Posts

Showing posts from January, 2025

অহংকার

অহংকার  একদিন ত্রিভুবন বিজয়ী বীর রাবণ ভাবলেন তার এই রমরমা এত ঐশ্বর্য এতো রত্নধন অথচ তার আরাধ্য দেবতা মহাদেব নিঃশব্দে নির্জনে সুদূর কৈলাশে নিঃস্ব রিক্ত ভাবে পড়ে আছেন, তাকে তিনি সোনার রাজপ্রাসাদে এনে রাখবেন, যেই ভাবা সেই কাজ, কৈলাশে গিয়ে দেবাদিদেব মহাদেবের নিকটে অতি অহংকারের সহিত বললেন, হে প্রভু আপনি কেন এই নির্জনবাস করছেন চলুন আমি আপনাকে আমার রাজপ্রাসাদে অতি সুখে রাখবো। কিন্তু মহাদেবের থেকে কোনো উত্তর না পেয়ে ভাবলেন, আমার যা শক্তি আছে পুরো পর্বতটাকেই তুলে লঙ্কায় নিয়ে যাবেন। রাবণ তার শক্তি দিয়ে দুই হাতে কৈলাশ পর্বত তুলতে গেলেন, পর্বতে নাড়া পড়তেই সারা পৃথিবী যেন নড়ে উঠলো, পর্বতের তলদেশে হাত ঢুকিয়ে রাবণ তুলতে যাবেন, তখন দেবাদিদেব মহেশ্বর একটু মুচকি হেসে, তার পায়ের বুড়ো আঙুল দিয়ে পর্বতটাকে একটু চাপ দিতেই লঙ্কেশ্বর রাবণের হাত পর্বতের নিচে আটকে গেল, বহু চেষ্টা করেও হাত বের করতে পারলো না, তখন সেই অহংকারী রাবণ শিবের ধ্যান করে শিবকে তুষ্ট করে নিজের হাত বের করল। এবং সেখান থেকে মাথা নিচু করে চলে এলেন। কিন্তু তার মন খুঁতখুঁত করতে লাগল, মনের অজান্তেই সে তার আরাধ্য দেবতার মনক্ষুন্ন করেছেন, তাই তি...

হনুমান

হনুমান  দেবপ্রসাদ  রাজ্য অভিষেক হয়ে গেছে যে যার ভালো ভালো পদ নিয়ে খুশি খুশি চলে গেছে। পড়ে আছে হনুমান। রাম তার বহু প্রশংসা করলেন, রাম বললেন বনবাসে হনুমান আমার দ্বিগুণ উপকার করেছে, লক্ষনের থেকেও বেশি। রাম বললেন বলো হনুমান  কোন পদ তুমি চাও, যেকোন একটা পদ নিয়ে খুশি করো আমাকে। বলো কি পদ চাও? একটা পদ তোমাকে দিই।  হনুমান বললেন এই রকম অন্যায় আপনার তরফ থেকে আশা করিনি মহামতি রঘুবীর রাম। - এ কথা কেন বলছো হনুমান? - এই তো বললেন আমি দ্বিগুণ উপকার করেছি, আমার তো দুদুটো পদ চাই। - হনুমান তুমি লোভী হয়ে গেছো ভাই। হনুমান রামের কাছে গিয়ে রামের দুটো পা জুড়িয়ে ধরে, বললেন,  - প্রভু আমার এই দুটো পদ চাই।

ফেসবুক

ফেসবুক খুললেই  বর্তমানে অধিকাংশ ফেসবুক ব্যবহারকারী বিশেষ করে মহিলা, 'আমাকে ফলো করুন' একটু ভালোবাসা দিয়ে যান, জড়িয়ে ধরে নয়, স্টার দিয়ে। আমার ফেসবুকের ফ্রেন্ড লিস্টে বা ফলোয়ার লিস্টে আসুন, ইত্যাদি ইত্যাদি।  হা পিত্যেস। কেউ কেউ আবার নিজেকে আকর্ষণীয় করতে ছোট অশ্লীল পোশাক পরছেন। এসব দেখে সত্যিই খুব খারাপ লাগে। কতটা নির্লজ্জ হলে এসব করা যায়? একটা স্টার দিন একটা স্টার দিন বলে ভিক্ষা করছেন। কেউ কেউ ইনবক্সে লিংক দিচ্ছেন। রান্নাবান্না, ঘর গৃহস্থালি, মার্কেটিং, গহনা, মাছধরা, বাজার করা, স্বামী স্ত্রীর ঝগড়া, মারামারি, পরকীয়ার গল্প, বৌদি দেবর, মিষ্টি প্রেমের গল্প, কিছু বাকি নেই, নাটক তো আছেই।       একটা অপসংস্কৃতি গ্রাস করে ফেলেছে আমাদের সমাজকে। আমাদের অস্থি মজ্জায় ঢুকে গেছে অপসংস্কৃতির জারক রস।  আচ্ছা বলুনতো যে দেশের দু-দুটো  মহাকাব্য সেই যুগের সমাজ  গল্পে রাজা একা ল্যাংটা ছিল ভয়ে কেউ তাকে ল্যাংটা বলতে পারেনি। এখানে ল্যাংটাদের সংখ্যা অনেক বেশি তাই যারা ল্যাংটা নয় তারা ও ভাবছে ল্যাংটা হওয়াটাই হয়তো স্বাভাবিক। আর ল্যাংটা গুলো দুহাত তুলে ধেই ধেই নেচে ...

