কবিতা-২
বৃদ্ধাশ্রম কেন?
ও ঠাকুমা কেমন আছো বৃদ্ধাশ্রম গিয়ে।
সময় মতো খাচ্ছো তো ভাত মাছের ঝোল দিয়ে।
আদর করে কাছে বসায় তোমার পাশের লোক?ঝগড়া নিশ্চয়ই করে না কেউ ,কেউ টেপে না চোখ?গায়ে পড়ে কেউ দেয় না ফোকলা গালটি টিপে।
ভালো ভালো কথা বলে আগে পিছে মেপে?
আমি ভারি দুষ্টু ছিলাম ,খালি টিপতাম গাল।
রাগের চোটে সারাদিন টায়,পাড়তে তুমি গাল।
মোদের ছেড়ে ভালো আছো,ভালো কাটছে রাত।
মারামারি কেউ করে না,কেউ কাড়ে ভাত।
বাবা ভারি কষ্টে আছে,তোমায় বলি আজ।
রাতের পরে রাত চলে যায়,সুধুই করে কাজ।
ঘুম আসে না তোমার তরে,ভারি কষ্ট পায়।
অফিস গেলে হাতটা থাকে তোমার ছবির পায়।
কি এমন করেছিলাম, ছেড়ে চলে গেলে।
বৃদ্ধাশ্রম গিয়ে তুমি,কি শান্তি পেলে?বাবা কাঁদে ঘরের কোনে , মা বারান্দায়।
ভাল্ লাগে না তোমায় ছাড়া, ভারি কান্না পায়।
ও ঠাকুরদা সকাল বেলা,হাঁটতে বেরোও তুমি?সময় মতো চা পাওতো,প্রানের ঠাকুর নমি।
দুপুরে ভাত খাও তো তুমি, পরিপাটি করি।
তোমায় সবাই আদর করে , রাখে আনন্দে ভরি।
তুমি করতে সরকারি কাজ,পেনশন মাসে মাসে।
বাবা করে প্রাইভেটে কাজ,বলো কার দোষে?হয়তো কিছু সংসার চালাতে,টাকার দরকার ছিল।
তাই হয়তো তোমার কাছে,কিছু চেয়ে নিল।
তাতেই তোমার অপমান হলো , খাওয়ার খরচ চায়?হাজার কষ্ট হলেও বাবা, সবার আবদার মেটায়।
মা কি তোমায় কটূকথা,বলে কি কোনদিন?সেদিন হয়তো দরকার ছিল, করেছিল ঋণ।
তাই বলে ঘর ছাড়বে ,যাবে বৃদ্ধাশ্রম?একবার কি পড়ে না মনে,ঘরে মৌমি মম।
অনেক দিনতো কেটে গেল ,এবার আসো চলে।
বলছি আমি তোমায় দাদু, বাবা কষ্ট পাচ্ছে বলে।
এসো না দাদু এসো না ঠাম্মা ডাকছি দুই বোনে।
মা কাঁদে বাবা কাঁদে, দেখো ঘরের কোনে।
===
সময় মতো খাচ্ছো তো ভাত মাছের ঝোল দিয়ে।
আদর করে কাছে বসায় তোমার পাশের লোক?ঝগড়া নিশ্চয়ই করে না কেউ ,কেউ টেপে না চোখ?গায়ে পড়ে কেউ দেয় না ফোকলা গালটি টিপে।
ভালো ভালো কথা বলে আগে পিছে মেপে?
আমি ভারি দুষ্টু ছিলাম ,খালি টিপতাম গাল।
রাগের চোটে সারাদিন টায়,পাড়তে তুমি গাল।
মোদের ছেড়ে ভালো আছো,ভালো কাটছে রাত।
মারামারি কেউ করে না,কেউ কাড়ে ভাত।
বাবা ভারি কষ্টে আছে,তোমায় বলি আজ।
রাতের পরে রাত চলে যায়,সুধুই করে কাজ।
ঘুম আসে না তোমার তরে,ভারি কষ্ট পায়।
অফিস গেলে হাতটা থাকে তোমার ছবির পায়।
কি এমন করেছিলাম, ছেড়ে চলে গেলে।
বৃদ্ধাশ্রম গিয়ে তুমি,কি শান্তি পেলে?বাবা কাঁদে ঘরের কোনে , মা বারান্দায়।
ভাল্ লাগে না তোমায় ছাড়া, ভারি কান্না পায়।
ও ঠাকুরদা সকাল বেলা,হাঁটতে বেরোও তুমি?সময় মতো চা পাওতো,প্রানের ঠাকুর নমি।
দুপুরে ভাত খাও তো তুমি, পরিপাটি করি।
তোমায় সবাই আদর করে , রাখে আনন্দে ভরি।
তুমি করতে সরকারি কাজ,পেনশন মাসে মাসে।
বাবা করে প্রাইভেটে কাজ,বলো কার দোষে?হয়তো কিছু সংসার চালাতে,টাকার দরকার ছিল।
