Posts

Showing posts from March, 2023

বদল

কিছুটা বদলে দিতে হবে হাতের কলম খানি কিছুটা বদলাতে হবে কলমের কালি সাতটি রঙের রামধনু, রাতের জোছনা তবু কলমের অন্তঃপুর, গাঢ় আঁধার। আর তোমার দেওয়া আঘাতের চিহ্ন। কিছুটা বদলাতে হবে, মাটির নিচে থাকা ইতিহাস,  রক্তমাখা দুঃখের ধারালো ছুরিটাকেও, মহেঞ্জোদাড়ো হরপ্পার মাঝে বহে যাওয়া  নীলনদের জল। তাজা উষ্ণ অতি তীব্র ফুটন্ত  রুধির। তবু বদলে যাবে… পৃথিবী ধাপে ধাপে  যত ওপরে উঠি ধাপে ধাপে জড়ায় আঁধার। বদলে দাও, তুমি বদলাও। দৃষ্টির আড়ালে গভীর রহস্য। মায়ের জঠরে আশ্চর্য সেই বীজ। ঢুকে পড়বে পাঁচজন বদমাশ খুনী,   যখন যেখানে পাবে, ভেঙে রেখে যাবে,   তোমার সোনার সংসার, আঘাতটা নাও।    বদলে যাও, বদলে যাও, কিছুটা বদলাও!

নিশ্চল পৃথিবীর দিকে

নিশ্চল পৃথিবীর দিকে দেবপ্রসাদ জানা দুহাতের মুঠোয় ধরা, বিষাক্ত বাতাস, চৈত্র নয় বৈশাখের মধ্যাহ্নে। দাঁড়িয়ে আছো বোধের জোছনা মেখে ঘুমিয়ে পড়া, পাথরের মতো, তুমি নীবর নিশ্চল। কী ভাবে ভাঙাবো ঘুম? লাল নীল সবুজ কালো কত রঙের বিষ মিশে যাচ্ছে বাতাসের সাথে,  ভাঙচুর ভিতরে ভিতরে ভারসাম্যহীন খেলা,  পাথর হয়ে থাকা, জীবনের প্রতিটাক্ষণ কীভাবে--- অপার্থিব তামাসাটুকু বুঝে নিতে জীবন গেলো- মৃত্যুর স্রোতে বেঁকে।  কালের বল্মীক কুরে কুরে খেল মন,  কত অন্তরঙ্গ কথা হলো মৃত নক্ষত্রে বসে,  কত তারা গেলো খসে, অজান্তে আচম্বিতে। আমাকে নিঃশব্দে ফেরালে ঘুমে,  অচেনা কঠিন স্বরে, ডেকে ওঠা পাখির কর্কশকণ্ঠের, গানে... তোমার আত্মরব আসে শূন্য মহাশূণ্য হতে, আমি দিকভ্রান্ত, ঝিলের জলে ডুবে যাওয়া চাঁদের তরঙ্গ হওয়া দেখি। চির অস্তমিত সূর্যের দেশ কামনার আধার- বিষের পসরা সাজিয়ে প্রতিদিন- প্রতিক্ষণে মেঘ আসে।  কী আশ্চর্য? সেই বোধহীনতার মরারোদে  মৃত্যুর-আঙিনা সেজে উঠেছে।   সহস্র দয়ার খুলে দাঁড়িয়ে আছি, প্রত্যাশিত ভোরের  ফুল হাতে ।  এক অবরদ্ধ স্তব্ধতায় আমাকে শূন্যে নিয়ে যাবে কেউ ন...

কবিতা কলমের চিৎকার

কবিতা কলমের চিৎকার। দেবপ্রসাদ জানা জানি না, আমার চিৎকার কেউ শুনছে কিনা? তুমি যদি, না শুনতে পাও, আমার চিৎকার। যদি উদাসীনতায় ফেরাও তোমার মুখ, তোমাকে ডেকে বলতে হয় আমি চিৎকার করছি, বোধে-আর্তিতে জাগাতে চেষ্টা করি, তোমাকে - তবুও যদি আমার প্রতি তুমি নির্বিকার,  স্থির হয়ে থাকো। তবে- বসন্ত এলে, ডালে-গ্রন্হিতে যে শিহরন জাগে,  আগুন লাগে পলাশ বনে,  কাগজের ঠোঙায় মুখ লুকিয়ে- থাকেনি বসন্ত, সে শুনেছে আমার চিৎকার  আর শিহরন গুনছে আমার চিৎকারে। আমি চিৎকার করলে - চঞ্চলতা পেয়ে যায় মরাनদী, বাউল গানের সুর বাজে ছোট ডিঙিতে, যুবক বাতাস নৌকার পালে আলগোছে ঠেলা দেয়। আমি চিৎকার করলে পাখিরা- ডানায় ভর করে উড়ে যায়। পৃথিবীর বুকে ছেড়ে অনন্তে মিলায়। আমি চিৎকার করলে, আগ্নেয়গিরি জেগে ওঠে, সমুদ্রে ওঠে উত্তাল ঢেউ, বর্ষা আসে নেমে, সোনালী রোদ্দুর ছড়ায় প্রাণে,  আরোগ্যা হয় পৃথিবী। আমি চিৎকার করে আন্দোলনের কথা বলছি। বিপ্লবের প্রথম সোপান গড়ছি।  আমার বুকে রক্তে, আমি ইতিহাস লিখেছি, আমার কালো রুধির আঁচড়ে, তুমি শোননি পৃথিবী শুনেছে, প্রকৃতি শুনেছে আমার নিনাদ।

