কবিতা-৩
গুহার খোঁজে
আমরা কি সব দল বেঁধে জঙ্গলের দিকে এগোছি?
অন্ধকার গুহার খোঁজে -কিংবা জঙ্গলে -
জঙ্গল মানে হিংস্র-জঙ্গল মানে হত্যা
জঙ্গল মানে নিঃশর্ত মৃত্যু , জঙ্গল মানে পশুদের বাস।
আর তার মধ্যে গুহা।
যে গুহা গুলির খোঁজ,এখনো সরকার পায় নি -
বা কারোর চোখে পড়েনি।
অন্ধকার গুহার খোঁজে -কিংবা জঙ্গলে -
জঙ্গল মানে হিংস্র-জঙ্গল মানে হত্যা
জঙ্গল মানে নিঃশর্ত মৃত্যু , জঙ্গল মানে পশুদের বাস।
আর তার মধ্যে গুহা।
যে গুহা গুলির খোঁজ,এখনো সরকার পায় নি -
বা কারোর চোখে পড়েনি।
তিন বা চার বছরের কন্যা-তার ধর্ষণ !
অবাক কান্ড -রেল পথে, বাস পথে,গলির ধারে -
পোড়ো বাড়ির কোনে-ফুটপাতে-
ধান জমির আলে-খালের পাড়ে-
অফিসে,গ্যারেছে,পার্কে,কোথায় পড়ে নেই?
ধর্ষিতা নারী -থুড়ি
তিন থেকে তিরাশি-নিস্তার নেই-
মাষ্টার ছাত্রীকে,প্রেমিক প্রেমিকাকে
বন্ধু বান্ধবীকে,গাড়ির চালক
অফিস কলিগ্,প্রতিবেশী -
কে নেই এই দলে? হন্যে হয়ে এগিয়ে চলেছি
জঙ্গলের দিকে,অন্ধকার গুহা খোঁজে।
আদিম হতে।
===
অবাক কান্ড -রেল পথে, বাস পথে,গলির ধারে -
পোড়ো বাড়ির কোনে-ফুটপাতে-
ধান জমির আলে-খালের পাড়ে-
অফিসে,গ্যারেছে,পার্কে,কোথায় পড়ে নেই?
ধর্ষিতা নারী -থুড়ি
তিন থেকে তিরাশি-নিস্তার নেই-
মাষ্টার ছাত্রীকে,প্রেমিক প্রেমিকাকে
বন্ধু বান্ধবীকে,গাড়ির চালক
অফিস কলিগ্,প্রতিবেশী -
কে নেই এই দলে? হন্যে হয়ে এগিয়ে চলেছি
জঙ্গলের দিকে,অন্ধকার গুহা খোঁজে।
আদিম হতে।
===
সংসারে
ঘরে ফিরে সেই বেচারা র বিষম ব্যথা মনে।
দুই দুইটি মেয়ে যে তার,কথা নাহি শোনে।
রাত্রি জাগে চিন্তা বড়,কেমনে বোঝায় তাদের।
বাপের কথা কানে তোলে না,বয়স বাড়ছে ওদের।
কপালে রাখি দক্ষিন হস্ত,চিন্তায় দিশাহারা।
যাদের জন্য চিন্তা করে,তারাই যে ছন্নছাড়া।
শরীরটা আর যায় না সঠিক,যন্ত্রনাতে ভরা।
গাঁটে ব্যথা পায়ে ব্যথা,সবই জং ধরা।
হঠাৎ মেয়ের কি যে হলো,মিষ্টি মিষ্টি কথা।
কেন বাবা এমন করছো,মনে লাগে ব্যথা।
কষ্টে হাসে মেয়ের বাবা,তুই হাসালি মোরে,
দুপুর বেলা উঠে বলিস,আজ উঠেছি ভোরে।
যাই করিস, পড়া করিস,মনের মত করে।
ক্লাসে যেন তুলতে না হয়,নেতা হোতা ধরে।
ভেবো না বাবা রেজাল্ট মোদের,ভালো নম্বর পাবে।
সেদিন না হয় মোদের সাথে,রাগ করে রবে।
দুঃখ একটু কম হলেও,চিন্তা মনে পাই।