তাই হয়তো তোমার কাছে,কিছু চেয়ে নিল।
তাতেই তোমার অপমান হলো , খাওয়ার খরচ চায়?হাজার কষ্ট হলেও বাবা, সবার আবদার মেটায়।
মা কি তোমায় কটূকথা,বলে কি কোনদিন?সেদিন হয়তো দরকার ছিল, করেছিল ঋণ।
তাই বলে ঘর ছাড়বে ,যাবে বৃদ্ধাশ্রম?একবার কি পড়ে না মনে,ঘরে মৌমি মম।
অনেক দিনতো কেটে গেল ,এবার আসো চলে।
বলছি আমি তোমায় দাদু, বাবা কষ্ট পাচ্ছে বলে।
এসো না দাদু এসো না ঠাম্মা ডাকছি দুই বোনে।
মা কাঁদে বাবা কাঁদে, দেখো ঘরের কোনে।
===
পোকা
শ্মশানে কি স্টাইক চলছে?কত কোটি বছর পরে পৃথিবীতে নীরবতা এনেছি আমি -ধর্মযুদ্ধে !আমি একা নীরব করেছি বিশ্ব। কোটি কোটি মৃতদেহ
পচা গলা শবদেহ , কিলবিল করছে পোকা।
দাহ করতে হবে। শ্মশান চাই-চেয়ে দেখো অর্জুন কাদের বধ করবে?তোমার ভাই? তোমার খুড়া?সব মৃত -তুমি তো নিমিত্ত মাত্র।
ওরা মরে পঁচে গলে গেছে-সুধু দাহ করবে তুমি -হে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সেই কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের মতো আমাকে বল দাও-শব গুলিকে দাহ করি। মনুষ্যহীন পৃথিবীতে
আমি একা, আর আছে পোকা-পাপ-এত পাপ এত পোকা কি হবে?চারিদিকে হাহাকার -দুর্ভিক্ষ খরা বন্যা -শক্তি দাও ভগবান, আমি একা পাপ মুক্ত করি বিশ্ব।
পরিবর্তন চাই -তাই দুর্ভাগা পৃথিবীতে মানুষ কুলাঙ্গার সৃষ্টির বিকল্প কিছু করতে গিয়েই -পাপ -পাপে জর্জরিত পোকা
আর তার কামড়।
===
পচা গলা শবদেহ , কিলবিল করছে পোকা।
দাহ করতে হবে। শ্মশান চাই-চেয়ে দেখো অর্জুন কাদের বধ করবে?তোমার ভাই? তোমার খুড়া?সব মৃত -তুমি তো নিমিত্ত মাত্র।
ওরা মরে পঁচে গলে গেছে-সুধু দাহ করবে তুমি -হে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সেই কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের মতো আমাকে বল দাও-শব গুলিকে দাহ করি। মনুষ্যহীন পৃথিবীতে
আমি একা, আর আছে পোকা-পাপ-এত পাপ এত পোকা কি হবে?চারিদিকে হাহাকার -দুর্ভিক্ষ খরা বন্যা -শক্তি দাও ভগবান, আমি একা পাপ মুক্ত করি বিশ্ব।
পরিবর্তন চাই -তাই দুর্ভাগা পৃথিবীতে মানুষ কুলাঙ্গার সৃষ্টির বিকল্প কিছু করতে গিয়েই -পাপ -পাপে জর্জরিত পোকা
আর তার কামড়।
===
সমীকরণ
কোনো এক অলিখিত সমীকরণ
শেওলার সঙ্গে বাড়ছে স্যাঁতস্যাঁতে দেওয়ালে
গলা জড়াজড়ি করে।
নির্লিপ্ত নিলীমায় নীরব নিয়তি
হিসাবের খাতা হাতে
সমীকরণ সমাধান করার চেষ্টায়-নির্লজ্জভাবে
বাতাস হাসছে বাঁশ গাছে বসে,বকুল গাছে আড়ালে
ছাতিম গাছের তলায়, অন্ধকারে-পেত পেতনীর দল গান ধরেছে - আয়রে আয়-অশ্রু জলের বান ডেকেছে, দরজার গায়,রান্নাঘরের দোরে,খাটের পায়ার ধারে
ছ্যাতলা পড়া বারান্দায় -চিলে কোঠায়
নীরবে নিভৃতে ছ্যাতলা পড়া উঠানে-মরণ ফাঁদ পেতে বসে বিধাতা -প্রদীপের সোলতেটা নিভে যাওয়ার অপেক্ষা -হ্যারিকেনের বাতিটা দপদপ করছে।