স্ত্রী

বিবাহ এবং যৌন মিলন একে অপরের সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত, তবে সর্বদা যৌন ইচ্ছা থাকা সম্ভব নয়। স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক রয়েছে, তবে যখন সম্পর্কটি শেষ হয়ে গেলে স্বামী স্ত্রী পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপন শুরু করে তখন কী ঘটে তা কখনও ভেবেছিল । বিয়ের তিন বছর কেটে গেছে। একদিন স্ত্রী হঠাৎ ভাবলেন, "আমি যদি আমার স্বামীকে ছেড়ে চলে যাই তবে কী হবে?  এই ধারণাটি পরীক্ষা করার জন্য, তিনি তার স্বামীকে পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি একটি চিঠি লিখেছিলেন:   "আমি আপনার সাথে বাস করতে বিরক্ত। এই পরিবারের প্রতি আমার আর কোনও স্নেহ নেই। আমি আপনার সাথে এক মুহুর্তও থাকতে পারি না। সুতরাং, আমি আপনাকে এবং এই বাড়িটি চিরতরে রেখে চলেছি।"   টেবিলে চিঠিটি রেখে তিনি নিজেই বিছানার নীচে লুকিয়ে ছিলেন, তার স্বামী কী করে তা দেখতে।  কিছুক্ষণ পরে স্বামী অফিস থেকে বাড়ি ফিরে আসেন। তিনি দেখলেন স্ত্রী বাড়িতে কোথাও নেই। তিনি টেবিলে চিঠির দিকে তাকালেন। চিঠিটি পড়ার পরে, তিনি কিছুক্ষণ শান্ত হয়ে দাঁড়ালেন। তারপরে তিনি চিঠির পিছনে কিছু লিখেছিলেন, মোবাইলে গানটি বাজিয়েছিলেন এবং উচ্চস্ব...

বামাক্ষেপা

তারাপীঠ মহাশ্মশান। এক অদ্ভুত ব্রহ্মময় নিস্তব্ধতার সাক্ষী এই মায়াবী স্থান। আজ  অমানিশার গাঢ় অন্ধকারে ডুব দিয়েছে এই রহস্যে ঘেরা শ্মশানভূমি। চারিদিকে ঝিঝির ডাক, হালকা বাতাসে শুকনো পাতার খরখর, মাঝে মাঝে রাত পাখির কর্কশ চিৎকার ভেঙে দিচ্ছে শ্মশানের নিস্তব্ধতা, চারিদিকের অদ্ভূতুড়ে পরিবেশে ফিসফাস শব্দে জেগে উঠছে কিছু নিশাচর শক্তি। এদিক ওদিক ছড়িয়ে রয়েছে আধপোড়া মৃত দেহ, বিশ্রী গন্ধ ছড়াচ্ছে তাঁর থেকে। শৃগালের দল ওই মৃতদেহ টেনে ছিঁড়ে তাঁদের পেট ভরছে, মাঝে মাঝে তারস্বরে চিৎকার করছে তাঁরা। মরার খুলি, ভাঙা কলসি, সাদা থান, পোড়া কাঠ ছড়িয়ে রয়েছে এথায় ওথায়। ভয়ংকর অন্ধকারপুরীর রূপ নিয়েছে এই মধ্য রাতের মহাশ্মশান, যেন এক প্রেতরাজ্য। চারিদিকে অন্ধকারের মাঝে হালকা লালচে আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে ওই যে ওই শ্বেত শিমুল গাছের কাছে। দুটি চিতার প্রায় নিভে আসা আগুনে কিছুটা লালচে আভা ছড়িয়েছে সেই স্থানে। সেখানে পঞ্চমুণ্ডীর আসনের উপর রক্তাম্বরে ধ্যানমগ্ন হয়ে বসে আছেন এক পুরুষ মূর্তি, স্বয়ং তারাপীঠ ভৈরব শ্রীবামদেব, তারা পুত্র বামাক্ষ্যাপা। এই জনমানবহীন নিশিরাজ্যে তিনি একান্তে তারা মায়ের সাধনায় লিপ্ত। তাঁর সম্মুখ...