চাঁদের হাসি

বিষয়- চাঁদের হাসি বাঁধ ভেঙেছে। শিরোনাম - মধ্যরাতে কলমে- দেবপ্রসাদ জানা তারিখ - ২৬.৩.২০২৩ মধ্যরাতে ঘুম ভেঙে দেখি, সেও সারা রাত জেগে আছে। সে হাসছে শুধু হাসছে।  বাঁধ ভাঙ্গা নদীর স্রোত যেমন- দুই চোখে ঘুম লেগে আছে তার।  মেঘের চাদরে শরীরের থেকে ঘুম নেমে পড়ে  যেন পায়ে হেঁটে চলে যাচ্ছে দূরে গভীরে। কালো অন্ধকার তার হাসি কেড়ে নিতে পারেনি।  এক বুক হাসি আলো নিয়ে কাঁচা ধানের শিষে- কুঁড়ে ঘরের চালে, ফুল ফুটিয়ে- বুনেদী জানালায় উঁকি মেরে,  নদীর বুকে হারিয়ে যাচ্ছে।

শ্রী কৃষ্ণের রাক্ষস বধ

শ্রী কৃষ্ণের রাক্ষসবধ দেবপ্রসাদ দুষ্টের বিনাশ করে এই জগৎ সংসারে শান্তি আনতে ভগবান যুগে যুগে বিভিন্ন অবতারে আবির্ভূত হন। বিভিন্ন পুরাণ ও মহাভারতের কাহিনী গভীরভাবে পড়লে দেখা যায়, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অসংখ্যবার দুর্গতদের রক্ষা করেছিলেন। এই গ্রন্থগুলোতে শ্রীকৃষ্ণকে বারবার দানব সংহারী হিসেবে আবির্ভূত হতে দেখা গেছে।  ১. পুতনা বধ – এক মাস বয়সে পুতনা রাক্ষসীকে বধ করেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। অত্যাচারী রাজা কংস আপন ভাগ্নে শ্রীকৃষ্ণকে হত্যার জন্য পুতনা রাক্ষসীকে পাঠিয়েছিলেন। পুতনা মায়াবলে সুন্দরী স্ত্রী মূর্তি ধারণ করে নন্দের গৃহে আসে। সেখানে সবার অলক্ষে সে শিশু কৃষ্ণকে মাতৃস্নেহে বিষমাখা স্তন পান করিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। শ্রীকৃষ্ণ পুতনার গুন পানকালে তার জীবনীশক্তি শোষণ করে তাকে বধ করেন। মৃত্যুকালে পুতনা দানবীর রূপ ধারণ করে চিৎকার করতে করতে বিশাল জায়গা জুড়ে পতিত হয়।  ২. শকটাসুর বধ — শ্রীকৃষ্ণের বয়স তখন মাত্র তিন মাস। মা যশোদা তাঁকে উঠোনে একটি খাটে শুইয়ে যমুনায় স্নান করতে গিয়েছিলেন।। স্নান শেষে ফিরে এসে দেখেন উঠোনে ভাঙা খাট, কৃষ্ণ সেখানে নেই। হতবিহবল যশোদা ঘরে ঢুকে দেখেন কৃষ্ণ বিছানায় শু...

অবুজ মেঘ

অবুজ মেঘ দেবপ্রসাদ জানা ছাতার স্টিকের মতো-  হাড়ে হাড় জুড়ে আছে, সারা দেহ জুড়ে,  হাতে পায়ে বুকের পাঁজরে।  ভিতরেই কোনো ফাঁকে কয়েক জোড়া হাড়, হৃদয়টাকে ঢেকে রাখে আদরে, মায়ের মতো আঁচলে ঢাকা শিশু। বাইরে অবুঝ মেঘ, বেপরোয়া বাতাস। মুখোশে ঢাকা কয়েকটা চোখ, আনচান করে, অভুক্ত বনের পশুর মতো, তবুও- মায়ের আঁচলের বাইরে মদিরার নেশা। ছুঁতে চায় রসাল ঠোঁট, কি করে কি জানি বদ্ধ হাড়ের খাঁচা ছেড়ে একদিন হৃদয়টা লাফিয়ে বেরিয়ে পড়ে, অজানা এক আবেগের টানে। অবুজ মেঘের অন্ধকারে।