বুকের ভিতরের যন্ত্রটা কখনো চলে, কখনো বন্ধ হয়,পায়ের কাছে একজন,মাথার গোড়ায় চার জন,গঙ্গা জলের বাটি চামচ। সমীকরণ-কবিরাজ-কবিতা নয়,গাছ গাছালির গুনগান শোনায় শরীরকে-জীবনের দিনান্তে। সমাধান –
শেওলার সঙ্গে বাড়ছে স্যাঁতস্যাঁতে দেওয়ালে
গলা জড়াজড়ি করে।
নির্লিপ্ত নিলীমায় নীরব নিয়তি
হিসাবের খাতা হাতে
সমীকরণ সমাধান করার চেষ্টায়-নির্লজ্জভাবে
বাতাস হাসছে বাঁশ গাছে বসে,বকুল গাছে আড়ালে
ছাতিম গাছের তলায়, অন্ধকারে-পেত পেতনীর দল গান ধরেছে - আয়রে আয়-অশ্রু জলের বান ডেকেছে, দরজার গায়,রান্নাঘরের দোরে,খাটের পায়ার ধারে
ছ্যাতলা পড়া বারান্দায় -চিলে কোঠায়
নীরবে নিভৃতে ছ্যাতলা পড়া উঠানে-মরণ ফাঁদ পেতে বসে বিধাতা -প্রদীপের সোলতেটা নিভে যাওয়ার অপেক্ষা -হ্যারিকেনের বাতিটা দপদপ করছে।
বুকের ভিতরের যন্ত্রটা কখনো চলে, কখনো বন্ধ হয়,পায়ের কাছে একজন,মাথার গোড়ায় চার জন,গঙ্গা জলের বাটি চামচ। সমীকরণ-কবিরাজ-কবিতা নয়,গাছ গাছালির গুনগান শোনায় শরীরকে-জীবনের দিনান্তে। সমাধান –
======
ওদের আবার ইজ্জৎ
আমি লক্ষ্মী গো বাবু মশাই দুটা পয়সা দিবি বট্যা,দুদিন হলো খাই লাই, পেটে বড় জ্বালা,বাপ মা মরছ্যা সাতদিন,জমিনদার তারিন খুড়া
জমিন গুলা হাত করল
খাই কি বল্যান বট্যা
জমিন গুলা হাত করল
খাই কি বল্যান বট্যা
কিরে লক্ষ্মী তুই বড় ডাগরটো হইছিস -খ্যাতি পাচ্ছিস লা
কাজ লাইতো কি? আমি ত আছি-মোদের ঘরটোতে আয়।
কাজটো দিবো-বড় ভালো বাসি তুকে,আয় লক্ষ্মী মোর ঘরকে আয়
তুকে খাওয়া দিবো -তুকে পরা দিবো-পড়াশুনার বইটো দিবো-মেলায় যাবার পয়সাটো দিবো-মোদের ঘরে থাকবি বট্যা -পুজার সময় লুতন জামাটো দিবো -লাইতে যাবার সাবানটো দিবো-মাথায় মাখার গন্ধ তেলটো দিবো-মোর ঘরকে চল-ঘর্যা থাকবি মেয়ার মতন,তর গিন্নীমার হাতে হাতে কাজটো করবি
মেয়ার মত থাকবি বট্যা-কষ্ট কিছু লাই-রাজিতো ক-অ্যাকেবারে মেয়্যার মত থাকবি বট্যা-মেয়্যা !বাবু গো কাজে ঝিকে কেউ মেয়্যার মতন রাখ্যা
কাজ করাই মারে। সুজোগ খুজ্যা-কি কর্যা মুদের দেহটো পাওয়াটো যায়?খারাপটো কর্যা-পর্যা কয় তুদের আবার ইজ্জৎ?
কাজ লাইতো কি? আমি ত আছি-মোদের ঘরটোতে আয়।
কাজটো দিবো-বড় ভালো বাসি তুকে,আয় লক্ষ্মী মোর ঘরকে আয়
তুকে খাওয়া দিবো -তুকে পরা দিবো-পড়াশুনার বইটো দিবো-মেলায় যাবার পয়সাটো দিবো-মোদের ঘরে থাকবি বট্যা -পুজার সময় লুতন জামাটো দিবো -লাইতে যাবার সাবানটো দিবো-মাথায় মাখার গন্ধ তেলটো দিবো-মোর ঘরকে চল-ঘর্যা থাকবি মেয়ার মতন,তর গিন্নীমার হাতে হাতে কাজটো করবি
মেয়ার মত থাকবি বট্যা-কষ্ট কিছু লাই-রাজিতো ক-অ্যাকেবারে মেয়্যার মত থাকবি বট্যা-মেয়্যা !বাবু গো কাজে ঝিকে কেউ মেয়্যার মতন রাখ্যা
কাজ করাই মারে। সুজোগ খুজ্যা-কি কর্যা মুদের দেহটো পাওয়াটো যায়?খারাপটো কর্যা-পর্যা কয় তুদের আবার ইজ্জৎ?
