Posts

Showing posts from June, 2021

বিষাদ

    বিষাদ দেবপ্রসাদ  ইহজন্মের প্রতিটা বিষাদ নির্মাণে  বিনষ্ট নদীপথের বাউল বাতাসে আমাকে একটা নদী উপহার দেয়, খরস্রোতায় গহীন প্রেমিকের মতো। পিপাসার্ত তলপেটে,উষ্ণতার ঘামে বসন্ত এলো জীবনে,উদাসী শিউলি তখন পীড়িত হয়,গভীর আবেশে। উদাসী বাতাসে মোর নির্মম পাথর, গোপনতম সুখের,স্পর্শের মুদ্রায়। নির্মাণের প্রগলভে, কথোপকথন হলুদ পাখির মন,শুভ্র শিউলির সাদামাটা সৌন্দর্যের কিশোরী সকাল ঘুমিয়ে থাকে ঘাসের উপরে নিশ্চিতে।  অনাবশ্যক অবুজ,সবুজ পৃথিবী  নকশী আঁচলে ফেলে দীর্ঘশ্বাস। তারপর?তারপর,নদীর আপন  স্রোতে ভেসে যায় অতি সন্তর্পণে। একাকীত্বের শাশ্বত নক্ষত্রের দেশে আজন্মকাল এমন একটা স্রোতের  নদী থাকুক না,যার স্পর্শের ছোঁয়ায়  অনাকুল ভালোবাসা,নিজেকে প্রত্যন্ত জনপদে নগ্ন করে আকাঙ্খিত ছবি-

আবার

       আবার  দেবপ্রসাদ জানা অনেক দিনতো গেল মন যুদ্ধে এসো আজ আবার হারিয়ে যাই সেই অচিনপুরে। যেখানে পাবো না ভাবনার সময়। নিজেকে নিজের মতো করে,গুছিয়ে নিয়ে উন্মুক্ত সবুজ ময়দানে,ছুটির মেজাজে  স্মৃতি জেগে ওঠবে নতুন করে । সাগর পেরিয়ে,আকাশের নিচে - দেখব,কোমর পেঁচানো শাড়িটা বাঁ হাতে সামলে নিচ্ছে গৃহবধু। পড়ে যাওয়া আঁচল খানা বার বার  তুলে নিচ্ছে কাঁধে। অদ্ভূত জীবন-তাই না? কাঠের আগুনে কালো হাঁড়ির ভেতরে ফুটে ওঠা মোটা চালের ভাত,কিলবিল করে উঠছে ওপরের দিকে। খড়ে আঁটি বেঁধে মাথায় নিয়ে গাঁয়ের বধু, মেঠো পথ ধরে চলেছে। মন চায় মনের খাঁচা ভেঙ্গে উড়ে যেতে। উড়তে উড়তে মুক্ত পাখির মত,দূর আকাশে মেঘের আড়ালে হারিয়ে যেতে- চলো না আবার একবার হারিয়ে যাই আরেকটা গোপন কোনো স্থানে, তুমি আমি দুজনে নীল সমুদ্রের ধারে, নয়তো সবুজ ঘন আমাজনে- নয়তো পাহাড় ঘেরা কোনো ছোট্ট গ্রামে, সময়,খুঁজে বেড়াক সময়ের ফাঁকে নির্জন নিরালায় বসে,ভাবনায়  ক্লান্ত পাখির মতো,শ্রান্ত পরিশ্রান্ত  অন্যমনস্ক উদাসী নয়নে খুঁজুক আমাদের। শামুকের মতো নিজেদের গুটিয়ে, সংসারী আদরে খোলশে ভরেনি আবার।  এত বন্দীদশা ভালো লাগে ন...