খাওয়া নিয়ে পড়া নিয়ে,সারাদিনের লড়াই।
দুই মেয়েতে লাঠালাঠি,কিছু একটা নিয়ে।
কে আগে কে যে পরে,বুঝবে কি তা দিয়ে।
সংসারের নাম ধুম্রকুন্ড,দেখা যায় না কিছু।
যতই তাড়াও সমস্যা গুলো,তবুও নেয় পিছু।
সারাদিনের হাড় খাটুনি,বসের কাছে মুখ।
এটা ওটায় ভুল হয়ে যায়,তাতেই বাড়ে দুখ।
ঘরের চাপে অফিসে ভুল,অফিস ছাড়লে ঘরে।
কোন কাজটা যাবে না রাখা,বলা যাবে না পরে।
সংসার টা এক মেঘপূঞ্জ,মেঘ ঢাকা আলো।
রামধনু রং ঘিরে থাকে,বাইরে থেকে ভালো।
সংসার ধর্ম বড় ধর্ম সাধু জনে কয়।
সংসার যে করে নি তারা তাই মনে হয়।
এত কষ্টের মধ্যে ও থাকে ভালোবাসার টান।
সংসার নামে সুখ পাখিটা সদাই করে গান।
======
দুই দুইটি মেয়ে যে তার,কথা নাহি শোনে।
রাত্রি জাগে চিন্তা বড়,কেমনে বোঝায় তাদের।
বাপের কথা কানে তোলে না,বয়স বাড়ছে ওদের।
কপালে রাখি দক্ষিন হস্ত,চিন্তায় দিশাহারা।
যাদের জন্য চিন্তা করে,তারাই যে ছন্নছাড়া।
শরীরটা আর যায় না সঠিক,যন্ত্রনাতে ভরা।
গাঁটে ব্যথা পায়ে ব্যথা,সবই জং ধরা।
হঠাৎ মেয়ের কি যে হলো,মিষ্টি মিষ্টি কথা।
কেন বাবা এমন করছো,মনে লাগে ব্যথা।
কষ্টে হাসে মেয়ের বাবা,তুই হাসালি মোরে,
দুপুর বেলা উঠে বলিস,আজ উঠেছি ভোরে।
যাই করিস, পড়া করিস,মনের মত করে।
ক্লাসে যেন তুলতে না হয়,নেতা হোতা ধরে।
ভেবো না বাবা রেজাল্ট মোদের,ভালো নম্বর পাবে।
সেদিন না হয় মোদের সাথে,রাগ করে রবে।
দুঃখ একটু কম হলেও,চিন্তা মনে পাই।
খাওয়া নিয়ে পড়া নিয়ে,সারাদিনের লড়াই।
দুই মেয়েতে লাঠালাঠি,কিছু একটা নিয়ে।
কে আগে কে যে পরে,বুঝবে কি তা দিয়ে।
সংসারের নাম ধুম্রকুন্ড,দেখা যায় না কিছু।
যতই তাড়াও সমস্যা গুলো,তবুও নেয় পিছু।
সারাদিনের হাড় খাটুনি,বসের কাছে মুখ।
এটা ওটায় ভুল হয়ে যায়,তাতেই বাড়ে দুখ।
ঘরের চাপে অফিসে ভুল,অফিস ছাড়লে ঘরে।
কোন কাজটা যাবে না রাখা,বলা যাবে না পরে।
সংসার টা এক মেঘপূঞ্জ,মেঘ ঢাকা আলো।
রামধনু রং ঘিরে থাকে,বাইরে থেকে ভালো।
সংসার ধর্ম বড় ধর্ম সাধু জনে কয়।
সংসার যে করে নি তারা তাই মনে হয়।
এত কষ্টের মধ্যে ও থাকে ভালোবাসার টান।
সংসার নামে সুখ পাখিটা সদাই করে গান।
======
এখানে বিষ
শুনে এলাম আর জি কর এ ভর্তি নাকি চারজনে।
লক্ষ্মী,সরস্বতী,কার্তিক, গণেশ, মা কাঁদে অসুর সনে।
দূগ্গা মাগো কাঁদছ কেন?