=====
দৌড়
সোনা। ও সোনা তুমি ঘুমাচ্ছ?আহা এই তো মাত্র এলে -মিনিট দুয়েক আগে-মুখে মধুও দিই নি এখনো -পৃথিবীর আলো তুমি দেখলে
এখুনি এত ঘুম?ঘুম শেষ করে আসনি? ন মাস কি করছিলে?এখানে যে তোমাকে কেউ ঘুমাতে দেবে না।
প্রতিযোগিতার-দৌড়,ইস্কুলের দৌড়-কলেজের দৌড়-চাকরির দৌড়-প্রেমের দৌড়-বেদনার দৌড়-প্রতারনার দৌড় -তোমাকে দৌড় করাবে মা
তোমাকে দৌড় করাবে শিক্ষক
তোমাকে দৌড় করাবে বস।
তোমাকে দৌড় করাবে প্রেমিকা।
তোমাকে দৌড় করাবে সংসার।
মানে বউ -ছেলে মেয়ে আর নাতি নাতনি
দৌড় শেষ -তুমিও শেষ
এখুনি এত ঘুম?ঘুম শেষ করে আসনি? ন মাস কি করছিলে?এখানে যে তোমাকে কেউ ঘুমাতে দেবে না।
প্রতিযোগিতার-দৌড়,ইস্কুলের দৌড়-কলেজের দৌড়-চাকরির দৌড়-প্রেমের দৌড়-বেদনার দৌড়-প্রতারনার দৌড় -তোমাকে দৌড় করাবে মা
তোমাকে দৌড় করাবে শিক্ষক
তোমাকে দৌড় করাবে বস।
তোমাকে দৌড় করাবে প্রেমিকা।
তোমাকে দৌড় করাবে সংসার।
মানে বউ -ছেলে মেয়ে আর নাতি নাতনি
দৌড় শেষ -তুমিও শেষ
জীবন !তুমি ঘুমাতে চাও আরো? আচ্ছা আচ্ছা ঘুমাও -আমি তোমার সঙ্গে আছি- ঘুম
তুমি ঘুমাও আমি জেগে আছি,তোমার পাহারায়-এই ভাবে তোমাকে আগলে রাখব সারাজীবন -তুমি যখন ক্লান্ত পরিশ্রান্ত , ঘুমাও-আমি মাথায় হাত বুলিয়ে দেব।
তারপর যেদিন ঘুম ভাঙবে , আয়না দেখো -দেখবে সামনে একজন বৃদ্ধ -
তুমি ঘুমাও আমি জেগে আছি,তোমার পাহারায়-এই ভাবে তোমাকে আগলে রাখব সারাজীবন -তুমি যখন ক্লান্ত পরিশ্রান্ত , ঘুমাও-আমি মাথায় হাত বুলিয়ে দেব।
তারপর যেদিন ঘুম ভাঙবে , আয়না দেখো -দেখবে সামনে একজন বৃদ্ধ -
======
অবাক কারখানা
আমরা যে মূক বধির অন্ধ,জন্ম থেকে কিছু মানুষ-বাবা মা, দাদা দিদি,কাকা কাকি, দাদু ঠাকুমা
আত্মীয় স্বজন সকলে -মূক বধির অন্ধ করেছে জনে জনে -বংশানুক্রমে-কেউ কাউকে গাল দিল , প্রতিবাদ করো না।
কলেজে নেতার লোক টুকছে বলো না।
বাসে মহিলার গায়ে হাত দিচ্ছে দেখো না।
ঝামেলায় কাজ নেই -দূর্বলের প্রতি সবল অত্যাচার করুক -নাক গলিও না।
কোনো নেতা অন্য নেতাকে খুন করছে দেখো না -সরকারি অফিসার ঘুষ খাচ্ছে বলো না।
দোকানদার ভেজাল দিচ্ছে দেখো না।
ক্লাবের পাশে দুষ্ঠ ছেলেরা কটুক্তি করছে শুনো না।
রেল লাইনে পা কেটে চিৎকার করছে
শুনো না দেখো না হাত দিয়ো না।
প্রশাসনিক ঝামেলায় পড়বে।
তবে কোন ইন্দ্রিয় জীবিতাবস্থা আছে আমাদের?দলে দলে মূক বধির অন্ধ পঙ্গুর জন্ম হচ্ছে যে দেশে
সে দেশ আর কত আগে যাবে?কোনো দেশ কে এগোতে হলে-কোন রাসায়নিক বোমা দিয়ে ধ্বংস করার চেয়ে -মূক বধির অন্ধ পঙ্গু তৈরির কারখানাটা বন্ধ হোক।
দেশ এমনি এগিয়ে যাবে।
===
আত্মীয় স্বজন সকলে -মূক বধির অন্ধ করেছে জনে জনে -বংশানুক্রমে-কেউ কাউকে গাল দিল , প্রতিবাদ করো না।
কলেজে নেতার লোক টুকছে বলো না।
বাসে মহিলার গায়ে হাত দিচ্ছে দেখো না।
ঝামেলায় কাজ নেই -দূর্বলের প্রতি সবল অত্যাচার করুক -নাক গলিও না।
কোনো নেতা অন্য নেতাকে খুন করছে দেখো না -সরকারি অফিসার ঘুষ খাচ্ছে বলো না।
দোকানদার ভেজাল দিচ্ছে দেখো না।
ক্লাবের পাশে দুষ্ঠ ছেলেরা কটুক্তি করছে শুনো না।
