Posts

Showing posts from February, 2021

সনেট।।ভেজা কাক।।

 ।।ভেজা কাক।। দেবপ্রসাদ জানা     ২৭.২.২০২১ একটা কাক বসছে বারান্দার গ্রীলে মায়াবী চোখে তাকিয়ে আছে মোর দিকে। মনে হয় বড় একা,চোখে কিছু বলে। বৃষ্টি ভেজা শীতে কাঁপা,সে ডাকছে কাকে? আজ মনে পড়ে সেই সেদিন সন্ধ্যায়। মা বসেছিল উঠানে,ক্রমাগত ভুগে- মনে রাখার ক্ষমতা,হয়েছে বিদায়। চলা ফেরার ক্ষমতা,হারিয়েছে রোগে। তবুও কত আকাঙ্ক্ষা,মনের গভীরে "আমাকে ঘুরিয়ে নিয়ে আয় না কোথাও- অনেকদিন হলোতো,সঙ্গে নিবি নারে"? অবাক হলেও বলি,দেহে শক্তি পাও। আজ যেন কাক হয়ে,বহুদূর ঘুরে। ক্লান্ত পথিকের মতো,গ্রীলের ওপরে।

সনেট।। ইচ্ছেরা তখন।।

 ।।ইচ্ছেরা তখন।।     ২৬.২.২০২১ যখন ইচ্ছের পাখা দুটি, ডানা মেলে । উড়ে যেতে ইচ্ছে করে,আকাশের পানে আকাশ যেখানে মেশে,তার ডাক পেলে ওড়ে মহাসমুদ্রের, আকুল আহ্বানে। ঢেউয়ের মিতালিতে,নয়ন জুড়াতে। ইচ্ছেরা যে,তার বুকে ঝাঁপ দিয়ে পড়ে। সাগর গভীরে সব বেদনা ঘোঁচাতে উথাল পাথাল ঢেউ,নেবে কষ্ট কেড়ে। সমুদ্র তুমি গর্জনে, উচ্চাঙ্গে হাসবে, বলবে,"জীবনে এত বিষ, আর কত? এই ক্ষুদ্র বুকে মোর, ঢালতে পারবে? জীবন সমুদ্রে যেন ,বড় হয় ক্ষত। সুহাসিনী নীলাম্বর,শাড়িতে সাজবে, ইচ্ছেরা তখন পাখা মেলেই ভাসবে।

সনেট।। অলক্তক।।

 ।।অলক্তক।। দেবপ্রসাদ জানা  আমি তো মায়ের সঙ্গে রোজ কথা বলি। মায়ের সঙ্গেই রোজ,সন্ধ্যা তারা দেখি। মেঘের আড়ালে তারা,সঙ্গে নিয়ে খেলি। মা হাসে মা কথা বলে,দেখবে তুমি কি? কান্নায়,ভিজছে রাতে,বালিশ তোষক নীরবে চোখের কোনে,জল এসে যায়। এইতো সেদিনও মা, রক্ত অলক্তক বিছানায় বসে এঁকে ছিল তার পায়। কত রাগ দেখিয়েছি সেদিন অযথা। বলি তোমার আক্কেল নেই,বিছানায়? লাল ছোপছোপ দাগ,পেয়েছিল ব্যথা  বেদনায়,সেই দাগ,কথা বলে যায়। আদরে আবেগে বাড়ে মনের বেদনা। রাগ করেছ মা?কাঁদি জড়িয়ে বিছানা।

সনেট।।গভীর আলিঙ্গনে।।

 ।।গভীর আলিঙ্গনে।।     দেবপ্রসাদ জানা        ২৩.০২.২০২১ যে যায়,সে যায়,বাঁধা নিয়মের জালে। সবকিছু রেখে,এই পৃথিবীর বুকে। মৃত্যুর নীলাভ চোখ,কালো হয়ে গেলে, ঘুমের আড়ালে মৃত্যু,সর্বদাই থাকে। দেখি তার মোহময়ী রূপ,অনবদ্য সম্মোহনী,মায়াবিনী,অত্যন্ত নীরবে। কখন কখন আসে হঠাৎ অবাধ্য। অন্ধকারে ফিসফিস করে,অনুভবে। হ্যাঁ ঠিক এইভাবেই,গভীর আঁধারে  মাকে চুরি করে নিয়ে গেল,মৃত্যুদৃত। পাটে পাটে ঝুলছিল,কাপড় হ্যাঙ্গারে গোছানো ছিলতো সব কিছু,কি অদ্ভূত। নিঃশব্দ নীরবে তার,শেষ আনাগোনা, তার আলিঙ্গনশব্দ,যায় নাকি শোনা?