লক্ষ্মী,সরস্বতী,কার্তিক, গণেশ, মা কাঁদে অসুর সনে।
দূগ্গা মাগো কাঁদছ কেন?
সন্তান হারানোর ব্যথা যেন লেগেছে তোমার মনে।
শহর তোমাদের বিষ দিয়ে স্লো পয়জনে মারবে।
এখানে বাতাস বিষে ভরা অক্সিজেন তো লাগবে।
গাড়ি চলার ধোঁয়াতে বিষ। জলে মেশা আর্সেনিক বিষ।
এই নিয়ে তো আছি।
এখানে শিশুর দুধে বিষ। এখানে রুগীর পথ্যে বিষ।
কেমন করে বাঁচি?
সবজি কাঁদে ফলিডলে এমন বিষটা তেজি।
শিশু মাছ কিসে ফোলে একমাসেতেই কেজি।
এখানে বেগুন চকচকে। এখানে ভেন্ডি লকলকে।
এখানে ফসলে ইউরিয়া। এখানে ডেঙু ম্যালেরিয়া।
এখানে উচ্ছে পটল মুলো।বিষ খেয়েছে অনেক গুলো।
তাই খেয়েতো বাচ্চা গুলো। হাসপাতালে গেলো।
এখানে বিষাক্ত সবুজ রঙে রাঙিয়ে তোলা তাজা ঢঙে।
দোকানে সাজানো থাকে। এই শহরে মা বিষের হাতে
বন্দী সবাই এক সাথে- দোকানে সাজিয়ে রাখে।
এখানে হাজার অসুরে ভরা বিষ দেয় কড়া কড়া।
মরুক সব লক্ষ্মীছাড়া , এখানে কত সন্তান হারা
এইতো মোদের বসুন্ধরা ,মোদের দুঃখ বুঝবে কারা?
একটা অসুর মারতে গো মা , দশ দশটি হাত নিলে।
দশ রকমের অস্ত্র ধরে ,এক অসুরকে ভয় দেখালে।
এত গুলো অসুরকে মা , কেমন করে আর মারবে।
ফিরে যেতে পারবে কি আর? সব বন্দী করে রাখবে।
গাড়ি চলার ধোঁয়াতে বিষ। জলে মেশা আর্সেনিক বিষ।
এই নিয়ে তো আছি।
এখানে শিশুর দুধে বিষ। এখানে রুগীর পথ্যে বিষ।
কেমন করে বাঁচি?
সবজি কাঁদে ফলিডলে এমন বিষটা তেজি।
শিশু মাছ কিসে ফোলে একমাসেতেই কেজি।
এখানে বেগুন চকচকে। এখানে ভেন্ডি লকলকে।
এখানে ফসলে ইউরিয়া। এখানে ডেঙু ম্যালেরিয়া।
এখানে উচ্ছে পটল মুলো।বিষ খেয়েছে অনেক গুলো।
তাই খেয়েতো বাচ্চা গুলো। হাসপাতালে গেলো।
এখানে বিষাক্ত সবুজ রঙে রাঙিয়ে তোলা তাজা ঢঙে।
দোকানে সাজানো থাকে। এই শহরে মা বিষের হাতে
বন্দী সবাই এক সাথে- দোকানে সাজিয়ে রাখে।
এখানে হাজার অসুরে ভরা বিষ দেয় কড়া কড়া।
মরুক সব লক্ষ্মীছাড়া , এখানে কত সন্তান হারা
এইতো মোদের বসুন্ধরা ,মোদের দুঃখ বুঝবে কারা?