ভগবান জানে

  ভগবান জানে দেবপ্রসাদ জানা   ১৮.৬.২০২১ মাগো তোমার আদরে গড়া,এই দেহ একদিন জ্বলেপুড়ে ছাই হবে কালে। তোমার পৃথিবী মোরে,দিলো নাকো স্নেহ, ঘুমিয়ে পড়ব আমি,তোমারই কোলে। স্বপ্ন দেখা শেষ হবে,চিরতরে জানি। হাজার স্বপ্নের ভিড়ে,নিদ্রা যাবো আমি। তোমার আঁচলে মায়া ছিল বহু মানি। সাদা থানে ঢাকা হবে,শেষের ভণ্ডামি। অনন্ত লোকের দেশে,ভুতের আবাস সকলের যেতে হয়,পোরে নয়া বেশ। নতুনের দেশে যাবো, নতুন আশ্বাস। শিশু শিশু মন হবে,নতুন আবেশ। মৃত্যু তবু ভয়ানক,কেন এই মনে? স্বাধের পৃথিবী কয়,ভগবান জানে।

আষাঢ় এসেছে

 আষাঢ় এসেছে। দেবপ্রসাদ জানা তোমরা দেখেছ বন্ধু,আষাঢ় এসেছে  কিছু কথা ,কিছু গান, কিছু অভিমানী  সুর নিয়ে বর্ষাস্নাত মোনালিসা হয়ে, অশান্ত দুপুর শান্ত করে দিয়ে,সেই ছেঁড়া ছেঁড়া স্মৃতিগুলি,বুকে ভরে নিয়ে,  ভালোবেসে,অজান্তেই চুপিসারে এসে  জুড়ে বসেছে,মনের গভীর কঠিন শাল আর মহুয়ার ছায়ামাখা স্নেহে ধমসা-মাদল সুর,ভুলে গিয়ে,গৃহে ফাগুনে পলাশে কত মধু আলাপনে ব‍্যথাভারে চোখে জল,নিয়েছে আঘাতে  পঙ্গু আজ দেহমন, অশান্ত প্রকৃতি- তবু শান্তি বুকে করে,আষাঢ় এসেছে। আষাঢ় নামছে ধীরে,ওই রুখা মাটি বিরহিনী পৃথিবীর, সাজ পরিপাটি মন দিয়ে,মনে কত,পেয়েছিলো দুখ। আজ এ বিবাগী মনে,কঠিন অসুখ তবু সুখ,অভিমানে মনের গুঞ্জনে- অসুখী প্রিয়জনের মুখে হাসি ঢেলে খুশি ভরা হৃদয়ের পদ্মজলে ফুল ফুটিয়েছে সে আবেগে,সবার অলক্ষ্যে  আষাঢ় এসেছে ভোরে,আষাঢ় এসেছে অশান্ত মনের কোনে, সীমাহীন সুখে।

স্বপ্ন ভঙ্গ

      স্বপ্ন ভঙ্গ দেবপ্রসাদ জানা যে ছেলেটা রোজ সাঁজে,গড় ময়দানে  বাদাম বেচে আড়ালে,আবডালে,তার জীবনের ভয় নেই? সেই ছেলেটার - ঘরে ভাত নেই,ট্যাঁকে টাকা নেই,তবে? তারে যদি ধরে পোকা,কুরে কুরে খায় জীবনের মধু সুধা,ভাতের অভাবে- যদি খেতে হয় শাক পাতা,তাই খেয়ে জীবনের পথ চলা,তবু তার দেহে কখনো কি পোকাদের বসবাস হয়? পোড়ানো ভুট্টার গায়ে লেবু নুন দিয়ে যে বিক্রি করে বেড়ায়,বিধি নিষেধের বেড়াজাল ভেঙ্গে রোজ,সবার অলক্ষ্যে  জীবাণু বহন করা,কোন ব্যক্তি হাতে হাত রেখে,লোভনীয় পোড়ানো ভুট্টার অমৃত স্বাদ রোশনা পরিপূর্ণ করে? তার নিয়মে কোনোই ছেদ পড়লো না। কালো দিনগুলি তাকে দমিয়ে রাখতে  পারেনি কখনো,সেও একধরণের - বিজয়ী বীর ছিলই। তার জীবনের  দাম কিবা ছিল?মৃত্যু তারে একবার ছুঁয়ে দেখে পালিয়েছে,সে তো কোনো স্বপ্ন  দেখেনি,যাতে আঘাত লাগে,স্বপ্ন ভঙ্গে। কিন্তু স্বপ্ন ছিল তার মনের গভীরে কোথাও লুকানো,তাই কেঁদেছিল সেও।