সনেট।। মায়ের স্নেহ।।

 ।।মায়ের স্নেহ।। দেবপ্রসাদ জানা তুমি চলে গেলে সেই অমৃত অঞ্চলে যেখানে চাঁদ তারারা বসবাস করে। যত শান্তি যত সুখ তোমার আঁচলে ভরে বেঁধে নিয়ে গেলে মুক্ত চরাচরে। তুমি বলতে মা,"তোকে ছাড়া,থাকা যায়? ভালো লাগে না রে"। আমিতো আছি মা- সেই ঘরে,সেই আমি,সেই আঙিনায়- তোমার ঘরটি,ফাঁকা,তুমি রইলে না। তোমার আঁচল ধরে সেই চলাফেরা তোমার শাসনে সৃষ্টি,মোর শালীনতা তোমার চলার পথে,মোর ঘোরাফেরা  তোমার আদরে গড়ে,দিয়েছে বিধাতা। বড় যত্নে সাজাইলে এ সোনার দেহ। আজ নাই কাছে তুমি,মা,কে দেবে স্নেহ?

সনেট।। ভেজা কাক।।

 ।।ভেজা কাক।। দেবপ্রসাদ জানা  একটা কাক বসছে বারান্দার গ্রীলে মায়াবী চোখে তাকিয়ে আছে মোর দিকে। মনে হয় বড় একা,চোখে কিছু বলে। বৃষ্টি ভেজা শীতে কাঁপা,সে ডাকছে কাকে? আজ মনে পড়ে সেই সেদিন সন্ধ্যায়। মা বসেছিল উঠানে,ক্রমাগত ভুগে- মনে রাখার ক্ষমতা,নিয়েছে বিদায়। সামান্য চলা ফেরার শক্তি হারা রোগে। তবুও কত আকাঙ্ক্ষা মনের গভীরে "আমাকে ঘুরিয়ে নিয়ে আয় না কোথাও- অনেকদিন হলোতো,যেতে পারিনিরে"। অবাক হলেও বলি,আগে শক্ত হও। আজ যেন কাক হয়ে,বহুদূর ঘুরে। ক্লান্ত পথিকের মতো,গ্রীলের ওপরে।

সনেট।। পদধ্বনি।।

 ।।পদধ্বনি।। দেবপ্রসাদ জানা আমি শুনতে পেলাম,মার পদধ্বনি। নাকি পুরানো দিনের,কিছু আবর্তন, সেই সিঁড়ি দিয়ে উঠে আসবে বুঝিনি আমার মনের ভুল,ফেরে না মরণ। শুধু মা ব্যতিত ঘর,একটা দিনের। আবার এক মৃত্যুর দিকে অগ্রসর,  বেহিসেবের জীবন,শুধু ক্ষনিকের। ভ্রান্ত করিডোরে রই,জন্ম জন্মান্তর।  উপন্যাসের চাহিদা,অপূর্ণ থাকে না। অনেক যোগ বিয়োগ,ভাগ,অঙ্ককষা অনেকই কাটাকুটি,ছন্দের যন্ত্রনা। জীবন একটা শব্দ মাত্র,মৃত্যু মেশা। শেষ হয়ে যাবে নাকি,ছায়াহীন পথে। পদধ্বনি শুনি নিত্য,নীরব প্রভাতে।

বুবাই

     ।।বুবাই।। দেবপ্রসাদ জানা দিচ্ছে বুবাই,ছিটিয়ে কালি,সাদা জামার ওপর। দুষ্টু বুবাই সবাই জানে,পুরো শ্রেনীর ভেতর। শুনবে না সে কারো কথা,মাস্টার মশাই জানে। একজনকেই সে ভয় করে একজনকেই মানে। ছুটির আগেই ঘন্টা দিয়ে পালায় ছুটে ঘরে। চক দিয়ে সে দেয়াল আঁকে ঝুল কার্নিসের চড়ে। বাবা মায়ের ছোট্ট ছেলে,বড়ই আদর তার। পাঁচ বোনের,পরে বুবাই,বদমাইসির হাড়। স্কুলে আনা টিফিন বক্সে,অধিকার তার ভারি। কেউ যদি লুকিয়ে রাখে, সে নেবেই কাড়ি। মারামারি ঝগড়া ঝাটি,করছে সারাদিন। স্যরের হাতে খাচ্ছে মার,বোঝে না অর্বাচীন। এত কিছুর মধ্যে  বুবাই,মনটা ভারি ভালো। আঁধার রাতে,আঁধার পথে,জ্বালিয়ে রাখে আলো। বয়সে সে ছোট্টো হলেও.কাজে বড় মানুষ। গায়ের জামাও বিলিয়ে দেয়,পেলে গরীব মানুষ।