একটা অসুর মারতে গো মা , দশ দশটি হাত নিলে।
দশ রকমের অস্ত্র ধরে ,এক অসুরকে ভয় দেখালে।
এত গুলো অসুরকে মা , কেমন করে আর মারবে।
ফিরে যেতে পারবে কি আর? সব বন্দী করে রাখবে।
===
কাগজ কলম
ফাঁসির হুকুম দিয়ে গেল-বিচারক -
হুম যে কাগজের আয়ু মাত্র ক-দিন,
সে কাগজে লেখা রইল মৃত্যুর পরোয়ানা।
বড় বেমানান -
যে কালিতে জল পড়লে ধুয়ে মুছে যায়।
সেই কালিতে লিখেছ আমার,মৃত্যুর তারিখ।
অহং অহং অহং অহংকার করি।
আর একটা সামান্য কাগজ
সামান্য কালি ভরা কলম
যার আয়ু মাত্র কদিন।
তাতে লেখা আমার পাপ আমার পূন্য
অনন্য -
আমি আমার জীবন মরণ আমার ইতিহাস -
লিখে যেতে পারিনি তোমাদের হৃদয়ে।
তোমাদের হৃদয়ে এঁকে দিতে
পারি নি চিত্র-যে শুনবে কাঁদবে,শুনবে হাসবে।
বুঝবে ভালোবাসবে।
একটা ছোট্ট কাগজের গায় , রক্ত দিয়ে লেখে দি
পিঁপড়ে খেয়ে শেষ করে দেবে।
কলম সুধু আমার ইতিহাস কালি আঁচড়ে লিখে নিল।
স্বর্ণাক্ষরে নয় -ঘন কালো কালির অক্ষরে।
===
হুম যে কাগজের আয়ু মাত্র ক-দিন,
সে কাগজে লেখা রইল মৃত্যুর পরোয়ানা।
বড় বেমানান -
যে কালিতে জল পড়লে ধুয়ে মুছে যায়।
সেই কালিতে লিখেছ আমার,মৃত্যুর তারিখ।
অহং অহং অহং অহংকার করি।
আর একটা সামান্য কাগজ
সামান্য কালি ভরা কলম
যার আয়ু মাত্র কদিন।
তাতে লেখা আমার পাপ আমার পূন্য
অনন্য -
আমি আমার জীবন মরণ আমার ইতিহাস -
লিখে যেতে পারিনি তোমাদের হৃদয়ে।
তোমাদের হৃদয়ে এঁকে দিতে
পারি নি চিত্র-যে শুনবে কাঁদবে,শুনবে হাসবে।
বুঝবে ভালোবাসবে।
একটা ছোট্ট কাগজের গায় , রক্ত দিয়ে লেখে দি
পিঁপড়ে খেয়ে শেষ করে দেবে।
কলম সুধু আমার ইতিহাস কালি আঁচড়ে লিখে নিল।
স্বর্ণাক্ষরে নয় -ঘন কালো কালির অক্ষরে।
===
জীবন প্রেম
আজ থাক না -কাল হবে কথা। মৃত্যুর কথা -
আকাশে আজ মেঘ নেই। বাতাসে আজ ঝড় নেই।
হৃদয়ে আজ ব্যথা নেই।
আকাশে আজ মেঘ নেই। বাতাসে আজ ঝড় নেই।
হৃদয়ে আজ ব্যথা নেই।
আজ থাক না কাল হবে কথা- মৃত্যুর কথা।
পায়ে চলা ফুটপাতে। বেড়াতে যাওয়া চিলকাতে।
কাক ডাকা প্রভাতে,
আজ থাক না কাল হবে কথা-মৃত্যুর কথা।
আজ সূর্যের তাপ নেই,আজ নদীতে বান নেই
আজ বেদনার টান নেই
আজ থাক না-কাল হবে কথা-মৃত্যুর কথা।
আজ তোমাতে প্রেম দেখি। আজ গগনে পাখি দেখি।
আজ বিকালে তোমায় দেখি।
আজ থাক না-কাল হবে কথা-মৃত্যুর কথা।
আজ ভারি সুন্দর তুমি , লাল শাড়িতে দারুণ দামি
আলতা মাখা চরণ চুমি
আজ থাক না- কাল হবে কথা-মৃত্যুর কথা।
হৃদয়ে আজ প্রেম জাগে,আজ সেজেছ কুমকুম রাগে
মনে বড় শিহরণ লাগে
আজ থাক না-কাল হবে কথা -মৃত্যুর কথা।
পায়ে চলা ফুটপাতে। বেড়াতে যাওয়া চিলকাতে।
কাক ডাকা প্রভাতে,
