকে - গোপনে স্নায়ুতে স্নায়ুতে রক্তচাপ বাড়িয়ে   একটা মহাযুদ্ধ, পথে ঘাটে অলিতে গলিতে দেশে বিদেশে প্রতিটা পাখির ভিতরে লড়াই।   নরম রোদের সকাল যখন যুবক হয়, কি ভীষণ উদ্বিগ্নতা নিয়ে ডানা মেলে পাখিরা   যেসব পাখিরা আকাশ ছুঁতে চায় বাজপাখির কবলে পড়তে হয় তাদের। পাখির ডানায় মুক্তির শব্দগুলি ঝরে সারাবেলা ,   শতাব্দীর কারান্ধকার জীবনের মৌনতা কাটিয়ে- জ্বলে উঠুক অগ্নিকুন্ড, জন্ম হবে যাজ্ঞসেনীর- যার বুকে কুরুক্ষেত্র, যার কেশরাশি রক্তধৌত করতে প্রতিটা দুর্যোধনের কটিকক্ষ ভাঙবে।

শৈশব

শৈশব দেবপ্রসাদ জানা শৈশব জানে -- উল্লাস  খেলার মাঠে চিৎকার, গায়ে গায় লাগিয়ে ফুটবলে কিক্, সিক্ চাকায় দারুণ স্পিড মার্বেল গুলির টক্কর, মেলায় বাঁশিতে ফুঁ- নতুন জামার গন্ধে নতুন উৎসব। শৈশব জানে - বইয়ের পাতার গন্ধ হাত বাড়িয়ে কচি পেয়ারায় কামড় - ই-ই-ই কষ্টি- স্কুলে টিফিন নিয়ে লড়াই  ঘন্টা পড়লেই ছুট খেলার মাঠে। ঢেউয়ে ঢেউয়ে পা ফেলে এগোনো কি ভীষণ আনন্দে ছিল শৈশব। হাতে ঠাকুর বানিয়ে সরস্বতী পুজো। চাঁদা তোলার ধুম, একটাকা পঞ্চাশ পয়সা। একটাকা দিলে অনেক। না দিলে গাছের ফুল, লেবু গাছে হানা- বাইরে লাগানো বাল্ব - সকালের পাখিরা জেগে উঠতো মহালয়ার ভোরে হাতে ক্যাপ পিস্তল- সে এক অদ্ভুত সুরের সঙ্গে আনন্দের হাসি, শৈশব জানে- হাসতে আজ ঝগড়া কাল বন্ধুত্ব, এখানে বিচ্ছেদের কষ্ট নেই এখানে বেদনা নেই, এখানে শুধুই খুশি। ভোরের বেলা মায়ের ডাক পড়তে বসার তাড়া, কান ধরে উঠবোস। নেলডাউন, কানমোলা, গাঁট্টা। শৈশব জানে - ভালোবাসতে। বৃষ্টি ভেজা মাথায় মায়ের আঁচলের ছোঁয়া। সব শৈশব জানে -

রঙ মিলান্তি

রঙ মিলান্তি আকাশে ভাসিয়ে মেঘ, স্বপ্ন দেখি বসে। দেখি মহারণে চলে বীর দলে দলে নিয়মের জালে ভ্রমে পিপীলিকা যেন  নির্দিষ্ট দূরত্ব সব, লঙ্ঘিতে না পারে।  হালকা মেঘের ফাঁকে, সোনালী আভায় ক্ষণকাল রবে আলো, রঙ দেখাইয়া। প্রথম হাতের রঙ, জল জল ছায়া। জলে যেন জলবিম্ব যেতেছে মিশিয়া,  উড়ন্ত ধুলোর রঙ, যাই নি যে আঁকা। পুণ্যবলে রামধনু মিলিছে আসিয়া,  সত্য অসত্যয় রঙ, মেলিছে সংসারে। ঘন ঘন মেঘ যেন, লুকোচুরি খেলে। ধর্মাধর্মে সুখ আসে বর্ণময় ঘরে। ইচ্ছা নয় অনিচ্ছায়, বিধির বিধানে। ভারসাম্য রেখে দেখে, অদৃশ্য বিচারে। সাধ্য কি রঙ তুলির, রঙ মুছে ফেলি। সে কারণে প্রাণপণে করিবেক ধর্ম। সতের সঙ্গতি হৈলে করে নানা কর্ম্ম।। সংসারের সার সঙ্গ, বলে মুনিগণে। সঙ্গদোষে চোর হয়, সাধু সঙ্গগুণে।। সাবিত্রীর মুখে শুনি এতেক ভারতী।