অন্ধকারে

অন্ধকারে দেবপ্রসাদ জানা অরণ্যের অন্ধকারে, আদিম সর্দার  সেজে, মহুয়ার রসে হয়েছি মাতাল। উপজাতি রমণীর, সৌন্দর্য সম্ভার দেখি রূপালী জ্যোৎস্নায়, এ কোন সকাল? তার সোহাগের ডোরে বাঁধা হয়ে গেছি মহুয়ার বনে সেই,  আত্মার ক্ষুধায়। গুপ্ত কোমল হৃদয়, ছিনিয়ে নিয়েছি তৃষ্ণার জল, করেছি, তারে পিপাসায়। প্রেম পিপাসায় আমি, আকণ্ঠ উন্মাদ  ক্ষোভে ও ঈর্ষায়, সেই অশান্ত নগরী প্রেমিকের প্রেমঘন, মনের আস্বাদ দস্যুর মত লোমশ, থাবা মেরে ধরি। হাজার প্রশ্নের ভিড়ে, ছিল শুধু আশা। উত্তর দেবেই কেউ, দেবে ভালোবাসা।  খুনীকে খুনীর পাশে রেখে এখানে এসেছি, তুমি    আমাকে বলো না আর ফিরে যেতে, যেখানে কেবলি পাপ, পরাজয়    পণ্যের চাহিদা, লোভ, তিরীক্ষু-মানুষ- যারা কোজাগরী ছুরি    বৃষ্টির হল্লায় ধুয়ে প্রতি শনিবারেযায় , যারা    তমসায় একফোঁটা আলোও এখন আর উত্তোলন করতে জানে না।    আঙ্গুলের ফাঁক দিয়ে ঝরে পড়ে কেবলি যাদের রক্ত, রাত্রিবেলা আমি আজ    তোমার তৃষ্ণার নীচে নিভৃতের জ্যোৎস্নায় হাঁটু গেড়ে বসেছি আদিম আজ    এখন...

দানবীর কর্ণ

দানবীর কর্ণ দেবপ্রসাদ  শুধু মহাভারত নয় তথা ভারতে যদি সত্যিকারের দাতা কেউ ছিলেন, তিনি হলেন কর্ণ। তিনি নিজের মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও কবচ-কুণ্ডল পর্যন্ত দান করতেও দ্বিধা করেননি। এ হেন কর্ণকে দানবীর আখ্যা দেওয়ায় একবার বেশ ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন অর্জুন। তিনি শ্রীকৃষ্ণকে প্রশ্ন করেন যে কেন কর্ণকেই দাতা বলা হবে? গরীব-দুঃখীকে দান কি অন্য কেউ করেন না?  আমরাও তো দান ধ্যান কম করি না?  এর উত্তরে শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে একটা সোনার পাহাড়ের কাছে নিয়ে যান। সেখানে তিনি অর্জুনকে বলেন 'এই পাহাড়ে যত সোনা আছে, সব গ্রামবাসীদের মধ্যে ভাগ করে দাও। দেখো একটি কণা সোনাও যেন পড়ে না থাকে।' অর্জুন তখন পাশের গ্রামে গিয়ে গ্রামবাসীদের বলেন যে তিনি তাঁদের সোনা বিলি করবেন। সেই কথা শুনে সব গ্রামবাসীরা অর্জুনের নামে জয়ধ্বনি করতে করতে তাঁর সঙ্গে আসেন। দু-দিন দু-রাত ধরে একটুও বিশ্রাম না নিয়ে সোনা বিলি করতে থাকেন। কিন্তু একা হাতে পাহাড়ের বিশেষ কিছুই তিনি তখনও খুঁড়ে উঠতে পারেননি। গ্রামবাসীদের লাইনও তখন আরও দীর্ঘ হয়েছে। ক্নান্ত অবসন্ন অর্জুন কৃষ্ণকে বলেন যে একটু বিশ্রাম না করে তিনি আর পারছেন না।  শ্রীকৃষ্ণ তখন মুচকি...