রেল লাইনে পা কেটে চিৎকার করছে
শুনো না দেখো না হাত দিয়ো না।
প্রশাসনিক ঝামেলায় পড়বে।
তবে কোন ইন্দ্রিয় জীবিতাবস্থা আছে আমাদের?দলে দলে মূক বধির অন্ধ পঙ্গুর জন্ম হচ্ছে যে দেশে
সে দেশ আর কত আগে যাবে?কোনো দেশ কে এগোতে হলে-কোন রাসায়নিক বোমা দিয়ে ধ্বংস করার চেয়ে -মূক বধির অন্ধ পঙ্গু তৈরির কারখানাটা বন্ধ হোক।
দেশ এমনি এগিয়ে যাবে।
===
তোমার সাথে আড়ি
যার ইশারায় জগৎ চলে,তার সঙ্গে ঝগড়া আমার -চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা -আরো সঙ্গী আছে যারা -তাদের সাথেও আড়ি -যার কথাতে জগৎ গঠন-যার কামনায় ইন্দ্র পতন-সে কি নর না নারী? যাই হোক সে লিঙ্গ ধারী
তার সাথে আমার আড়ি -ভীষণ রকমের ঝগড়া।
আলেয়া হিক্কা টাইফুন যত,ঝড় বানানোয় পটু তত।
নীলাকাশে আয়ন চলে,বজ্র বিদ্যুৎ সবই ফলে
সব দেবতার অস্ত্র অনেক,চন্দ্র সূর্যের প্রতাপ শতেক
আগুন বানায় পুড়িয়ে মারে,মন্ত্রী যন্ত্রী তাকৎ হানে -রাবন ছিল রাম ও ছিল,পরশুরামের কুঠার ছিল
বজ্র ছিল বান ছিল,হনুমানের গদা ছিল
তীর ছিল ধনুক ছিল,অগ্নি নামক বান ছিল
কাল বৈশাখীর ঝড় ছিল,ধুমকেতুর শক্তি ছিল
রামধনুর রঙ ছিল,রবি ঠাকুরের নোবেল ছিল
অভি অর্মত নোবেল পেল,তাদের দিলে সব -আর আমাদের?দিব্যি রেখেছ বাঁচিয়ে হেথায় অস্ত্রহীন,শক্তিহীন ক্লীবলিঙ্গ করে-একটাও শক্তিশালী অস্ত্র নেই ? যার দ্বারা অশুভ অসুরদের
বধ করতে পারি -আমাদের বেলা দুটো হাত?হাতের সাথে শক্তি দাও-বজ্র দাও বান দাও-নইলে একটা গদা দাও-পক্ষিরাজ ঘোড়া দাও-শাপ দেওয়ার মন্ত্র দাও-ত্রিশুল দাও চক্র দাও
কিচ্ছু দেবে না ? যাও তোমার সাথে আড়ি।
===
তার সাথে আমার আড়ি -ভীষণ রকমের ঝগড়া।
আলেয়া হিক্কা টাইফুন যত,ঝড় বানানোয় পটু তত।
নীলাকাশে আয়ন চলে,বজ্র বিদ্যুৎ সবই ফলে
সব দেবতার অস্ত্র অনেক,চন্দ্র সূর্যের প্রতাপ শতেক
আগুন বানায় পুড়িয়ে মারে,মন্ত্রী যন্ত্রী তাকৎ হানে -রাবন ছিল রাম ও ছিল,পরশুরামের কুঠার ছিল
বজ্র ছিল বান ছিল,হনুমানের গদা ছিল
তীর ছিল ধনুক ছিল,অগ্নি নামক বান ছিল
কাল বৈশাখীর ঝড় ছিল,ধুমকেতুর শক্তি ছিল
রামধনুর রঙ ছিল,রবি ঠাকুরের নোবেল ছিল
অভি অর্মত নোবেল পেল,তাদের দিলে সব -আর আমাদের?দিব্যি রেখেছ বাঁচিয়ে হেথায় অস্ত্রহীন,শক্তিহীন ক্লীবলিঙ্গ করে-একটাও শক্তিশালী অস্ত্র নেই ? যার দ্বারা অশুভ অসুরদের
বধ করতে পারি -আমাদের বেলা দুটো হাত?হাতের সাথে শক্তি দাও-বজ্র দাও বান দাও-নইলে একটা গদা দাও-পক্ষিরাজ ঘোড়া দাও-শাপ দেওয়ার মন্ত্র দাও-ত্রিশুল দাও চক্র দাও
কিচ্ছু দেবে না ? যাও তোমার সাথে আড়ি।
===
ঠিক মৃত্যুর আগে
তোমার কাছে বিষ আছে? একটু দিও তো। খাবো।
মরার আগে মরে দেখি-কি দেখতে পাবো?আমায় যারা ভালোবাসে,বিষকে তারা কি বলে?বিষ না অমৃত?তোমার হাতে কলম রেখো,করতে হবে নোট -সুইসাইট নোট।
নইলে যে সব ফেঁসে যাবে,আমায় হত্যার দায়ে।
প্রান পাখিটা ওড়ার আগে,দেহে কেমন শিহরণ লাগে
লাইভ দেখতে দিও।
হাতে আঁকা আয়ুরেখা,যায় না কেন চোখে দেখা
আতস কাঁচটি নিও।
কোন জ্যোতির্বিদ কইবে কথা,একশ শতাংশ ঠিক -মরার আগের অনুভুতিটা, কে লিখেছ আদর করে