জবাব চাই

     জবাব চাই দেবপ্রসাদ জানা    ১২.৬.২০২১ স্বপ্ন গুলো ভেঙে যাচ্ছে,এক এক করে। চাঁদের পাহাড়ে আলো,ক্রমে কমে যাচ্ছে, স্বপ্ন গুলো ঝরে যাচ্ছে,  ঝুর-ঝুর করে - অকাল বোধনে,কত প্রাণ চলে যাচ্ছে। সকালে ঝরে পড়ছে সদ্য ফোটা ফুল, তার শব্দে কেঁপে ওঠে,কঠিন পাথর। পায়ের নিচে মাটিতে,পচে যাচ্ছে মূল। সেদিকে নজর নেই যে,দুটি বছর। স্বপ্নের বুনন শক্ত হয়নি,তা মেনো। তবু আশার আকাশে,চাঁদের জোছনা। রূপালী জোছনা মেঘে,ঢেকে ছিল কেন? বলতে পারোনি তুমি,ভালো আছো কিনা। ভাবনা মেরেছে লাখে,ভেবে দেখো সই, কোটিতে মেরেছ স্বপ্ন,সে জবাব কই?

বাঁশের শয্যা

   বাঁশের শয্যা  দেবপ্রসাদ জানা     ৮.৬.২০২১ বাঁশের শয্যায় পার হতে হবে জানি- চারজন কাঁধে করে,আতরের গন্ধ ঢেলে একদিন নিয়ে যাবে পরপারে। সাদা ফুলের মালায় ভরিয়েছে দেখে- তোমার হৃদয়টাতো,ক্ষনিকের তরে বলবে,"ভালোবাসি গো আমি,কেন ছেড়ে চলে গেলে তুমি"? মোর নয়নাশ্রুজলে তব পথ শিক্ত করি। বেদনার ক্ষত- বুকে চেপে রেখে আজ নিভৃতে বলছি, ভালোবাসি ভালোবাসি। এখন বুঝতে পারি তোমার অব্যক্ত প্রেম হারিয়েছি। তোমার লেখা ডাইরি,প্রতিদিন রাতে  আমাকে অবৈধ প্রেম নিবেদন করে। পাতার অক্ষর গুলো,মাথা উঁচু করে- সমাজের মুখোমুখি হতে চায় আজ, সকল প্রেমের ফুল,মন দিতে চায়- সবার অলক্ষ্যে আজ তুমি যে বেদনা দিয়ে গেলে মনে,তার প্রায়শ্চিত্ত করি শ্মশানে।অগ্নিশিখায় বিলুপ্তের পথে- তুমি সেই পরপারে চলেছ,আজই ধুম্র আকারে,আত্মার,স্বর্গ প্রাপ্তি তরে।  গঙ্গার পবিত্র জলে,চিতার আগুন নিভে যাবে,রয়ে যাবে তোমার অদগ্ধ অস্তি,বাকি সব ধোঁয়া হয়ে উড়ে যাবে ওই আকাশের বুকে,রামধনু হয়ে।