হে বাঙালি

 ।।হে বাঙালি।। দেবপ্রসাদ জানা হে বাঙালি ভুলিও না,তুমি মূর্খ নও। তব ঝুলিতে নোবেল রয়েছে,ভাষায় - তুমি দরিদ্র,কাঙাল,অর্থহীন তবু অর্থনীতির নিরিখে,নোবেল তোমার। জ্ঞানরত্নের সম্ভার,আজ অফুরন্ত। বিদ্যা শিক্ষায় পেয়েছ,বিশ্বের সম্মান। হে দরিদ্র বঙ্গবাসি,তুমি বিশ্বনীতি। হে বাঙলাভাষী বীর,বিভেদ বিদ্বেষ ত্যাগ করো,ধর্মবর্ণ, নির্বিশেষে সাহস অবলম্বন করো,ধৈর্য্য ধরো তোমার রক্ত,তোমার ভাষা,মুক্ত হবে। সদর্পে ডাকিয়া বলো,তুমি বাংলাভাষী।  

প্রেম

      ।।প্রেম।। দেবপ্রসাদ জানা ভালোবাসায়,পীড়িত প্রেম,অকৃত্রিম,  ভালোবাসা প্রেম মানে,নারী পুরুষের  দৈহিকভাবে মিলন একেবারে নয়। ভালোবাসা বিশ্বাসের এক ফুলদানি  ভালোবাসা বন্ধুত্বের,অটুট বন্ধন। ভালোবাসা তো ঈশ্বর,সম্পর্ক ঈশ্বর আমার বিশ্বাস প্রেম মানেই ঈশ্বর। 

মৃত্যুহীন

   ।।মৃত্যুহীন।। দেবপ্রসাদ জানা যদি মৃত্যু হতো মায়ের - তবে মনে পড়বে কেন? সকাল বিকেল দিনরাত, শুধু মায়ের আদর গুলো- ছবির মতো মনে পড়ে। ভাতের থালায় তার হাতের ছোঁয়া, জামা কাপড়ে তার আদরের গন্ধ। টিভি দেখলেই বকুনি খাওয়া এখনো শুনতে পাই। সিঁড়ির হাতলে,তার ছোঁয়া  আমার হাতে হাত দিয়ে যায়। যে সিঁড়ি দিয়ে মা ধরে ধরে- আমার কাছে চলে আসত। আর বকুনি দিতাম আমি, ঝাড়ুটা হাতে নিয়ে ঘর গুলো  পরিষ্কার করে ফেলতো, বলতো একটু করি না, শরীরটা চালু থাকবে। যে মেঝেটায় মার হাতের ছোঁয়া  এখনো পরশ লাগে আমার শরীরে, যে বলে মা নেই, সে জানে না, মায়ের পরশ এখনো আমি পাই। দিনরাত আমার মন, মার আদর খায়। দেওয়ালে রাখা ছবিটা, আমি দেখতে পাই না মা- আমার মনের দেওয়ালে সর্বদা- তুমি জীবিত, তুমি আছো মা- থাকবে জীবন ভোর। আমার কবিতা তোমাকে ডাকে, আমার বেদনা তোমাকে খোঁজে, আমার ভাবনা, তোমার আদর খায়, আমার চেতনা তোমার হাত ধরে ঘোরে, আমার স্বপ্ন তোমায় চুম্বন করে আদরে, আমার বই,তোমার শব্দ শোনে। এত আদর করে আর কেউ পড়ে না মা, আমার বই গুলো,যত আদরে তুমি পড়ো। সকালে জানালায় উঁকি দেওয়া রোদে- হাতে  নিয়ে আমার কবিতার পাণ্ডুলিপি - আমি দেখতে পা...