প্রেমের কবিতার মত?জানতে আজ বিষ ধরেছি,তোমাদের কে কাছে ডেকেছি
সুইসাইড নোটের পরে-খাতা কলম হাতে নিও
বলব আমি কবির মতো,লিখে নিও ছন্দ যতো
দেরি করো না -স্বপ্নের মতো নীল রঙা এক,আলো আঁধারে মেশা -জুঁই ফুলের গন্ধ মাখা,ধূপের ধোঁয়ায় ঘেঁষা -অতিকায় এক সিদ্ধ পুরুষ,পাগড়ি আঁটা গম্ভীর স্বর
লাল কিংবা নীল রঙের-,পোষাক পরেছে যেন-লিখছতো?থামেনি তো ঝর্না লেখনী-লেখো-বাতাসে এক মধুর সুর-কাছে নয় একটু দূর -মিষ্টি বাতাস লাগে ভরপুর,থেমো না যেন লেখো-মাঝে মাঝে অবসরে,আমায় একটু দেখো -মরার আগে নোটটা যেন-
===
মরার আগে মরে দেখি-কি দেখতে পাবো?আমায় যারা ভালোবাসে,বিষকে তারা কি বলে?বিষ না অমৃত?তোমার হাতে কলম রেখো,করতে হবে নোট -সুইসাইট নোট।
নইলে যে সব ফেঁসে যাবে,আমায় হত্যার দায়ে।
প্রান পাখিটা ওড়ার আগে,দেহে কেমন শিহরণ লাগে
লাইভ দেখতে দিও।
হাতে আঁকা আয়ুরেখা,যায় না কেন চোখে দেখা
আতস কাঁচটি নিও।
কোন জ্যোতির্বিদ কইবে কথা,একশ শতাংশ ঠিক -মরার আগের অনুভুতিটা, কে লিখেছ আদর করে
প্রেমের কবিতার মত?জানতে আজ বিষ ধরেছি,তোমাদের কে কাছে ডেকেছি
সুইসাইড নোটের পরে-খাতা কলম হাতে নিও
বলব আমি কবির মতো,লিখে নিও ছন্দ যতো
দেরি করো না -স্বপ্নের মতো নীল রঙা এক,আলো আঁধারে মেশা -জুঁই ফুলের গন্ধ মাখা,ধূপের ধোঁয়ায় ঘেঁষা -অতিকায় এক সিদ্ধ পুরুষ,পাগড়ি আঁটা গম্ভীর স্বর
লাল কিংবা নীল রঙের-,পোষাক পরেছে যেন-লিখছতো?থামেনি তো ঝর্না লেখনী-লেখো-বাতাসে এক মধুর সুর-কাছে নয় একটু দূর -মিষ্টি বাতাস লাগে ভরপুর,থেমো না যেন লেখো-মাঝে মাঝে অবসরে,আমায় একটু দেখো -মরার আগে নোটটা যেন-
===
ধন্য পৃথিবী
চলো না আজ একটু দূরে যাই
একক দশক করে গুনি
হাঁটার তালে তালে -চলো না আজ একটু বসি
লেকের পাড়ে ঘাষের উপর
আকাশের তারা দেখি
চলো না আজ একটু বসি গড়ের মাঠে
সবুজ ঘাষের উপর-জোছনায় স্নান করি কিছুক্ষন
উন্মক্ত করি তোমার বুক
জোছনায় স্নান করুক হৃদয়-এক বুক ভালোবাসা ভরে দি
তোমার হৃদয়ে -আর একটু বসো না কিছুক্ষন
সবুজ ঘাষের উপর।
হালকা বাতাস দি তোমার কানের নিচে -উত্তেজিত করি-তোমার উষ্ণ দেহ খানি,পিপাসা বাড়ুক -তোমার দেহ জুড়ে।
অন্ধকারে তোমার উরুতে দি হাত -আকাঙ্খা জড়িয়ে ধরো আমাকে -কামনায় বুক ফাটুক কিছুক্ষন।
ঢেলে দি অমৃত সুধা তোমার দেহে-জন্ম নিক এক জারজ সন্তান
সবুজ ঘাষের ওপর-আস্তাকুঁড়ের পর্যাপ্ত আর্বজনা পড়ে থাক -কুকুরে মুখে করে নিয়ে যাক
তাকে কোন এক স্বহৃদয় বন্ধুর
কাছে-প্রান ফিরে পাক শিশু
ধন্য হোক পৃথিবীর হৃদয়।
===
একক দশক করে গুনি
হাঁটার তালে তালে -চলো না আজ একটু বসি
লেকের পাড়ে ঘাষের উপর
আকাশের তারা দেখি
চলো না আজ একটু বসি গড়ের মাঠে
সবুজ ঘাষের উপর-জোছনায় স্নান করি কিছুক্ষন
উন্মক্ত করি তোমার বুক
জোছনায় স্নান করুক হৃদয়-এক বুক ভালোবাসা ভরে দি
তোমার হৃদয়ে -আর একটু বসো না কিছুক্ষন
সবুজ ঘাষের উপর।
হালকা বাতাস দি তোমার কানের নিচে -উত্তেজিত করি-তোমার উষ্ণ দেহ খানি,পিপাসা বাড়ুক -তোমার দেহ জুড়ে।
অন্ধকারে তোমার উরুতে দি হাত -আকাঙ্খা জড়িয়ে ধরো আমাকে -কামনায় বুক ফাটুক কিছুক্ষন।