ভুতঃ

অনেক দিন আগের কথা। এক হাজার কি দেড় হাজার বছর তো হবেই। প্রাচীন গ্রীসে এথেন্স বলে একটা জায়গা ছিল। এথেন্স কিছু অপরিচিত নাম নয়, সবাই এর নাম শুনেছ ইতিহাসে। সেই এথেন্সেরই একটা পাহাড় ঘেরা ছোট্ট গ্রামে এক জঙ্গলের মধ্যে পুরনো একটা বাড়ি ছিল। বাড়িটা অবশ্য অনেকদিন ধরে খালি পড়েছিল। একে তো নির্জন পাহাড়ী অঞ্চল। তার ওপর বনজঙ্গল দিয়ে ঘেরা পরিবেশ। তায় পরিত্যক্ত। লোকজন না থাকলেও বাড়িটা কিন্তু খুব একটা ভাঙাচোরা অবস্থায় ছিল না। অর্থাৎ ইচ্ছে করলে পরিষ্কার করে সাজিয়ে গুছিয়ে নিয়ে বসবাস করা যায়।  কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার ওই বাড়ির যে মালিক সে কিন্তু হাজার চেষ্টা করেও অনেকদিন পর্যন্ত কাউকে ওই কুঠিটা ভাড়া দিতে পারেনি। আসলে পাহাড়ের ওপর নির্জন জঙ্গলের মধ্যে অবস্থিত কুঠিটার বেশ বদনাম হয়ে গিয়েছিল। একবার এক শান্তিপ্রিয় ভদ্রলোক কুঠিটা দেখে লোভ সামলাতে না পেরে ছুটি কাটাবার জন্য ঐ কুঠিতে কয়েকটা রাত কাটাতে আসেন। কিন্তু পরদিন সকালে দেখা গেল লোকটির মৃতদেহ পড়ে আছে কুঠির দালানে। প্রথম প্রথম ব্যাপারটা নিয়ে তেমন কেউ মাথা ঘামায় নি। তবে যাঁরা তাঁর মৃতদেহ দেখেছিল তাদের মধ্যে কিছু সন্দেহ দানা পাকিয়েছিল। কারণ, মৃত্যুর পরেও লোকটি...

ভুত-ং

সে আজ অনেক দিন আগের কথা। এক হাজার কি দেড় হাজার বছর তো হবেই। প্রাচীন গ্রীসে এথেন্স বলে একটা জায়গা ছিল। এথেন্স কিছু অপরিচিত নাম নয়, সবাই এর নাম শুনেছ ইতিহাসে। সেই এথেন্সেরই একটা পাহাড় ঘেরা ছোট্ট গ্রামে এক জঙ্গলের মধ্যে পুরনো একটা বাড়ি ছিল। বাড়িটা অবশ্য অনেকদিন ধরে খালি পড়েছিল। একে তো নির্জন পাহাড়ী অঞ্চল। তার ওপর বনজঙ্গল দিয়ে ঘেরা পরিবেশ। তায় পরিত্যক্ত। লোকজন না থাকলেও বাড়িটা কিন্তু খুব একটা ভাঙাচোরা অবস্থায় ছিল না। অর্থাৎ ইচ্ছে করলে পরিষ্কার করে সাজিয়ে গুছিয়ে নিয়ে বসবাস করা যায়।  কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার ওই বাড়ির যে মালিক সে কিন্তু হাজার চেষ্টা করেও অনেকদিন পর্যন্ত কাউকে ওই কুঠিটা ভাড়া দিতে পারেনি। আসলে পাহাড়ের ওপর নির্জন জঙ্গলের মধ্যে অবস্থিত কুঠিটার বেশ বদনাম হয়ে গিয়েছিল। একবার এক শান্তিপ্রিয় ভদ্রলোক কুঠিটা দেখে লোভ সামলাতে না পেরে ছুটি কাটাবার জন্য ঐ কুঠিতে কয়েকটা রাত কাটাতে আসেন। কিন্তু পরদিন সকালে দেখা গেল লোকটির মৃতদেহ পড়ে আছে কুঠির দালানে। প্রথম প্রথম ব্যাপারটা নিয়ে তেমন কেউ মাথা ঘামায় নি। তবে যাঁরা তাঁর মৃতদেহ দেখেছিল তাদের মধ্যে কিছু সন্দেহ দানা পাকিয়েছিল। কারণ, মৃত্যুর পরেও...