আছকের কথা

 ।।আজকের কথা।।   দেবপ্রসাদ জানা পাগলামি কোরো নাগো,বসো চুপ করে। বুঝতে পারছো কিনা,স্বপ্ন গুলো সব - একে একে সরে যাচ্ছে,অন্ধকার গ্রহে কিবা করি,দিনকাল মনোরম নয়- তাবলে সবসময় লাগে যদি ভয়- পথে পথে ঘোরে ফেরে ড্রাকুলার দল। আজকের দিনে থাক এই আলোচনা জেগেছে নতুন ব‍্যথা,ভাইরাস রোগ। কবে হবে সমাধান জানি নাকো মোরা। কেমনে কাটাব দিন,ভয়ে ভয়ে আছি - ভ্যাকসিন হাতে করে,ঘুরছে সকলে, তাতেও তো ভয় লাগে,অন্য কিছু হলে? শিক্ষা ক্ষেত্রে অনটন,নীরব তেনারা অন‍্যরকম কাটাচ্ছে দেশের মানুষ - সোসাল মিডিয়া দেখো ফুলে ফেঁপে ওঠে। নেট লাগে প্রতিদিন দুই জিবি করে। গান শোনা টিভি দেখা সব গেছে ভুলে। অ্যাপস্ নাও গুগুল মিট,শিক্ষা পাবে নইলে যে নড়বড়ে পড়াশোনা হবে। স্কুলের মাইনে ঠিক সময়েই চাই অনলাইনে ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট পাই। আজকের কথা আর বলব কতটা শেষ নেই অভিযোগ,এমনই ব্যথা। সন্ধ্যায় জেগেছে কবি,দিয়েছে বারতা।।

সনেট।। সাগর জলে।।

 ।।সাগর জলে।। দেবপ্রসাদ জানা জীবনের খোঁজে আমি,চলেছি সাগরে। সমুদ্রের নীল জলে ,খুঁজেছি জীবন, শুনেছি তার তরঙ্গে,জীবন আঁধারে- কত আলো জ্বেলে যায়,থাকে আমরণ। একটুকরো সুখের মধু,তার জলে- মিশিয়েছি সুখ পাবো বলে,ক্ষনিকের। জীবনে এক টুকরো সুখকে সকলে- কুড়িয়ে আনতে চায়,তার অতলের। নীল আভায় সাগর জলে,সোনা রোদ জীবন যেন উঠেছে জেগে,আলাপনে। উদ্বিগ্নতায় উঠিল, মনের পারদ  দিগন্তের নীল আভা,পড়েছে জীবনে,  ওই তার সুখটুকু করেছি সন্ধান- বেদনার সবটুকু,করেছি যে দান।

সনেট।। মাতৃহীন।।

 ।।মাতৃহীন।। দেবপ্রসাদ জানা প্রতিক্রিয়া হীন,এক নীরব পাহাড় মাতৃহীন বিসন্নতা,কাঁদছে হৃদয়। হেঁটে চলা মেঠো পথে,আসিল আষাঢ়  মেঠো পথ কর্দমাক্ত,হইল নিশ্চয়। কাঁটা ঝোপ সারা পথে,কেন মনে হয়। সেখানে বসত করে,হই দিশেহারা। নিয়মের বেড়াজালে,রক্তাক্ত হৃদয়- উফঃ,সহ্য হয় নাতো, মা তোমারে ছাড়া। কখনো আকাশ দেখি, খুঁজি চারদিকে, সেখানে আমিও একা,ঐ ছবির মতো সদ্য যে ছবিটা ঝোলে,মুখ পুর্বদিকে। কেন মাগো ছবি হলে, অভিমান এতো? এটা কোন ভালোবাসা,এটা কোন স্নেহ? হুট করে চলে গেলে,রেখে ওই দেহ।

সনেট।। কালিমাময়।।

 ।।কালিমাময়।। দেবপ্রসাদ জানা একবার নখ দিয়ে ঐ  হৃদয়টাকে আঁচড়ে দিতে চাইছি,বড় কষ্ট পেলে। এটা সেই ভালোবাসা,যে পাঁজরটাকে একদিন অনায়াসে,তুমি ভেঙেছিলে। ঐ অজানা অবিশ্বাসে,আমাকে তোমার  জীবন থেকে খুবলে,দূরে ফেলেছিলে। অভিমান অকারণে হইল তোমার - আদুরে নীল আঁধার, গ্রাস করেছিলে। প্রবেশাধিকার নেই,তোমার জীবনে সেখানে বেরঙ জল,পাঁকের পুকুরে অদ্ভুত চঞ্চলতা ঐ নীল রঙা মনে। নিষিদ্ধ পল্লীর মতো,একখানা ঘরে। এ কোন ভালোবাসায় ঘিরে ছিল মন কালিমায় ঘিরেছিল, অমূল্য জীবন।।