ঢেলে দি অমৃত সুধা তোমার দেহে-জন্ম নিক এক জারজ সন্তান
সবুজ ঘাষের ওপর-আস্তাকুঁড়ের পর্যাপ্ত আর্বজনা পড়ে থাক -কুকুরে মুখে করে নিয়ে যাক
তাকে কোন এক স্বহৃদয় বন্ধুর
কাছে-প্রান ফিরে পাক শিশু
ধন্য হোক পৃথিবীর হৃদয়।
===
আন্দোলন
এসো না একটা আন্দোলন করি।
হাতে ধরি রঙিন পতাকা -স্লোগান দি নতুন পৃথিবীর -দূষণ মুক্ত পৃথিবীর -ভাইরাস মুক্ত পৃথিবীর -রোগ মুক্ত পৃথিবীর।
প্রতি বাড়িতে -প্রতি ঘরে-প্রতি পাড়ায়
অলিতে গলিতে লাগাই সবুজ রঙ।
সবুজ হোক সবার মন।
ছোট বড় নানান জাতির গাছ।
সবুজে সবুজে ভরে দি পৃথিবীর গা -এসো স্নান করি সবুজের জলে -শান্ত হোক শীতল হোক উন্মত্ত পৃথিবী।
নষ্ট করা বন্ধ করি পানীয় জল।
সুরক্ষিত করি নতুন প্রজন্মকে।
সমস্ত আগুন নিভিয়ে দি মনের।
এসো না সকলে মিলে এই রুগ্ন পৃথিবীকে সুস্থ করে তুলি।
এসো স্লোগান দি -বাঁচাও বাঁচাও সবুজ বন-বাঁচাও বাঁচাও শিশু মন -বাঁচাও বাঁচাও অমূল্য ধন -ফিরে চাও ফিরে চাও হে জনগন।
চেয়ে দেখো সামনে মরন।
===
হাতে ধরি রঙিন পতাকা -স্লোগান দি নতুন পৃথিবীর -দূষণ মুক্ত পৃথিবীর -ভাইরাস মুক্ত পৃথিবীর -রোগ মুক্ত পৃথিবীর।
প্রতি বাড়িতে -প্রতি ঘরে-প্রতি পাড়ায়
অলিতে গলিতে লাগাই সবুজ রঙ।
সবুজ হোক সবার মন।
ছোট বড় নানান জাতির গাছ।
সবুজে সবুজে ভরে দি পৃথিবীর গা -এসো স্নান করি সবুজের জলে -শান্ত হোক শীতল হোক উন্মত্ত পৃথিবী।
নষ্ট করা বন্ধ করি পানীয় জল।
সুরক্ষিত করি নতুন প্রজন্মকে।
সমস্ত আগুন নিভিয়ে দি মনের।
এসো না সকলে মিলে এই রুগ্ন পৃথিবীকে সুস্থ করে তুলি।
এসো স্লোগান দি -বাঁচাও বাঁচাও সবুজ বন-বাঁচাও বাঁচাও শিশু মন -বাঁচাও বাঁচাও অমূল্য ধন -ফিরে চাও ফিরে চাও হে জনগন।
চেয়ে দেখো সামনে মরন।
===
ভগবান ঘুমোচ্ছেন যে
এই শোনো তোমরা চিৎকার কোরো না চুপ করো।
ভগবান ঘুমিয়ে আছেন,বিশ্রাম নিচ্ছেন।
গত তিন যুগের অক্লাত পরিশ্রম-ঘি মাখনের শরীর কি সইতে পারে?কংশ, রাবন, দুর্যোধনেরা তো কম বীর ছিলেন না।
তারা তো কম বড় যোদ্ধা নয়।
আহা চুপ করো এত উতলা হয়ো না।
যুগে যুগে যে লড়াই তিনি করেছেন তার ধকল সামলেই উঠবেন -সময় হয়েছে এবার -জাগবেন উনি -কলির বতর্মান অসুরদের নিধন করবেন।
আসলে-একটা অসুর,একটা কংস
একটা দুর্যোধন তো নয়
লাখে লাখে দুর্যোধন -দুঃসাশন
এখন আবার ভগবানের দৈবিক শক্তিও নেই।
এই কলিতে-একটু সময়তো দাও শক্তি বর্ধনের জন্য।
বৃথা ভগবান ভগবান বলে অকালে কেন জাগিয়ে তুলছ?অসময়ে ঘুম থেকে কেন তুলছ?জানোতো কি হয়েছিল কুম্ভকর্নের -তোমরা কি তাই করতে চাও?আচ্ছা বেশ-এই যে ভাত নেই, ঘর নেই, চাকরি নেই, বস্ত্র নেই-মা বোনেদের ইজ্জতের সুরক্ষা নেই-দিন দিন জন সংখ্যা বাড়ছে-জনসংখ্যার কামান দাগা বন্ধ আছে কি?সত্য,তেতা,দাপরে ভগবানকে ডাকলে পাওয়া যেত-আর এখন?আজ তোমরা ডাকছ বিপদে পড়ে-তার নামতো কর না কেউ, উচ্চারণ ই করো না।
ধীরে ধীরে তার নাম,বিলীন করে দেবে -ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কে তো মুক বধির পঙু করে রেখে দেবে তোমরা।
যাক্ ঘুমাক-কিছুক্ষন-,পরে না হয় ডেকো।
===
ভগবান ঘুমিয়ে আছেন,বিশ্রাম নিচ্ছেন।