ভুত

সে আজ অনেক দিন আগের কথা। এক হাজার কি দেড় হাজার বছর তো হবেই। প্রাচীন গ্রীসে এথেন্স বলে একটা জায়গা ছিল। এথেন্স কিছু অপরিচিত নাম নয়, সবাই এর নাম শুনেছ ইতিহাসে। সেই এথেন্সেরই একটা পাহাড় ঘেরা ছোট্ট গ্রামে এক জঙ্গলের মধ্যে পুরনো একটা বাড়ি ছিল। বাড়িটা অবশ্য অনেকদিন ধরে খালি পড়েছিল। একে তো নির্জন পাহাড়ী অঞ্চল। তার ওপর বনজঙ্গল দিয়ে ঘেরা পরিবেশ। তায় পরিত্যক্ত। লোকজন না থাকলেও বাড়িটা কিন্তু খুব একটা ভাঙাচোরা অবস্থায় ছিল না। অর্থাৎ ইচ্ছে করলে পরিষ্কার করে সাজিয়ে গুছিয়ে নিয়ে বসবাস করা যায়।  কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার ওই বাড়ির যে মালিক সে কিন্তু হাজার চেষ্টা করেও অনেকদিন পর্যন্ত কাউকে ওই কুঠিটা ভাড়া দিতে পারেনি। আসলে পাহাড়ের ওপর নির্জন জঙ্গলের মধ্যে অবস্থিত কুঠিটার বেশ বদনাম হয়ে গিয়েছিল। একবার এক শান্তিপ্রিয় ভদ্রলোক কুঠিটা দেখে লোভ সামলাতে না পেরে ছুটি কাটাবার জন্য ঐ কুঠিতে কয়েকটা রাত কাটাতে আসেন। কিন্তু পরদিন সকালে দেখা গেল লোকটির মৃতদেহ পড়ে আছে কুঠির দালানে। প্রথম প্রথম ব্যাপারটা নিয়ে তেমন কেউ মাথা ঘামায় নি। তবে যাঁরা তাঁর মৃতদেহ দেখেছিল তাদের মধ্যে কিছু সন্দেহ দানা পাকিয়েছিল। কারণ, মৃত্যুর পরেও...

অবতার

দশাবতারের অন্ত্যলীলায় মহাদেবের ভূমিকা :— স্বামী গুণালয়ানন্দ  〰️〰️〰️〰️〰️〰️〰️ দেবতা ও মানবের কার্য সাধন করতে ভগবান শ্রীবিষ্ণু বারবার অবতীর্ণ হন। তারপর কার্য সমাধা হয়ে গেলে, প্রায়ই তিনি এমন সব কাজ করেন, যাতে দেবতা বা প্রকৃতির বিঘ্ন ঘটে। অথবা কখনো কখনো কার্য সমাধান করে তিনি কিছুতেই বৈকুণ্ঠে ফিরে যেতে চান না। কথায় বলে — ‘পঞ্চভূতের ফাঁদে ব্রহ্ম পড়ে কাঁদে’। তখন প্রতিবার শিব এসে যুদ্ধ করে তাঁর দেহটা বিনাশ করেন এবং তিনি হাসতে হাসতে বৈকুণ্ঠে চলে যান। এমনটাই হয় প্রায় প্রতিবার। ঈশ্বর বালক স্বভাব, হরিহর অভেদাত্মা, এই সৃষ্টি তাঁর খেলা, শিশুর মতই হয়তো বা তাঁদেরও একটু ইচ্ছা হয় যে—খানিক দুজনে যুদ্ধ খেলা হোক, তাই হয়তো বারবার এমনটা ঘটে। এতে অবতার লীলায় নাটকের শেষ অংকটাতে বেশ একটা মারমার কাটকাট ব্যাপার ঘটে। যেমন ছোট ভাই খেলতে খেলতে সন্ধ্যা হয়ে গেছে, ঘরে ফেরার নাম নেই, বড় ভাই এসে হিড়হিড়িয়ে ঘরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। এখানে দুই ভাইয়েরই অবদান রয়ে যায়। অভেদাত্মা বলে কথা, একের মহিমায় অপরে মহিমান্বিত। আশা করি কেউ ভুল বুঝবেন না। কৃষ্ণ-যজুর্বেদের স্কন্দোপনিষদে উক্ত হয়েছে— শিবায় বিষ্ণুরূপায় ...