কর্ণ ও অর্জুন

কর্ণ ও অর্জুন দেবপ্রসাদ মহাভারতের দুই যোদ্ধা ছিলেন কর্ণ ও অর্জুন। যাদের বীরত্ব কথা সকলেরই জানা আছে। কিন্তু আপনারা কি জানেন? এই দুই যোদ্ধা কে ছিলেন? রামায়নের সুগ্রীব ও বালীর কথাও আমরা সবাই জানি, কিষিন্ধ্যার দুই বানররাজ। সুগ্রীব ছিলেন সূর্যদেবের পুত্র আর  বালী ছিলেন দেবরাজ ইন্দ্রের পুত্র। সুগ্রীব আর বালী দুইজন ভাই ছিলেন। বালী ঋক্ষরজার মৃত্যুর পর কিষিন্ধ্যার রাজা হন এবং তিনি খুব শক্তিশালী ছিলেন। আর এই বালিকে তার ভাই সুগ্রীব ছল করে বালীকে বধ করেছিল। যার ফলে বালী মৃত্যু ঘটেছিল। কিন্তু সুগ্রীব এই ছল করার জন্যেই অভিশাপগ্রস্ত হন ।যার ফলে রামায়ণ যুগ শেষ হওয়ার পর ও মহাভারত যুগ শুরুর আগে সুগ্রীব দম্ভোদভব নামের একটি রাক্ষস হয়ে জন্ম নিতে হয়েছিল। এই দম্ভোদভব সূর্যের পরম ভক্ত ছিলেন । আর সেই দম্ভোদভব সূর্যের তপস্যা করে ১০০ টি কবজ লাভ করেছিলেন। যার ফলে ওই ১০০ টি কবজ ধ্বংস না করে তাকে বধ করা যাবে না। ওই কবজ গুলিকে একবারে ১ টির বেশি ধ্বংস করা যাবে না এবং ওই ধ্বংস করার জন্যে এক হাজার বছর ধরে তপস্যা করেছে এমন একটি ব্যক্তি করতে পারবে। এছাড়াও একটি কবজ ধ্বংস করার পর ওই ব্যাক্তির মৃত্যু ঘটবে। এই কারণে...

সুর্যোদয়ের দিকে

সুর্যোদয়ের দিকে দেবপ্রসাদ জানা লাল আবিরের ছোঁয়া, লেগেছে গগনে। অবাক ফাগুণ চেয়ে, দেখে আনমনে। সুন্দর এসেছে আজ আমার দুয়ারে। অপরূপ আপ্যায়নে, আদরে আদরে। হলুদ ফুলের ছায়া, দিয়ে রাখি তারে। সুন্দর এসেছে রিক্ত, সুন্দরের তরে।  হে শূন্যতার জ্বালা না-পাওয়ার ক্ষত। বোধের ভিতরে বোধ, ঝরে অবিরত। আলিঙ্গন করে যায়, বাতাসের ঘ্রাণ। কপাটহীন দরজা, দাঁড়িয়ে অম্লান। নীল আলো থর থর কাঁপিতেছে দূরে। দূরান্তের গ্রামে দেখি, পড়েনি নজরে। উদভ্রান্ত সুন্দরেরা, কুয়াশা মাড়িয়ে। হেঁটে যাচ্ছে ধীর লয়ে, নব সূর্যোদয়ে।

বসন্ত এলে

বসন্ত এলে দেবপ্রসাদ জানা লাল আবিরের ছোঁয়া লেগেছে গগনে। অবাক ফাগুণ চেয়ে, দেখে আনমনে । পাতা ঝরে, শব্দ পাই, সোনাঝরি বনে। কথা বলে ঝরা পাতা,  সবুজ কাননে। পাথর-প্রাণে জমেছে, প্রত্যাশা-শিশির।  পৃথিবী ভরা খুশির,  উৎসবে আবির- বসন্তের গায়ে লেগে, বড়ই অস্থির। ঝটিকা আকাশে নীল, হয়েছে গম্ভীর।  জীবনের বর্ণময় ,সোনালী রোদ্দুর- ডানা মেলে উদাসীন. যাবে কতদূর? আকাঙ্ক্ষার চাঁদে দেখি, জ্যোৎস্না ভরপুর। রূপালী জোছনা করে,  সোহাগ প্রচুর। বুকের ভেতরে জন্মে, বাসনার নদী। সে বসন্তে তুমি ছিলে, আজ থাকো যদি, আগুন হয়ে ফাগুনে, পার হবো নদী। বন্ধনের সুতোটায় পড়ে ছিল, টান। প্রেমের চন্দন মেখে গেয়ে ছিলে গান। পলাশের বনে ফুল করে অভিমান। শাশ্বত নক্ষত্র আলো জ্বেলে দিয়ে যান। প্রত্যাশা পীড়িত হই, আমি অনাদরে, বসন্ত এসেছে, তাই, প্রণত রোদ্দুরে,  বিছিয়ে বিষণ্ণ পাতা, নিজের ভিতরে,  শুষ্ক পাপড়ি ছড়িয়ে,বসে আছি ঘরে। তোমার গন্ধ আমার,  ঘুমন্ত মুকুল।  জেগেছে ঘুমিয়ে থাকা,প্রেমের বকুল।