Posts

Showing posts from April, 2024

বন্দী

বন্দী ছিলো  বুঝলে একজন ঘুমোচ্ছে  আর সবাই জেগে আছে,  কারো চোখে জল কেউ  মৃত স্তুপের লাইন অন্ধকারে   বন্দী ছিলো বন্ধ দুয়ার    ভয় থমথম ঘরের মাঝে।    শহর জুড়ে কারফ্যু তার কাফন ছড়ায়    সেই কাফনে বন্দী ছিলো।    ওরা তখন মন্ত্রপুত মশাল নিয়ে নামলো পথে    মৃতের স্তুপে ফোটালো ফুল    নতুন প্রাণে গাঁথলো নতুন দীপাবলি।    আগুন জ্বলে। জ্বলতে থাকে পাশব আঁধার    গ্রাম নগরে রাত পেরিয়ে, রাত পেরিয়ে    রাত পেরিয়ে সূর্য নামের বলয়  তখন দেখি    আলোর মুকুট মাথায় পরে  ভুবন জুড়ে বাইরে এলো বন্দিনী মা বাংলা আমার    স্বদেশ আমার।  জো, তুমি আমাকে চিনবে না। আমি তোমারই মতো   একজন কালো মানুষ গলার সবচেয়ে   উঁচু পর্দায় গাইছি সেতুবন্ধের গান, যে গানে   তোমার দিলখোলা সুরও লাগছে।   জো, যখন ওরা তোমার চামড়ায় জ্বালা-ধরানো   সপাং সপাং চাবুক মারে আর   হো...

স্মৃতি

থাকুক তোমার একটু স্মৃতি    একলা থাকার খুব দুপুরে    একটি ঘুঘু ডাকুক        ২.    দিচ্ছো ভীষণ যন্ত্রণা    বুঝতে কেন পাছো না ছাই    মানুষ আমি, যন্ত্র না!        ৩.    চোখ কেড়েছে চোখ    উড়িয়ে দিলাম ঝরা পাতার শোক

বিপদ

বিপদ  দেবপ্রসাদ জানা তুমি ভুগছ, ডুবতে বসেছ।  তুমি ক্ষীণবল, তবু তোমার সাহায্য চায় বিপদে, ভিতরে ভিতরে গভীর সন্তর্পণে, সুপ্ত কথা বলে। সম্পর্কে কিছু সংশয়- পৃথিবী আর সূর্যের  হিমস্বরে অনন্ত খাদ পেরিয়ে মৃত নক্ষত্রের দেশে। পারঙ্গম জোছনায় সমুদ্র মন্থন। তুমি বলতে চাইছ বটে,  কোনো সংশয়ের জায়গা নেই,  আমরা ঢুকে পড়েছি শেষ সীমায়।  প্রেমে অপ্রেমে বাঁচার অদম্য ইচ্ছায়- পাঁজরের ভেতরে হৃৎপিণ্ডটা নড়েচড়ে, আমার দিকে কী আঙ্গুল তুলতে চাইছ- তুমি? কোনো অভিযোগ?  ঘুনপোকার নীরব আক্রমন, কখনো না, সম্পর্ক ভাঙতে দিও না।  বিসন্নতা ছুঁয়ে যাবে অন্তরে। বুকের রূদ্ধতায় জন্ম হোক নীল প্রজাপতি, খিদে এ মৃত্যুর খিদে,  আত্মার বিজনতায় ফেরে মৃত্যুর শিকড়, তৈরী হও, বিপদ সম্মুখে, চটপট, তৈরি হও।  বাড়াও প্রত্যাসার হাত, বোধের দরজায় খিল দিয়ে ফাগুনের গান গেয়ে লাভ কি? তোমাকে ধরেছে রোগে,  অথচ দরকার তোমাকেই।  কত বসন্ত পরে ফুটেছে ফুল পলাশবনে। সাহায্য করো। সরে থাকতে যেও না, আমরা লড়াইয়ে যাচ্ছি।  অস্থিরতার জাল কেটে কেটে তুমি নির্বিকার। লড়াই শুধু লড়াই মনের সঙ্গে মনে, বিপদের সঙ্গে বিপদে...