শ্রুতি নাটক।। চিঠি।।

অনুশ্রুতি নাটক ।। চিঠি।। দেবপ্রসাদ জানা চরিত্রলিপি অপরাজিতা  শুভ অপা- শুভ শুভ আর কতদিন অপেক্ষা করব শুভ। শুভ- কেন অপেক্ষা করবে কেন? আমি তো তোমায় বলে দিয়েছি,আমার দ্বারা তোমাকে বিয়ে করা সম্ভব নয়। অপা- তুমি বলে দিলেই হবে? আমার কোনো বক্তব্য থাকতে পারে না? দিনের পর দিন আমাকে উত্যক্ত করেছ। শুভ-উত্যক্ত করেছি? এখন সব আমার দোষ? অপা-উত্যক্ত করো নি? সব প্রমান আছে আমার কাছে,তোমার সুন্দর হাতের লেখায় প্রেমপত্র। শুভ- প্রেমপত্র ! আমি তোমাকে লিখেছি? অপা- হ্যাঁ প্রেমপত্র,আমাকে লিখেছ।  শুভ- দেখো অপরাজিতা তোমার সঙ্গে আমার এমন কোন সম্পর্ক হয়নি যে,তোমাকে বিয়ে করতে হবে। তা ছাড়া তোমার মতো মেয়ে,কোনদিন একডালে বাসা বাঁধে না,সেটা আমি ভালো করে জানি।  অপা- তাই নাকি? তাহলে আমার মতো মেয়েরা কি করে?  শুভ- তা তুমি নিজেই বলো। এই পাঁচ বছরে কত জনের সঙ্গে সম্পর্ক করেছ ভুলে গেছো? অপা - হ্যাঁ করেছি, তাবলে তোমাকে ভালোবাসি না সেটা কে বলল? শুভ- ভালোবাসো? ছিঃ অপরাজিতা, তোমার মুখে ভালোবাসার কথা মানায় না। তুমি পাঁচ বছর আগের কথা ভাবো একবার,যখন আমার কাছে কিছু ছিল না, কি বলেছিলে তুমি? আমার মতো ছেলেকে সহানুভূতি দেওয়া ...

সোপান

      সোপান  দেবপ্রসাদ জানা খবরের কাগজের প্রথম পাতায়- তোমার ছবিটা দেখে,অশ্রুজলে চোখ ভরে ওঠে অজান্তেই,আজ কত বড় তুমি,তোমার সামনে,যেতে হলে আজ টোকেন লিখতে হয়,দোরের বাইরে। তোমাকে ঘিরে সহস্র লোকের বেষ্টনী, লেখার জন্য তোমার হাতে তুলে দিতে- হয় ঢাকনা উন্মুক্ত,ঝরণা কলম। তুমি সহজ সরল,আনন্দ চাওনি, চেয়েছ,কৃত্রিম খুশি,কৃত্রিম আনন্দ। চড়া দামে ভালোবাসা,কেনাবেচা করো, ভাবনা গুলোকে,স্বপ্ন ভেবেছ যে তুমি। চাহিদা গুলোকে ক্রমে,নিজের অজান্তে অন্যের ওপর দিয়ে,নিজের হাতেই নিজেকে হত্যা করতে চাও অনিকেত? আজ তুমি সাফল্যের শীর্ষে বসে আছো, বলতো কত আনন্দে আছো অনিকেত? সিঁড়িটা মূসৃন হলে,একদিন তুমি- ফিরে আসবেই জানি,ওই স্বপ্ন গুলো- ফেলে রেখে,আমারই কাছে,এই ঘরে। কি পাওনি তুমি বলো?জীবনের সব পাওনা গুলো,তোমার ঝুলিতে নিয়েছ জোর করে,নারী বাড়ি গাড়ি,আর স্বপ্ন। তুমি ইচ্ছেমতো সব,নিয়েছ প্রকৃতি- থেকে,ফল ফুল গন্ধ, আকাশ বাতাস - অমানবিকতা,সভ্যতা,আর হাসিমুখ। তুমি লক্ষ্যই করিনি,কখন প্রকৃতি- জানিয়ে দিয়েছে তার,ধ্বংসের বারতা। তাকিয়ে দেখেছ তুমি একবার, মৃত - স্তুপের দিকে?পৃথিবী কি বলছে,তাও শোনোনি,ফিসফিসিয়ে,প্রকৃতি বলেছে, স...

ভালোবাসার বেদনা

 ভালোবাসার বেদনা   দেবপ্রসাদ জানা     ০৫.০৬.২০২১ মিষ্টি সুরের ঝংকার,ভোরের আকাশে। প্রেম,প্রীতি,ভালোবাসা,দিয়েছে প্রকৃতি। শীতগ্রীষ্ম,ঝড়বৃষ্টি,পালা করে আসে। শহরের কোলাহলে,বহে ভাগীরথী। কত স্বপ্নের বসন্ত,ফাগুনের ঘরে- প্রকৃতি প্রেমের ছবি,নীলাদ্রীর ফ্রেম সাতরঙ ঢেলে খেলে,দিগন্তের পারে। মেঘের হৃদয়ে রাখা,বাদলের প্রেম। এত প্রেমের পরেও,আকাশে বাতাসে  যন্ত্রনা দিয়েছি কত,প্রকৃতির বুকে। আগুন জ্বেলেছি তার,সবুজের ঘাসে। কত বিষ মেশিয়েছি,কে খবর রাখে? এত ভালোবাসে তবু,কষ্ট দেই তারে। ভালোবাসায় বেদনা,আষ্টেপৃষ্ঠে ধরে।।