আজ থাক না কাল হবে কথা-মৃত্যুর কথা।
আজ সূর্যের তাপ নেই,আজ নদীতে বান নেই
আজ বেদনার টান নেই
আজ থাক না-কাল হবে কথা-মৃত্যুর কথা।
আজ তোমাতে প্রেম দেখি। আজ গগনে পাখি দেখি।
আজ বিকালে তোমায় দেখি।
আজ থাক না-কাল হবে কথা-মৃত্যুর কথা।
আজ ভারি সুন্দর তুমি , লাল শাড়িতে দারুণ দামি
আলতা মাখা চরণ চুমি
আজ থাক না- কাল হবে কথা-মৃত্যুর কথা।
হৃদয়ে আজ প্রেম জাগে,আজ সেজেছ কুমকুম রাগে
মনে বড় শিহরণ লাগে
আজ থাক না-কাল হবে কথা -মৃত্যুর কথা।
=======
পুজো এবার
ঢাকের কাঠি দিচ্ছে চাটি কুড় কুড়া কুড়।
মা এলো নাড়িয়ে কুলো বরণ ভরপুর।
ঘোড়ার পিঠে রাগের চোটে মা এলেন এবার।
বাজিয়ে মাদল বৃষ্টি বাদল করছে ছারখার।
খরা বন্যা স্নেহ ধন্যা লক্ষ্মী সরস্বতী।
পায়ে কাদা কাপড় সাদা বড়ই হলো ক্ষতি।
সাঁতার দিয়ে ইঁদুর গিয়ে বেদী পরে বসে।
ময়ূর নাকি জাতীয় পাখি বসেনি তার পাশে।
নীল আকাশে হিক্কা আসে বৃষ্টি সারাদিন।
কার্তিক গনেশ সঙ্গে মহেশ অসুর অর্বাচীন।
সিংহ গিয়ে পা গুটিয়ে মহিশটাকে ধরে।
গভীর রাতে দশটি হাতে অস্ত্র নিয়ে চড়ে।
মা ষষ্ঠী ভরা বৃষ্টি সপ্তমী অষ্টমী।
পুজো সন্ধি হবে বন্দনা নবমী দশমী।
হাতে কাদা পায়ে কাদা মাকে দেখার চোট।
মাথায় ছাতা পরমপিতা দাঁড়িয়ে বাঁকায় ঠোঁট।
বৃষ্টি মাথায় যাবো কোথায় টিভির সামনে বসি।
উত্তর থেকে দক্ষিণ দেখে মনে মনে হাসি।
===
মা এলো নাড়িয়ে কুলো বরণ ভরপুর।
ঘোড়ার পিঠে রাগের চোটে মা এলেন এবার।
বাজিয়ে মাদল বৃষ্টি বাদল করছে ছারখার।
খরা বন্যা স্নেহ ধন্যা লক্ষ্মী সরস্বতী।
পায়ে কাদা কাপড় সাদা বড়ই হলো ক্ষতি।
সাঁতার দিয়ে ইঁদুর গিয়ে বেদী পরে বসে।
ময়ূর নাকি জাতীয় পাখি বসেনি তার পাশে।
নীল আকাশে হিক্কা আসে বৃষ্টি সারাদিন।
কার্তিক গনেশ সঙ্গে মহেশ অসুর অর্বাচীন।
সিংহ গিয়ে পা গুটিয়ে মহিশটাকে ধরে।
গভীর রাতে দশটি হাতে অস্ত্র নিয়ে চড়ে।
মা ষষ্ঠী ভরা বৃষ্টি সপ্তমী অষ্টমী।
পুজো সন্ধি হবে বন্দনা নবমী দশমী।
হাতে কাদা পায়ে কাদা মাকে দেখার চোট।
মাথায় ছাতা পরমপিতা দাঁড়িয়ে বাঁকায় ঠোঁট।
বৃষ্টি মাথায় যাবো কোথায় টিভির সামনে বসি।
উত্তর থেকে দক্ষিণ দেখে মনে মনে হাসি।
===
ভয়
বড় ভয় পেয়েছি গো,বড় ভয় পেয়েছি -
রাজনৈতিক,প্রশাসনিক,মানসিক -
ঘুমোতে পারছি না রাতে
কে যেন জানলার পাশে দাঁড়িয়ে আছে সারাক্ষন।
দরজা খুলতে পারছি না,কেউ যদি ঢুকে পড়ে জোর কোরে -
ছেলেটাকে দোকানে পাঠালে মনে হয় -
কেউ বোধ হয় ওকে মাঠে তাস খেলায় ডাকবে -
জুয়ার আসরে, মদের ডেরায় -
মেয়েটা রাস্তায় বেরলেই কেউ না কেউ পিছু নেবেই।
গাড়ি নিয়ে বেরলেই পুলিশ -নানান রকম -
ইন্সিওরেন্স কই? পলিউশন কই?