অগ্নিকণা

অগ্নিকণা  দেবপ্রসাদ জানা অগ্নিময় হয়ে উঠেছে পৃথিবী,  হিংস্র উন্মত্ত সূর্যের ঝলকানি।  নির্মম উত্তাপে জ্বলতে লেগেছে পৃথিবীর দেহ,  পুড়ে ছাই হতে আর কিছুদিন। বুকের উপর চেপেছে পাষাণের ভার। আগুনের আভায় বিপর্যস্ত নিস্তব্ধ দুপুর। পড়ন্ত বিকেলে সূর্য যখন পরিশ্রান্ত হয়ে ঘুমোতে যায়,  নীল আকাশটায় অল্প মেঘের জন্ম হয়, পৃথিবীর বুকে তখন শূন্যতার মরীচিকা। ঘূর্ণি বাতাসে শিশু মেঘেরা আসবে ঝড় বেশে,   ঝঞ্চা ছুটবে সারা দেশে -   নিষ্ক্রান্ত হবে পুঞ্জ পুঞ্জ মেঘ।  ভেঙে পড়বে আকাশ, আক্রান্ত পৃথিবী - একবারও বলবে না থামো,  শিলাবর্ষণ আর বজ্রনির্ঘোষ ক্ষতগুলো, হাঁ করে খেতে আসবে, ক্ষেতের ফসল গুলো, আঘাতের পর আঘাতে ক্ষতবীক্ষত ভূমি, অস্পষ্ট উদ্বেগে পীড়িত,  রক্তাক্ত ঝড়ে হাজার হাজার প্রাণ হারিয়ে যাবে, মিথ্যা আর অন্ধকার রাজ্যে ভণ্ড ভবিষ্যতের মতো। আগুনের আঁচড়ে, আঁচড়ে স্বাধীনতার সাতাত্তর।

তারপর

তারপর দেবপ্রসাদ জানা তারপর হঠাৎ বসন্ত চলে গেল!  কোথায় গেল জানি না তখনো- বসন্তকে ডেকে কালোমতি কোকিলের, গলা গেছে ভেঙে।   পচা হেমন্তের মাঝখানে, সে এক ভীষণ কাণ্ড। উজ্জ্বল সুন্দর বসন্ত ম্রিয়মান দুর্গত স্বর্গের পথ খুঁজে, পাহাড় পর্বত পেরিয়ে উত্তরে- অগ্রদূতের মতো, সেই হলুদ বসন্ত, লাল হয়ে এক রক্তিম প্রত্যুষে উদয় হল বিষণ্ণ আকাশে, ঝকমকে লাল সূর্য,  তার রশ্মি তরোয়ালের মত মেঘপুঞ্জ ছিঁড়ে, তীরের গতিতে সাগরকে ফালা ফালা করল। কুয়াশার শবাচ্ছাদনে সমুদ্র রক্তাক্ত হলো। পৃথিবীর সমূদ্রগহ্বরে দীপ্তির মতো,  প্রকৃতির বেদীমূলে কোনো এক অজানা - শাশ্বত উৎকর্ষসাধনে-শিখার মতো,  নিদ্রিত আলো-কে আকর্ষণ করল  সেই উদ্দীপ্ত রক্ত থেকে জন্ম নিলো,  রাঙা গোলাপ, লাল লাল ফুল, ফুটে উঠল। মেঘের কান্নায়, কালো কাদায় বৃষ্টির হাসি। জীবন ছিল বহতা জোয়ারে, জলের জঠরে। জীবন আর মৃত্যু, ক্রোধ আর যন্ত্রণা। তাদের অবিরাম হৃদয় নিয়ে খেলা, হিম শূন্য অন্ধকারে। বসন্ত হারিয়ে গেছিল কালের রুদ্ধতায়- প্রমত্ত উৎসাহে অনন্ত ঘুমে একা....