বশিষ্ঠ

"মৃত্যু সবার জন্য পূর্ব নির্ধারিত" - "সত্য যুগে এক বার বশিষ্ঠ মুনি বিশাল এক যজ্ঞের আয়োজন করেছিলো। সেই যজ্ঞে স্বর্গ মর্ত্যের সবাইকে নিমন্ত্রণ করা হয়েছিলো। সেই যজ্ঞে চৌদ্দ ভূবনের ঋষিগণ, মুনিগণ ও সনাতন ধর্মের মহাজনরা সবাই আসতে শুরু করে। - সেই সময় যমরাজাও এই যজ্ঞে আসেন, তবে তিনি প্রধান ফটক দিয়ে ঢোকার সময় দেখেন একটি টিয়ে পাখি সেই ফটকের উপরে বসে আছে এবং তিনি একটু ভালো করে পাখিটিকে দেখলেন। টিয়ে পাখিও যম রাজাকে দেখলো এবং এও দেখলো যে, যমরাজা তারদিকে তাঁকিয়ে কি যেনো ভাবছে। - এতে পাখিটির অন্তরাত্মা কেঁপে উঠলো। কারন পাখিটি জানে যমরাজা যার দিকে দৃষ্টিদেয় তার মৃত্যু অনিবার্য। পাখিটি দুঃখিত হয়ে তার মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো।  - এই সময় পাখিটিদের ইষ্ট দেবতা গরুর পাখিও এই অনুষ্ঠানে আসতে ছিলো। টিয়ে পাখি গরুরদেবকে দেখে তার চরণে উড়ে এসে বসলো এবং তাকে আসন্ন মৃত্যুর থেকে রক্ষা করার জন্য গরুরদেবের নিকট অনুনয় বিনয় করতে লাগল। - গরুরদেব তাকে রক্ষা করার জন্য পাখিটিকে তার পিঠে চরিয়ে ভুবর্লোকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে অনেক উপরে উঠার জন্য উড়ে গেলো। - ভুবর্লোকে গিয়ে দেখে তার পিঠে বসা পাখিটি নেই। গর...

কালিঘাট

মহাতীর্থ কালীঘাট (নৃপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস ।ইন্দ্রনগর,বহরমপুর।) আধুনিক কলিকাতা আজ পরিপূর্ণ জনবহুল মহানগরী ।মহানগরীর বুকে অবস্থিত মহাতীর্থ কালীঘাট সতীপীঠ ।সত্যযুগে স্থানটি ছিল পুণ্য সলিলা পতিতপাবনী মা গঙ্গার তীরবর্তীর গভীর অরণ্যভূমি ।তারই মাঝে লুক্কায়িত এক মহাতীর্থক্ষেত্র ।এখানে বসে বহুকাল ধরে তপস্যা করে প্রজাপতি ব্রহ্মা তাঁর বাঞ্ছিত ফল লাভ করেছিলেন ।দেবী ভাগবত ,স্কন্দ পুরাণ ও লিঙ্গ পুরাণের বর্ণনায় বর্ণিত লোমহর্ষক ইতিহাস আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে ।    পুরাকালে আদ্যাশক্তি মহামায়া ত্রিকালেশ্বর মহাদেবকে পতিরূপে পেতে চান ।তাই তিনি সাকাররূপ নিতে  যাচ্ছেন ।ব্রহ্মার পুত্র প্রজাপতি দক্ষ তাঁকে কন্যারূপে পেতে সাধনায় বসেন ।সাধনায় সন্তুষ্ট হয়ে আদ্যাশক্তি মহামায়া জানান ,তিনি তাঁকে কন্যারূপে পাবেন ।তবে ,দেবাদীদেব মহাদেব তার পতি হবেন ।সুনির্দিষ্ট সময়ে আদিমাতা শতরূপা ও আদিপিতা মনুর কন্যা ,দক্ষরাজের পত্নী প্রশুতি ,দেবীশক্তিকে জন্ম দেন । নাম রাখেন সতী ।দক্ষরাজের কন্যা বলে তাঁকে দ্রাক্ষায়নীও বলতেন ।যৌবনবতী সতী বিবাহযোগ্য হলে দক্ষরাজ তাঁর প্রতিশ্রুতির কথা বিস্মৃত হন ।দেবাদীদেব মহাদেবকে সহ্য করতে...