গাড়ির কাগজ আছে তো? ড্রাইভিং লাইসেন্স?
নইলে ফাইন -
কত কোটি কোটি টাকা জালিয়াতি করে বিদেশ-
সে ব্যপারে চুপ।
চিট ফান্ডের টাকা তচরূপ,কোথায় সেই টাকা?
সরকার চুপ।
শুধু খেসারত দেবে সাধারণ মানুষ -
খেটে খাওয়া মানুষ।
তাই খুব ভয়ে ভয়ে দিন কাটাচ্ছি।
একটু দেখবেন চাঁদার জুলুম -ঘর করলে, সিন্ডিকেটের জুলুম-
ভয়ে জুজু হয়ে আছি -
কোন রঙের জামা পরবো? ভয়-
কোন রঙে দোল খেলব? ভয়-
কার সঙ্গে কথা বলবো?
কার সঙ্গে বলব না বুঝতে পারছি না।
ভয়-কলেজে ভয় -চায়ের দোকানে - ভয়।
রেশন দোকানে –ভয়, বাসের সিটে ভয়।
ভয় যেন সেঁটে গেছে মনের গভীরে।
রাজনৈতিক,প্রশাসনিক,মানসিক -
ঘুমোতে পারছি না রাতে
কে যেন জানলার পাশে দাঁড়িয়ে আছে সারাক্ষন।
দরজা খুলতে পারছি না,কেউ যদি ঢুকে পড়ে জোর কোরে -
ছেলেটাকে দোকানে পাঠালে মনে হয় -
কেউ বোধ হয় ওকে মাঠে তাস খেলায় ডাকবে -
জুয়ার আসরে, মদের ডেরায় -
মেয়েটা রাস্তায় বেরলেই কেউ না কেউ পিছু নেবেই।
গাড়ি নিয়ে বেরলেই পুলিশ -নানান রকম -
ইন্সিওরেন্স কই? পলিউশন কই?
গাড়ির কাগজ আছে তো? ড্রাইভিং লাইসেন্স?
নইলে ফাইন -
কত কোটি কোটি টাকা জালিয়াতি করে বিদেশ-
সে ব্যপারে চুপ।
চিট ফান্ডের টাকা তচরূপ,কোথায় সেই টাকা?
সরকার চুপ।
শুধু খেসারত দেবে সাধারণ মানুষ -
খেটে খাওয়া মানুষ।
তাই খুব ভয়ে ভয়ে দিন কাটাচ্ছি।
একটু দেখবেন চাঁদার জুলুম -ঘর করলে, সিন্ডিকেটের জুলুম-
ভয়ে জুজু হয়ে আছি -
কোন রঙের জামা পরবো? ভয়-
কোন রঙে দোল খেলব? ভয়-
কার সঙ্গে কথা বলবো?