শাপভ্রষ্ট

শাপভ্রষ্ট দেবপ্রসাদ জানা ক্রমমৃত্যুর ইতিহাসে- রক্তাল্পতা জনিত অসুখ,  শরীরে শরীরে ঘুরছে-অগ্নিগর্ভ বীজ। অনাবাদি জমি, বুনতে হবে সূর্যবীজ। জমিকে চাষযোগ্য বাসযোগ্য করতে হবে। শাপভ্রষ্ট ভূমিতে দেবতাত্মা খণ্ডিত জ্যোতিষ্ক সূর্য- তার শরীরে মরণ-প্রোথিত আত্মা লৌহগলিত লাভা ধমনী বেয়ে- অনশ্বর সূর্যের  শোণিত - সৃজন নির্মাণে অগ্নিগর্ভ শরীর,  বোধিদ্রুম নিঃসৃত কালের চূর্ণ,  মৃত্যুর প্রাচীরে বিদ্যুৎ রোপণ করে অলক্ষ্যে, ক্ষয়িষ্ণু দেহের প্রতিটি কোষে কোষে বিকীর্ণ তেজ। পুড়ে যায় ঝলসে যায় প্রাচীন এ পৃথিবী।

বীরগাথা

বীরগাথা হে বীর সন্ন্যাসী স্বামী বিবেকানন্দজি  সত্যসন্ধানী পূণ্যাত্মা, প্রতীকস্বরুপ  প্রখর অনাসক্তির, মহাবীজ তুমি নিত্যসিদ্ধি নরঋষি শুদ্ধসত্যগুণী  মহা-তপস্বী অমৃতে, বৈরাগ্য সন্তান।  দিব্যদ্রষ্টা জ্যোতির্ময়, হে মুক্তপুরুষ  অপূর্ব তোমার প্রেম, প্রেমপরায়ণ- সত্য শুদ্ধভক্ত তুমি, মহান তেজস্বী-  প্রভু ঘটিয়েছিলে আমিত্বের মৃত্যু অক্লান্ত বেদান্তচর্চা জপ-ধ্যান জ্ঞান সহ তুরঙ্গম স্রোতে,নিখাদ বৈরাগ্যে।  মেধাশক্তি  মহামন্ত্রে, গভীরতা হতে  উপনিষদের রসে, জারিত স্বপ্নকে  ভারতবর্ষে উদ্বুদ্ধ করেছো স্বামীজী। তিনি বলেছেন, আমি মুক্তি চাই না, যতদিন দেশের একটি কুকুর পর্যন্ত অভুক্ত থাকবে। মুক্তি চাওয়া তো কাপুরুষের কাজ। তিনি ছিলেন সুরের আগুনের পরশমণি। তার কণ্ঠে গান শুনে ঠাকুর মোহিত হয়েছিলেন। কণ্ঠে যাদু, গম্ভীর সুরেলানাদ বড়ো বড়ো ওস্তাদরাও হার মানে। কলকাতায় সবার মুখে মুখে গায়ক নরেন দত্ত-র নাম। তার অন্তরে বৈরাগ্য ছিল। তাই তো ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দেখেছিলেন নরেনের ভিতর স্বত্বগুণী আঁধার। যার ভিতর নিরন্তর পূণ্যস্রোত বইছে, জন্ম থেকেই ধ্যানসিদ্ধ। নরেন ছিলেন বিশ্বনাথ দত্ত আর...

