Posts

Showing posts from October, 2025

আসা যাওয়া

আসা-যাওয়া সময়ের সাথে জ্ঞানগর্ভ আলোচনায়, জীবনের বহু মুহুর্ত কেটে যায়, চড়াই-উৎরাই এর প্রতিটি নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসে, অন্তরঙ্গতার রোদ-ছায়া খেলা চলে, স্মৃতির মণিকোঠায় ঘটনাগুলোর কিছু থাকে ধরা, কিছু অধরা, কিছু করে প্রাপ্তির ভাঁড়ার শূণ্য,কিছু আবার হারিয়ে ও যায়, দিবসের শেষে হাট হয় কোলাহল হীন, জনশূন্য, কেউ বাড়ি ফিরে যায়,কেউ পথ হারিয়ে রাস্তা খুঁজে বেড়ায়। জীবনের এই রঙ্গমঞ্চে সকলেই চলমান, ধাবমান এক অদৃশ্য সুতোর টানে, নেচে চলে পুতুল নাচের মত, অভিনয় করে করে, ঋতু আসে,চলে ও যায় সময়ের হাত ধরে, আসা-যাওয়ার এই খেলা চলে চিরন্তন, কেবল পরিবর্তন হয়,সময় আর পরিস্থিতির, শেষে পর্দার টানে যবনিকা পড়ে,আর...... অসার দেহ এলিয়ে পড়ে,নিদ্রা দেবীর কোলে।

কমরেড

প্রিয় কমরেড। দেবপ্রসাদ জানা  লাল রঙের কাপড়ে আঁকা কাস্তে হাতুড়ির  সাদা রং কালো হয়েছে অনেকদিন। কাস্তের কাজ হারিয়েছে- হাতুড়ির ঘায়ে চুরমার সংঘবদ্ধ সৈনিক। শিশুকাল ফিরে আসবে না কোনোদিন। সব ইতিহাস হয়ে যাচ্ছে। একবার যখন দেহ থেকে বার হয়ে যায় প্রাণ আবার কি ফিরে আসবে ? পৃথিবীতে এক রক্ত, লাল। রক্তেরও নানা জাতি। কালো হয়ে যাচ্ছে পথ, অন্ধ হয়ে যাচ্ছে সৈনিক। যদি আবার ফিরে আসে এক জাতির রক্ত অরুণোদয় আকাশে ওড়ে লাল পতাকা কোনো এক পরিচিত মুমূর্ষুর বিছানায় পাতা চাদরের রং হয় লাল তবেই রক্তিম অভিনন্দন  জানাবো আরো একবার।

ক্লান্ত চাঁদ

ক্লান্ত চাঁদ দেবপ্রসাদ জানা  পরিশ্রমী আকাশের বুকে ক্লান্ত চাঁদ হৃদয়ে প্রেমের শীর্ষ-প্রেমের  অপূর্ব আরক্ত বাসনা  শিউলির বুক চিরে পড়ে  সদ্যজাত শিশির । ম্রিয়মাণ সূর্যের অরুণোদয় আঁচলে   উদ্বেল কাশ কখনো কাঁদে কখনো হাসে।  চোরকাঁটা বিঁধে বিঁধে যায় এলোমেলো বাতাসে। আশ্বিন- কার্তিকে ঝোড়ো বাতাস মন্থা। চারিদিকে শূন্য করে মায়ের প্রত্যাবর্তন। কুয়াশাহীন বাতাসে, ঝরিছে শিশির; - প্রেমিকের মন নারীর অপরূপ- ভঙ্গিমা খুঁজে পাবে নক্ষত্রের কপাট খুলে যেখানে রব না আমি, রবে না হৃদয়ে হতাশা,  কুয়াশার গর্ভ বাসনা, সেই ভালোবাসা  অমৃতের খোঁজে ক্লান্ত চাঁদ আজ যেন চাতক।

স্বামী

🥀বিয়ে টা জোর করে দেয়া হয়। পরিবারের চাপে ও বাবা মায়ের দিকে তাকিয়ে কাউকে বুঝতে দেইনি আমি ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে করছি।😌😌 বিয়ের দিন রাতে আমার স্বামী যখন রুমে আসে ভয়ে আমি কাঁদতে থাকি। এই দৃশ্য দেখে সে ভাবে হয়তো পরিবারের জন্য। তখন সে সান্ত্বনা দেয়। আমার স্বামী দেখতে মো-টা কা-লো এটা দেখে আরও মন ভেঙে যায়। কলেজের সবার ক্রাশ, স্কুলের সবচেয়ে সুন্দরী, এমন নাম পেয়ে আসা মেয়েটার কপালে এরকম একজন জুটবে কখনো কল্পনাও করিনি। ভয় কাটিয়ে উঠে তাকে স্পষ্ট বলে দেই আমাকে স্পর্শ করার চেষ্টা টাও যেনো না করে। অবাক হলাম সে কিছু না বলে চুপচাপ ফ্লোরে শুয়ে পড়লো। কেমন যেনো একটা খারাপ লাগা কাজ করলো। রাত প্রায় ৩টা বাজে তখন ঘুম আসছিলো না। হঠাৎ শুনতে পাই হাল্কা কান্নার শব্দ। বুঝতে বাকি রইলো না সে কাঁদছে। তখন প্রচণ্ড মেজাজ খারাপ হচ্ছিলো। পুরুষ হয়ে আবার নেকা কান্না কাঁদবে কেন। জিজ্ঞেস করলাম সমস্যা কি দেখি একদম চুপ হয়ে গেছে। আবার জিজ্ঞেস করলাম উত্তর নাই। নিজেই নিচে গিয়ে সামনাসামনি দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করলাম কান্না করার কি আছে?- "আমি কখনো রিলেশন করার কথা চিন্তাও করিনাই কারণ আমি জানি আমাকে কেউ পছন্দ করবেনা। পরিবার থেকে বার বার ...