কার সঙ্গে বলব না বুঝতে পারছি না।
ভয়-কলেজে ভয় -চায়ের দোকানে - ভয়।
রেশন দোকানে –ভয়, বাসের সিটে ভয়।
ভয় যেন সেঁটে গেছে মনের গভীরে।
======
একটু হাসি
বিয়ে বাড়ির সোরগোল চারদিকে নানান সাজ।
চারদিকে হট্টগোল পরনিন্দা পরচর্চা
হাসির কলরোল।
কোথাও দুজনে কোথাও চারজনে
কোথাও দল বেঁধে -
ছাদনা তলায় মন্ত্রধ্বনি-রান্না ঘরে তোড়জোড়।
ফুলে ফুলে ঢাকা কনে,আতরের গন্ধ
রান্নার ঝাঁজ,সানাই এর মূর্ছনা
চিৎকার -চেঁচামেচি -
ফুচকা আইশক্রিমে টানাটানি
কোথাও গানের তালে নাচ।
একটা সুন্দরী বউ
লাল বেনারসি শাড়িতে , কোমরের এক অংশ খোলা
মাঝে মাঝে নাভি কুন্ড দেখা যাচ্ছে।
চোখে চোখ পড়লো -মুচকি হাসি হলো -কিন্তু !
চোখে বিনিময় হলো একবার
এগোতে লাগলাম,কাছাকাছি -
হঠাৎ আঁধার -লোডসেডিং
জেনারেটর চালাও -আলো আনো।
বুকের মধ্যে নরম ছোঁয়া , জড়িয়ে ধরি -
প্রতিবাদ হীন আলিঙ্গন।
ওষ্ঠ চুম্বন -এ সেই নারী , কোমর বন্ধন -আটোসাটো
মূসৃণ তনু,উত্তপ্ত উষ্ণ -
উন্নত বক্ষস্থল,আলতো ছোঁয়া। আলো আসে -
বক্ষে আমার বউ। হাঃ হাঃ হাঃ।
===
চারদিকে হট্টগোল পরনিন্দা পরচর্চা
হাসির কলরোল।
কোথাও দুজনে কোথাও চারজনে
কোথাও দল বেঁধে -
ছাদনা তলায় মন্ত্রধ্বনি-রান্না ঘরে তোড়জোড়।
ফুলে ফুলে ঢাকা কনে,আতরের গন্ধ
রান্নার ঝাঁজ,সানাই এর মূর্ছনা
চিৎকার -চেঁচামেচি -
ফুচকা আইশক্রিমে টানাটানি
কোথাও গানের তালে নাচ।
একটা সুন্দরী বউ
লাল বেনারসি শাড়িতে , কোমরের এক অংশ খোলা
মাঝে মাঝে নাভি কুন্ড দেখা যাচ্ছে।
চোখে চোখ পড়লো -মুচকি হাসি হলো -কিন্তু !
চোখে বিনিময় হলো একবার
এগোতে লাগলাম,কাছাকাছি -
হঠাৎ আঁধার -লোডসেডিং
জেনারেটর চালাও -আলো আনো।
বুকের মধ্যে নরম ছোঁয়া , জড়িয়ে ধরি -
প্রতিবাদ হীন আলিঙ্গন।
ওষ্ঠ চুম্বন -এ সেই নারী , কোমর বন্ধন -আটোসাটো
মূসৃণ তনু,উত্তপ্ত উষ্ণ -
উন্নত বক্ষস্থল,আলতো ছোঁয়া। আলো আসে -
বক্ষে আমার বউ। হাঃ হাঃ হাঃ।
===
বারবণিতা
তুমি বেল ফুলের গন্ধ চাইছ
রাতের রজনীগন্ধায়-তা কি হয়?
আমি যে রাতের রানী
রাতের বাতাসকে মাতাল করি
রাতের আঁধারেই বিলীন হয়ে যাই।
দিনের আগুনে দেহ রাখি বেদনায় -
তুমি জোনাকির আলোয় বিশ্ব দেখতে চাইছ-
তা কি হয়? আমি যে রাতের পাখি
রাতেই আলো জ্বালি ছলনায়-মিটিমিটি চোখ -
এখানে আমি আমাকে দেখতে পাইনা
দিনের আলোয় আমি মৃত -
তুমি বারবণিতায় ঘরনী খুঁজতে চাইছ তা কি হয়?