সূর্যটা আজ

সূর্যটা আজ দেবপ্রসাদ জানা একবার চেয়ে দেখো আকাশের কানায় কানায়। দেখবে সৌরমণ্ডলের ত্রিপদী ছন্দ পূরাণগাথায়। পৌরাণিক রমনীর মতো ওই ভোরের সূর্যটাকে।  ঋষি সূর্যের ধ্যান ভঙ্গ করতে তারে ঘিরে রাখে। ঘুমকাতুরে বৃষ্টিরা, মেঘের কোলে নিদ্রা যায়।  রাত, কেটে গেলেই প্রতিদিনের মতো নিরালায়। দৈন্যময় ঘূর্ণায়মান গ্রহ পৃথিবীটাকে পোড়াতে। একটা সূর্য নয়, জাগতিক ঘূর্ণনে হাজার সূর্যতে। বৈশাখী সূর্যদয়ে তার আত্মপ্রকাশ, মেঘমালতি। সদ্যজাত শিশু সূর্য দুপুরে দেয়, আগুনে আহুতি।  সোহাগী বিহ্বলা প্রেমিকা মত, মেঘলা চাদরে। রোদের কিরনে চিরবিরহীর ফুল গুলি যে মরে। ভেজা অশ্রু চোখে চেয়ে থাকে পৃথিবী দিগন্তে। ক্ষণিক আয়ূর উৎসবে বিধাতার চরণ প্রান্তে।  সারা রজনী লোকানো সূর্য, ভোরের স্নিগ্ধতায়। বৈশাখী বাতাসে নবোদ্ভিন্ন বৃক্ষ মুক্ত শ্যামলিয়ায়। পত্রাবরণে সুষমা ঢালে, প্রদোষ সমীরণে আজ। দৈন্যদশায় ভারাক্রান্ত পৃথিবীটায় পড়ে তপ্ত বাজ। প্রখর আগুন প্রবাহে পথ ঘাটের মন পড়ে যায়। সঙ্গী তার ভোরের সূর্য, অকিঞ্চন ভালোবাসায়।

অহংকার

বৃষ্টি থেমে গেলে ছাতাটাকেও বোঝা মনে হয় ৷  কালি ফুরিয়ে গেলে কলমটাও আবর্জনার ঝুড়িতে জমা হয়। বাসি হয়ে গেলে প্রিয়জনের দেয়া ফুলটাও পরদিন ডাস্টবিনে পাওয়া যায়।  পৃথিবীর নিষ্ঠুরতম সত্য হলো আপনার উপকারের কথা মানুষ বেশিদিন মনে রাখবে না। জীবনের সবচেয়ে নিদারুণ বাস্তবতা হলো, কার কাছে আপনি কতদিন প্রায়োরিটি পাবেন, সেটা নির্ভর করবে কার জন্য কতদিন কিছু একটা করার সামর্থ্য আছে তার উপর। এই বাস্তবতা আপনি মানলেও সত্যি, না মানলেও সত্যি। আজ সকালে যে পত্রিকার দাম ১০ টাকা, একদিন পর সে একই পত্রিকার ১ কেজির দাম ১০ টাকা। হাজার টাকা খরচ করে একাডেমিক লাইফে বছরের শুরুতে যে বইগুলো গুরুত্ব দিয়ে কিনেন, বছর শেষে সেই বইগুলোই কেজি মাপে বিক্রি করে দেন। সময় ফুরিয়ে গেলে এভাবেই মূল্য কমতে থাকে সবার, সবকিছুর। আমরা আপাদমস্তক স্বার্থপর প্রাণী। ভিখারিকে ২ টাকা দেয়ার আগেও মানুষ চিন্তা করে কতটুকু পূণ্য অর্জন হবে। বিনা স্বার্থে কেউ ভিক্ষুককেও ভিক্ষা দেয় না৷  এতকিছুর পরও চলুন একটু হেসে কথা বলি। রাগটাকে কমাই। অহংকারকে কবর দেই।  যদি সুখী হতে চান তবে প্রত্যাশা কমান।  আপনি কারো জন্য কিছু করে থাকলে সেটা চিরতরে ভুলে ...