গত তিন যুগের অক্লাত পরিশ্রম-ঘি মাখনের শরীর কি সইতে পারে?কংশ, রাবন, দুর্যোধনেরা তো কম বীর ছিলেন না।
তারা তো কম বড় যোদ্ধা নয়।
আহা চুপ করো এত উতলা হয়ো না।
যুগে যুগে যে লড়াই তিনি করেছেন তার ধকল সামলেই উঠবেন -সময় হয়েছে এবার -জাগবেন উনি -কলির বতর্মান অসুরদের নিধন করবেন।
আসলে-একটা অসুর,একটা কংস
একটা দুর্যোধন তো নয়
লাখে লাখে দুর্যোধন -দুঃসাশন
এখন আবার ভগবানের দৈবিক শক্তিও নেই।
এই কলিতে-একটু সময়তো দাও শক্তি বর্ধনের জন্য।
বৃথা ভগবান ভগবান বলে অকালে কেন জাগিয়ে তুলছ?অসময়ে ঘুম থেকে কেন তুলছ?জানোতো কি হয়েছিল কুম্ভকর্নের -তোমরা কি তাই করতে চাও?আচ্ছা বেশ-এই যে ভাত নেই, ঘর নেই, চাকরি নেই, বস্ত্র নেই-মা বোনেদের ইজ্জতের সুরক্ষা নেই-দিন দিন জন সংখ্যা বাড়ছে-জনসংখ্যার কামান দাগা বন্ধ আছে কি?সত্য,তেতা,দাপরে ভগবানকে ডাকলে পাওয়া যেত-আর এখন?আজ তোমরা ডাকছ বিপদে পড়ে-তার নামতো কর না কেউ, উচ্চারণ ই করো না।
ধীরে ধীরে তার নাম,বিলীন করে দেবে -ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কে তো মুক বধির পঙু করে রেখে দেবে তোমরা।
যাক্ ঘুমাক-কিছুক্ষন-,পরে না হয় ডেকো।
===
অন্তিম যাত্রা
কেন বলেছিলে?আমি বাঁচব না তুমি না থাকলে -এখন তোমার হাতে আমার আলমারির চাবি -আমার হাতের আংটিটাও খুলে নিয়েছো জোর করে।
আমার গায়ে সাদা একখানি কাপড় দিয়ে শোক যাত্রার আয়োজন !তোমার ওই ভুবন ভোলানো অক্ষিকূটে একবিন্দ অশ্রু -আসেনি কেন?আমার বেদনায় সহানুভুতিও হয়নি? আমি অপেক্ষায় আছি -কখন তুমি আছড়ে পড়বে আমার বুকের উপর-আমার মাকে সরিয়ে দিয়ে বলবে -আমি বাঁচতে চাই না তোমাকে ছাড়া -তোমার চোখ বেয়ে অঝোরে ঝরে পড়বে অশ্রু।
তোমার ওই সুন্দর নরম চিবুক
সিক্ত হবে আমার বেদনায়। আমি অপেক্ষায় থাকি -আমার ওষ্ঠে ওষ্ঠ রেখে বলবে-ফিরে এসো একটিবার।
আমি অপেক্ষায় থাকি -কখন তুমি ফুলে ঢাকা দেহটা জাপটে ধরে
নির্দ্ধিধায় অনায়াসে মিশে যাবে -আমার সঙ্গে-ধন্য ধন্য করবে লোকে।
এই তো এই সেদিন রূপসা নদী পার হয়ে -ভিটে মাটি ছেড়ে দেশ বাড়ি আত্মীয় স্বজন হারিয়ে -তোমার সাথে তোমার ঘরে- কতদিন?
আমার গায়ে সাদা একখানি কাপড় দিয়ে শোক যাত্রার আয়োজন !তোমার ওই ভুবন ভোলানো অক্ষিকূটে একবিন্দ অশ্রু -আসেনি কেন?আমার বেদনায় সহানুভুতিও হয়নি? আমি অপেক্ষায় আছি -কখন তুমি আছড়ে পড়বে আমার বুকের উপর-আমার মাকে সরিয়ে দিয়ে বলবে -আমি বাঁচতে চাই না তোমাকে ছাড়া -তোমার চোখ বেয়ে অঝোরে ঝরে পড়বে অশ্রু।
তোমার ওই সুন্দর নরম চিবুক
সিক্ত হবে আমার বেদনায়। আমি অপেক্ষায় থাকি -আমার ওষ্ঠে ওষ্ঠ রেখে বলবে-ফিরে এসো একটিবার।
আমি অপেক্ষায় থাকি -কখন তুমি ফুলে ঢাকা দেহটা জাপটে ধরে
নির্দ্ধিধায় অনায়াসে মিশে যাবে -আমার সঙ্গে-ধন্য ধন্য করবে লোকে।
এই তো এই সেদিন রূপসা নদী পার হয়ে -ভিটে মাটি ছেড়ে দেশ বাড়ি আত্মীয় স্বজন হারিয়ে -তোমার সাথে তোমার ঘরে- কতদিন?
ঠিক কতদিন হবে? আর তুমি?তোমার সোহাগের হাত,সোহাগের পরশ -এখনো দাও নি আমার বুকে।
এই অন্তিম যাত্রায় –
এই অন্তিম যাত্রায় –
======
Comments
Post a Comment