দেবী অনুসুয়া

দেবী অনুসুয়া কোটি বছর আগে, অত্রি ঋষির পত্নী অনুসুয়া সেই সময় ছিল অনেক বড় বৈজ্ঞানিক, তিনি ছিলেন সতী, মহাসতী, তার সুখ্যাতি যখন ব্রম্ভান্ড বিকশিত হচ্ছে, সেই সময় তিন দেবতা ব্রহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বর ঠিক করলেন অনুসুয়া কতখানি সতী দেখা দরকার, তাঁরা অত্রি ঋষির কুটিরে গেলেন ভিক্ষুকের বেশে, যখন অত্রি ঋষি ছিলেন না, অনুসুয়াকে তাঁরা খেতে চাইলেন, অনুসুয়া তাদের খেতে দিতে অন্নব্যঞ্জন নিয়ে আসলেন, কিন্তু তাঁরা তা খেলেন না বললেন তারা তার স্তন পান করবেন, তাতে অনুসুয়া লজ্জা পেলেন বটে, কিন্তু তৎক্ষনাৎ মন পরিবর্তন করে, বললেন আসুন, তাঁদের কুটিরে থাকা একটি বেদির ওপর দাঁড়াতে বললেন, তাঁরা সেখানে দাঁড়াতেই তারা ছয় মাসের শিশুতে পরিণত হলো, কথা মত তাদের স্তন পান করালেন অনুসুয়া, সৃষ্টি থেমে রইল। সেই তিন দেবতা শিশু, তাঁরা খেলা করছে অনুসূয়ার কোলে, সময় চক্র থেমে গেছে, দিনরাত বলে কিছু নেই। যাঁরা ব্রম্ভাণ্ড শাসন করে, তারাই যে আজ শিশু। ঘূর্ণন থেমে গেছে, সূর্য থেমে গেছে, সৃষ্টি থেমে গেছে, বায়ু থেমে গেছে। এদিকে তিন স্ত্রী তিনজন দেবতার খোঁজ পেয়ে সতী অনুসুয়ার কাছে উপস্থিত হলেন, সেখানে তাদের শিশু অবস্থা দেখে দেবী অ...

বদল

বদল দেবপ্রসাদ জানা বদলে যাচ্ছে সব,  লজ্জাহীন হচ্ছে পৃথিবী, উলঙ্গ হচ্ছে সব। তাদের কাপড়ে ঢাকা দেহ বড় হচ্ছে  অল্প অল্প করে ছিনিয়ে নিচ্ছে পৃথিবীর গায়ের আবরণ সবুজ মাঠ হলুদ হচ্ছে, অবলা প্রাণী শূন্য হচ্ছে,  পৃথিবীর সৌন্দর্য্য নারী, তারও আবরণে স্বল্পতা  হাত পা পেট উন্মুক্ত, মেকি আস্তরণ মুখমণ্ডলে  অসুস্থ হচ্ছে পৃথিবী,  ওষুধ চাই  সময়ের চেয়ে বড় কোন ওষুধ পৃথিবীতে নেই।  ক্ষত, ব্যথা, অভিমান, অভিশাপ, রাগ নি:সঙ্গতা সব সময়ের সাথে মিলিয়ে যাবে।

অখণ্ড উৎসব

অখণ্ড উৎসব দেবপ্রসাদ জানা  গভীর ঘুমেও বেঁচে থাকে মন দেশে যখন চলছে খরা ভাতের থালা যখন শূন্য  জলে, ভরা পেটে বাচ্চা নিয়ে মাছের  প্রসব বেদনায় আকাশ ছোঁয়া স্বপ্নএ কাটছে গভীর রাত। বেদনার ভিড়ে সময় হাতড়াই  হাতড়াই ফেলে আসা ক্লান্ত সময়  পেছন ফিরে তাকিয়ে থাকি - সব যেন নদী, শুধু স্রোত সেই বটতলার মাঠে কারো পায়ের শব্দ নেই। নির্জন বিকেলে শিশির জমে, ডুবে যায় ঝরে পড়া দুপাশের কাশফুল  শিউলি ফুলের গায়ে অজানা রোগ বড়ো মায়া লাগে গোধূলির আলোয়,  অপরাধী মনে হয়, ঘাসের ওপর পড়ে  মরে শিউলি দলিতের মৃত্যু !  শোষকের হাত ভেঙে, গুড়িয়ে দিতে চায় মন । অরণ্যের সম্পর্ক চারদিকে  হিংসা বিদ্বেষ খুন জখম রাহাজানি  প্রতিদিন বিভক্ত মানুষ।  নিহত মানবিকতা  উপেক্ষা বুকে নিয়ে, বাঁচে জীবন -  তবু সংগ্রাম বাঁচার লড়াই রক্তে ও মজ্জায়