সাদা ছাই

     সাদা ছাই দেবপ্রসাদ জানা    ৪.৬.২০২১ হৃদয়ের কথা মনে হতেই,সেদিন  দুষ্টু মিষ্টি আদুরের এক অবয়ব  - চোখের ওপর ভেসে ওঠে প্রতিদিন। বিস্ময়কর জীবন,করে কলরব। অশ্রুময় বেদনায়,আবেগে মায়াবী  চোখ দুটো যেন,কত কথা বলে যায়।   এই সুন্দর মুহূর্তে তার প্রতিচ্ছবি- বুকের অাঁধার খানা,মুছে দিয়ে যায়। সম্মোহনী ভালোবাসা,এক ব্যবসায়ী  ভালোবাসা দেয়ানেয়া করে প্রতিদিন। দিলে পাবে,অনথায় সেও ক্ষনস্থায়ী, পরিপূর্ণ ভালোবাসা,আনবে সুদিন। আগুনে পোড়ালে সোনা,খাঁটি হয় জেনো প্রেমের আগুনে পোড়া, সাদা ছাই এনো।

আধুনিকতা [শ্রুতি নাটিকা]

শ্রুতি নাটিকা  চরিত্রলিপি মা খোকা বৌমা নাতনি মা-- খোকা,খোকা তুই যাস না খোকা,কেন রাগ করিস? খেয়ে যা, কেন এত অশান্তি করিস? আমাকে নিয়ে তোদের এত সমস্যা কেন? বাবা তোর কাছে আমাকে রাখতে হবে না, বৃদ্ধাশ্রমে দিয়ে আয়। বৌমাকে বল আমি চলে যাবো। বৌমা--আপনি চলে যাবেন,কেন মা? আপনার বাড়ি,আপনার ছেলে,সবই তো আপনার আমার কি আছে? আমি তো পরের বাড়ির মেয়ে,আমিই নয় বাপের বাড়ি চলে যাই। খোকা--তা তো যাবেই, সুবিধা হবে তো,সারাদিন ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে কাটাতে পারবে। মিথ্যে বলে এখানে ওখানে যেতে পারবে। রাত কাটাতেও পারবে। বৌমা --হ্যাঁ,তাই কাটাব,কি দিয়েছ এই ১৮ বছরে? দিনের পর দিন যখন দেখি অন্যের ঘরের বউরা দামি দামি শাড়ি পরছে,পার্লারে যাচ্ছে, নতুন নতুন শাড়ি পরে স্কুলে বাচ্ছা দিতে আসছে, আমার ও ইচ্ছে হয়,দামি দামি শাড়ি পরি,সেই এক শাড়ি এক কুর্তি,বিউটি পার্লার তো বছরে একবার দেখি কিনা সন্দেহ আছে, রান্নাঘর আর বাচ্ছা ছাড়া আর কি দিয়েছ। খোকা--আর কি দেবো? নষ্টামো করার জন্য বয় ফ্রেন্ড? ভিডিও কল করার জন্য মোবাইল তো কিনে দিয়েছি। গত এক বছর ধরে যে বন্ধু প্রীতি চলছে,সেটাও তো আমার দেওয়া,শুধু বন্ধু প্রীতি কেন? বন্ধুর বর প্...