বন্দনা

বন্দনা দেবপ্রসাদ প্রথমে বন্দনা করি, আনন্দে আসরে,   করজোড়ে প্রণমিয়া, বৃদ্ধ সুভাজনে। এই আমি, লেখনীর, আরক্ত অধরে।  লিখিব যে প্রেমগাথা‐নলের যৌবনে। আদিকবি ব্যাসদেব, লিখিল অন্তরে,   বাতাসে বাজাল বীণা, গাইল, যেমনে,   বনবাসে যুধিষ্ঠির, ভাবিল অন্তরে। কত কষ্ট পাই দেখো, ঘোরঘন বনে। ঘরছাড়া পরিবার, ভ্রমি ব্রজ‐ধামে।  শুনিয়া গোপিনী করে, হাহাকার ধ্বনি,   বিরহে বিহ্বলা কন্যা, হারাইল শ্যামে   বিরহ‐লেখনী তাই, বাহিরিল বানী। দুখের আগুনে পুড়ে, শুদ্ধ পরিনামে। আমি সেই নলজায়া, নলের ঘরণী।   

মায়াজাল

মায়াজাল দেবপ্রসাদ জানা অন্তিমে নিশ্চল অসময়ে- জনারণ্যে, ছায়ালোকে, তার পায়ের শব্দ শুনতে পাই,  এই যে জীবন, আসলে আমার নয়।  আমি শুধু আমিই, মৌলিক এক প্রাণী, শরীরের গতি কমে আসছে, ঘুমের অছিলায় স্বপ্ন দেখা শেষ। জীবনের ঘটনা গুলো ভুলে যাওয়া,  পৃথিবীর কিছুই আমার নয়।  আসলে কেউ কোনোদিন ছিলই না।  উন্নত বোধ সম্পন্ন এক প্রাণী হয়ে- জন্মানোর জন্য এই প্রগাঢ় আমিত্ববোধ, নিষ্ঠুর সত্যের চাবিকাঠি, প্রহেলিকাময় বাষ্প। মৃত্যু ঘেঁটে নিজের অনন্ত অস্তিত্বে বিভোর থাকা। মিথ্যা, সব মিথ্যা, আমিময় চেতনা তো-  আসলে ফাঁকির ভিতরে এক বৃহত্তর ফাঁকি।  বুদ্ধিমত্তার পিছনে লুকিয়ে থাকা কলঙ্ক । বিশ্ব সংসার জুড়ে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা।  অন্ধ স্বার্থচেতনায় মৃত্যুকেও গলা টিপে মারতে হয়। যখন মৃত্যুচেতনায়, ভাবতে ভাবতে - ভুলে যাই আমি কে? আমি কী শুধুমাত্র শরীর?  বিক্ষিপ্ত করে তোলে মন, আমার সম্বল,  আমার চেতনায় ভর করে। হিংসা, রাগ, ঘৃণা সবুজ ভূখণ্ডে সূঁচের মতো,  শরীরের শিরায় শিরায় রক্তে মিশে যায়... কৃত্রিম ভালোবাসার মায়াজাল।

অবশেষে

অবশেষে দেবপ্রসাদ জানা অবশেষে দেখা হলো তাদের মুখোমুখি, সামনাসামনি,আলিঙ্গন করল দুজনে, বহুদিন পরে মা ছেলের দেখা, আঁধার নামল। গোলাকার সোনালী আংটির মতো  বিচ্ছুরিত সোনালী আলোর আদরে আদরে  রূপালী চাঁদের সোনা রঙের কান্না এলো তবে। আকাশে চাঁদের কান্নার মেঘ জমতে লাগল, আঁধার নামল পৃথিবী জুড়ে, পথের আনাচে কানাচে,  জঙ্গলে, মহীরুহ বৃক্ষের কোলে। ছেড়ে চলে যেতে হবে অল্পক্ষণেই, ভালোবাসার নিশ্বাসে উঠল ঝড়, বাতাসের বেগ বাড়ছে,  ভাসমান জলকণা গুলো মিশে গেল  বাতাসে ওড়া ধুলিকণার সাথে। চাঁদের বুকফেটে কান্না এলো  আর কতক্ষণ থাকা যায়,  অশান্ত বাতাস ঠেলে সরিয়ে দিতে চাইছে, মহাশূণ্যে ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত চাঁদ, হারিয়ে যেতে চায় মায়ের বুকে।