সনেট।। মায়ের স্নেহ।।

 ।।মায়ের স্নেহ।। দেবপ্রসাদ জানা তুমি চলে গেলে সেই অমৃত অঞ্চলে যেখানে চাঁদ তারারা বসবাস করে। যত শান্তি যত সুখ তোমার আঁচলে ভরে বেঁধে নিয়ে গেলে মুক্ত চরাচরে। তুমি বলতে মা,"তোকে ছাড়া থাকা যায়? ভালো লাগে না রে"। আমিতো আছি মা- সেই ঘরে,সেই আমি,সেই আঙিনায়- তোমার ঘরটি,ফাঁকা,তুমি রইলে না। তোমার আঁচল ধরে সেই চলাফেরা তোমার শাসনে সৃষ্টি,মোর শালীনতা তোমার চলার পথে মোর ঘোরাফেরা  তোমার আদরে গড়ে,দিয়েছে বিধাতা। বড় যত্নে সাজাইলে এ সোনার দেহ আজ নাই কাছে তুমি,মা,কে দেবে স্নেহ?

সনেট।। অভিমানী।।-২০০

 ।।অভিমানী।। দেবপ্রসাদ জানা ইচ্ছেরা নিয়েছে আজ স্বেচ্ছানির্বাসন, তুমি থেকে যাও শুধু শব্দ ছবি হয়ে। মোর পছন্দেরা নেয় অপছন্দ ক্ষন। যার অস্তিত্ব  বিলীন তোমারই ভয়ে। এ আমার প্রাপ্তি প্রিয়া, আমার স্বপ্নেরা নিজের সাথে একাই, কথা বলে গানে। আমি ভালো আছি,খুশী,জানে বসুন্ধরা। তুমি জানো,ভালো নেই,বলি অকারনে। আমার এই জীবন,তোমার আদরে খুশি ছিল একা একা, তোমার কারণে, ক্লান্ত পরিশ্রান্ত দুখী,হারাল আঁধারে  হারিয়ে যাচ্ছে গভীর অন্ধকার কোনে,  তুমি কি পারবে প্রিয়া,সেই আলো দিতে শব্দ আর ছবি হয়ে, অভিমানী হতে।।

।।এলো বসন্ত।। অমিত্রাক্ষর

 ।।এলো বসন্ত।। দেবপ্রসাদ জানা কোকিল ডাকছে ভোরে,বসন্ত আসছে। এলো ঐ ফাগুন বনে,পলাশ,শিমুল,  বকুল গাছে গাহিছে,ফিঙে শালিকেরা। বসন্ত জাগালো সুর,কোকিলের মনে। কার রঙে, লাল রঙে রাঙিল পলাশ- আবির ছড়িয়ে কারা,রাঙালো আকাশ। ভৈরবীর সুরে সুরে,ঐ বাজায় বাঁশি? গোধুলীর সোনা রোদে,নদী তীরে এসে, রাখাল বালক বাঁশি বাজাইল দেখো ঘুমন্ত কুঁড়িতে কে যে, করিল বাতাস  প্রাণে-প্রাণে জাগাইল আনন্দ উচ্ছাস  পাতা ঝরা শেষে করে,আইল বসন্ত গাছে গাছে ভরে গেছে,আবার সবুজ! সৃষ্টির উল্লাসে আজ বাজিছে মাদল, প্রেম প্রেম গন্ধ ঢালি, বইছে ফাগুন রঙে রঙে চারদিকে ভরে গেছে সব। কতগান কতকথা জমে ছিল মনে, গানে গানে সেই কথা কহিল কোকিল। পলাশ ফুলের গায় লাল রঙ ভরা। সোনারোদ সূর্য কহে,পলাশের কানে, বেশতো সেজেছ রঙে,কত লাল হবে? আদরে,প্রেমে,সোহাগে ভুলিলে কি মোরে? বসন্তের মায়া ডোরে বেঁধেছ বাঁধন। কতদিন রবে তার,এমন আদর? ডুবেছো ফাগুন ফাগে,ডুবে নাও আজ কদিন পরে আবার,আমিই তোমার।