শুকনো পাতা

   শুকনো পাতা দেবপ্রসাদ জানা   ৩১.৫.২০২১ অরুণ তরুণ স্বর, শুনি কান পেতে। শুকনো পাতার বুকে,হয় আর্তনাদ। বাতাসের তাড়নায় উড়ে যাবে রাতে, পৃথিবীর মায়াজাল,করে না বিবাদ। চরম সত্যের ফাঁদে,শুকনো পাতারা। মিলিয়ে যাবে বাতাসে,দাবানলে পুড়ে। কত যে চোখের জল,ফেলছে বেচারা। বাতাসের হাত ধরে,ঘুরেছে আষাঢ়ে। নিয়মের বেড়াজালে,জন্ম মৃত্যু ঘোরে বড় হয়,বুড়ো হয়,ঝরে যায় শেষে- তারপরে স্মৃতিগুলো মনের গভীরে  ধরে রাখার আপ্রাণ,চেষ্টা অবশেষে। অকাল বোধন হয়,দাবানলে বন। ক্ষমাহীন শাস্তি পায়,সবুজ কানন।।                       

ক্ষুধার দেশে

 ।।ক্ষুধার দেশ।। দেবপ্রসাদ জানা    ১.৬.২০২১ আগ্নেয়গিরি ফাটল,আবার বাটিতে চারিদিকে হাহাকার বাড়ছে ক্ষুধার, পুঞ্জীভূত লাভা গলে,পড়বে মাটিতে অভিজ্ঞ ক্ষুধার দেশ, করবে বিচার। কতটুকু সংগ্রামের কতটুকু পাবে? আদিম ক্ষুধার দেহে,কতটা খাবার। কতটা ছিনিয়ে নেবে,কতটুকু দেবে, দানপাত্র ভরে নিয়ে,কাঁদবে আবার। মহামারী বানভাসি মানুষের ঘরে গোলাভরা ধান ছিল,তবু অনাহার। ঝড়ের তান্ডবে তাও,অসময়ে মরে- অকালে যে কর্মনাশ, বড়ই ব্যথার। ক্ষুধার দেশের লোক, বড় ভয়ঙ্কর- পেটের আগুনে পোড়ে,ভেজা বাড়িঘর। ।

প্রকৃতির ঘরে

   প্রকৃতির ঘরে দেবপ্রসাদ জানা     ৩.৬.২০২১ আকাশে নদীতে মিশে,করে কানাকানি। ভোর ভোর চিত্তচোর,কলম সৈনিক। ভোরের বাতাস কহে,নদী কলঙ্কিনী। উঠে লিখি ভোরবেলা,কবিতা দৈনিক। রক্তরাগে ক্ষত নীল,মেঘের ছায়ায়, অনন্তে বিলীন যেন,স্তব্ধতার নীড়ে।   ক্ষণস্থায়ী সন্ধিক্ষণ,গভীর মায়ায়, সানন্দে জেগেছে সূর্য,সাগরের তীরে। নতুন রঙের রবি,লিখেছে কবিতা- হৃদয়ের ভালোবাসা,খাতার পাতায়, অক্ষরে অক্ষরে বাড়ে,কবিতার খাতা, কখনো আনন্দ ঢেলে,কখনো ব্যথায়। কবিতা কথনে ভোর,আসে নদী তীরে। পুবের আকাশে নীল,লাল হয় ধীরে।।

তারে খুঁজি

 তারে খুঁজি দেবপ্রসাদ জানা    ২.৬.২০২১ যুদ্ধের গর্জনে শত্রু,তোলে তরবারি। বিদ্রোহ করেছে মন,নিজের হৃদয়ে। প্রতিবাদী কন্ঠস্বর, প্রাণ মন হারি। মহাসৃষ্টির অন্তরে, পসরা সাজিয়ে। বিদ্রোহের গন্ধ মন,পেয়েছিল আগে সর্বগ্রাসী কুহেলিকা,অমর- অব্যয়। ক্ষুদ্রকায় মৃত্যভয়,মন মাঝে জাগে, শ্মশাণে চিতার ঘ্রাণে,হয়েছে প্রত্যয়। দেহের আহুতি হোক,চিতার আগুনে  বিষের বাঁসি বাজুক,অলিন্দের নিচে। বাঘবন্দী খেলা করে,বসন্ত - ফাগুনে। প্রেমহীন চিতাভস্ম,ফিরিয়ে দিয়েছে। যৌবনের নেশা লেগে,বিকশিত ফুল  চিরন্তন ভালোবাসা,আবেগে আকুল।