আমি যে হাজার হাতে নষ্ট ফুল
আমি মন্দিরে তো যাই,
দেবতার চরণতলে জায়গা নাই -
আমি শিশুর হাতের পড়ে যাওয়া ফুল,
অঞ্জলি হয় না -
মা বলে ফেলো ফেলো ও ফুলে -পুজো হবে না জেনো।
===
রাতের রজনীগন্ধায়-তা কি হয়?
আমি যে রাতের রানী
রাতের বাতাসকে মাতাল করি
রাতের আঁধারেই বিলীন হয়ে যাই।
দিনের আগুনে দেহ রাখি বেদনায় -
তুমি জোনাকির আলোয় বিশ্ব দেখতে চাইছ-
তা কি হয়? আমি যে রাতের পাখি
রাতেই আলো জ্বালি ছলনায়-মিটিমিটি চোখ -
এখানে আমি আমাকে দেখতে পাইনা
দিনের আলোয় আমি মৃত -
তুমি বারবণিতায় ঘরনী খুঁজতে চাইছ তা কি হয়?
আমি যে হাজার হাতে নষ্ট ফুল
আমি মন্দিরে তো যাই,
দেবতার চরণতলে জায়গা নাই -
আমি শিশুর হাতের পড়ে যাওয়া ফুল,
অঞ্জলি হয় না -
মা বলে ফেলো ফেলো ও ফুলে -পুজো হবে না জেনো।
===
অবুজ কার্ত্তিক
কার্ত্তিক কই?
মায়ের পাশেতো নেই -
কারা যেন নিয়ে গেছে।
সুন্দরী সব মেয়ে দারুণ পোষাক -
কে যেন চোখ মেরেছে কাল
পেট খোলা সব রূপসীরা-
কাকে যেন ভালোবেসে তার সাথে-
এই কদিনে প্রেম?
আরে নারে বাবা.ফেসবুকে আলাপ।
তাকে দেখতে পেয়ে কালীঘাটে -
ওখানে নাকি বিয়ে হয়?
যা বাবা বুড়ো বয়সে মায়ের কি হবে?
বাবা তো আবার ভিখারী -
এখনকার যা মেয়ে, নির্ঘাত বৃদ্ধাশ্রম,
ধুর,কার্ত্তিকের তো চাকরি বাকরি ও নেই -
আরে মেয়েটি নাকি সপিং মলে কাজ করে -
তো মা কি জানে কালীঘাটে আছে কার্ত্তিক,
কি জানি?
আহা কি সর্বনাশ বলোতো?
তখনি মাকে বলেছিলাম -
মা মোবাইল কিনে দিও না -
শুনলে না তো?
এখন বোঝো।
===
মায়ের পাশেতো নেই -
কারা যেন নিয়ে গেছে।
সুন্দরী সব মেয়ে দারুণ পোষাক -
কে যেন চোখ মেরেছে কাল
পেট খোলা সব রূপসীরা-
কাকে যেন ভালোবেসে তার সাথে-
এই কদিনে প্রেম?
আরে নারে বাবা.ফেসবুকে আলাপ।
তাকে দেখতে পেয়ে কালীঘাটে -
ওখানে নাকি বিয়ে হয়?
যা বাবা বুড়ো বয়সে মায়ের কি হবে?
বাবা তো আবার ভিখারী -
এখনকার যা মেয়ে, নির্ঘাত বৃদ্ধাশ্রম,
ধুর,কার্ত্তিকের তো চাকরি বাকরি ও নেই -
আরে মেয়েটি নাকি সপিং মলে কাজ করে -
তো মা কি জানে কালীঘাটে আছে কার্ত্তিক,
কি জানি?
আহা কি সর্বনাশ বলোতো?
তখনি মাকে বলেছিলাম -
মা মোবাইল কিনে দিও না -
শুনলে না তো?
এখন বোঝো।
===
Comments
Post a Comment