জলন্ত কলম
জলন্ত কলম দেবপ্রসাদ জানা কালরাতে কেউ আর ঘুমোতে পারেনি সারা পৃথিবীর লোক, কলম খুঁজেছে মানুষের এ-তখত্ তাউসের নিচে পুঁতে দিতে চেয়েছিল, অগ্নি, অগ্নিবীজ। অগণিত লোক যার দৌরাত্মে লাঞ্ছিত ভীরু চোখে খোঁজে তারা ঘূর্ণির-তাণ্ডব, রোদ বৃষ্টি মেঘ বিদ্যুৎ, স্বপ্নের দুর্ভিক্ষ শঙ্কাহরণ পরশে তোমার ঝলসে ওঠা প্রতিবাদ আমি করতে পারিনি। মরণজয়ী স্বাধীন ইচ্ছে দিয়ে তাকে সাজিয়ে নিলাম নষ্ট রাতের আকাশ নতুন তারার আলো, যে দীপান্বিতায় নিশুতরাতের দোর ভেঙে বাইরে এলাম পাথর চাপায় পড়ে আত্মাগুলো আজ, শহীদ বেদীর ভাঙা, স্মৃতিস্তম্ভ তলে। স্বতঃস্ফূর্ত বিস্ফোরণে আগুন ছড়ায় ভাইয়ের চোখে, চোখে আলোকিত চোখ ভালোবাসার মন্ত্রে কাঁপে দিবানিশি চোখের তারায় জন্মে, কত অহংকার। ঘৃণায় পাষাণ স্মৃতি। দ্রুত হাওয়ার শব্দে ফুটিবে কমল, ভালোবাসা ভাষা। তোমার ভাষায় কণ্ঠ জোড়া গুণগানে শক্তিশালী কলমের শব্দ প্রতিবাদে আমার অনন্তকাল জুড়ে উদ্ভাসিত।