Posts

Showing posts from June, 2023

কৃষ্ণ ভীষ্ম সংবাদ

কৃষ্ণ ভীষ্ম সংবাদ  পিতামহ ভীষ্ম-   এসো দেবকীনন্দন, স্বাগত জানাই  তোমাকে, অনেকক্ষণ ধরেই তোমার  কথা চিন্তা করিতেছি, দেব নারায়ণ।  হে অন্তরযামী, এই কৌমুদীরাশিতে কুসুম পল্লব লতা, নিশার তুষারে শীতল করিয়া প্রাণ, শরীর জুড়ায় এই শরসজ্জা পরে। উন্মুক্ত অম্বরে- জীবন পিঞ্জর কাঁদে, যমের তাড়নে। হেরি মরণের কালো অন্ধকার নিশি। তব ছলনার সুখে, শান্ত নিশানাথ- প্রশস্ত নদীর তট বেয়ে, অন্বেষণে আসে, এই ধর্ম স্থানে, যখন পাগল মন ত্যজে এ শ্মাশান, কহে বারবার  আমিই কলঙ্কময়, বিষতুল্য কায়া। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ হে শান্তনু পুত্র ভীষ্ম আমি আপনাকে - কি জিজ্ঞাসা করিব হেথা ? সেটাই বুঝতে  পারছি না, এখন তো, এটাও জিজ্ঞেস  করতে পারবোনা যে, কেমন আছেন। এহেন তীরশজ্জা পরে, বীরাত্মা বিরাজে স্বজাতির মুখ আজ, এত  মনোহর। ধরনীতে সদানন্দে আছে একজন না থাকে সন্তাপে, থাকে সদাহাস্য ভরে। রাখিল এ ধরাতল, সদা ধন্য করে তারে আমি কি কহিব? কিবা জিজ্ঞাসিব? দিবানিশি মানবের হিত, যিনি নিত্য  মনচিত্রে দেখে, করে সুখ অনুভব, অসার দেখি যে তারে কুরুক্ষেত্র পরে, তার সাথে কোন বাক্যে গাথিব কথন। পিতামহ ভীষ্ম ...

দাতাকর্ণ

দাতা কর্ণ  দেবপ্রসাদ  মহাবীর কর্ণ 'দাতা কর্ণ' রূপেও পরিচিত। বহুরূপী ইন্দ্রকে তিনি কবচ ও কুণ্ডল দান করেছিলেন তা সবাই জানেন। তবে এটা অনেকেই জানেন না যখন কুরুক্ষেত্রে শেষ নিঃশ্বাস পড়ছে কর্ণের তখন ভগবান কৃষ্ণও ব্রাহ্মণের বেশে হাজির হন কর্ণের সামনে। তাঁর কাছে সোনা চেয়ে বসেন। তখন কর্ণের কাছে তেমন কিছু ছিল না,   কর্ণ তাঁর সোনা বাঁধানো দাঁত দিতে চান। ব্রাহ্মণ হয়ে দাঁত ভেঙে তা নিতে অস্বীকার করেন শ্রীকৃষ্ণ। তখন কর্ণ নিজে  পাথর দিয়ে দাঁত ভেঙে দেন। তাতে রক্ত লেগে থাকায় তাও নিতে অস্বীকার করেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। তখন আকাশে তির মেরে বৃষ্টি নামিয়ে তাতে দাঁত ধুয়ে তা কৃষ্ণকে দান করেন কর্ণ। এরপর ভগবান নিজের বেশে হাজির হয়ে কর্ণকে বর চাইতে বলেন। জীবনের শেষ লগ্নে ভগবানের দেখা পাওয়াই সবচেয়ে বড় বর, এই জবাব দিয়েই কর্ণ মারা যান।

বিশ্বাস

বিশ্বাস   দেবপ্রসাদ দুর্যোধনের স্ত্রী ভানুমতী ও কর্ণ একদিন পাশা খেলছিলেন।  খেলায় হেরে যান ভানুমতী। সেইসময়ই দুর্যোধন দরজা দিয়ে প্রবেশ করতেই ভয় পেয়ে ভানুমতী পালিয়ে যেতে যান। কর্ণ তা না বুঝেই পালাতে যাওয়া ভানুমতীর হাত চেপে ধরেন। সে সময়ে পরপুরুষের সঙ্গে সময় কাটানো অলৌকিক ব্যপার ছিল। দুর্যোধন যে ঘরে এসে গিয়েছে,  তখন ভানুমতীর গলার মতির হার ছিঁড়ে ছত্রাকার হয়ে যায়। দুর্যোধন সব দেখেও না দেখার ভান করে, মতি কুড়োতে ব্যস্ত হয়ে যান। কারণ কর্ণকে তিনি অন্ধের মতো বিশ্বাস করতেন এবং জানতেন তিনি কোনও খারাপ কাজ করতে পারেন না।

স্বর্গপথে যুধিষ্ঠির

স্বর্গ পথে যুধিষ্ঠির  দেবপ্রসাদ [ হিমালয় অতিক্রম করে স্বর্গের সিংহদ্বারে এসে পৌঁছেছেন যুধিষ্ঠির। একজন দেবদুত তাঁকে সঙ্গে করে নিয়ে যাচ্ছেন।]    যুধিষ্ঠির - স্বর্গ! শশী তনুছটা, পড়িছে উথলি দেবক্রীড়া করে দেখি, কিন্নর কিন্নরী মন্দাকিনী দেবাপ্সরা গগন প্রাঙ্গণে কিরণের রজ্জু যেন মহাতেজস্কর। অসংখ্য গন্ধর্ব গলে সঙ্গীত ঝরিছে দেব অট্টালিকা পরে ফুল পারিজাত। মধুর নিনাদে ঘোরে জ্যোতিষ্কমণ্ডলী এই কি সেই স্বর্গ, হে দেবতার দূত অবাকে নিরখি আমি যে অমরালয় উচ্ছাসে বহিল মন, শ্রবণে ভরিছে কর্ণ কুহর, মধুর অমর সঙ্গীতে। বাজিছে দুন্দুভি বাদ্য ত্রিলোক ব্যাপিয়া অপুর্ব সৌরভ বহে, এই দেবালয় সুখ নিদ্রা যায় বুঝি দেবতা সকলে?   দেবদূত- নিদ্রা যায় দেবগণ সুধার সুগন্ধে ধর্মপুত্র, ঐ অদূরে তোমার ঈপ্সিত নগরীর অতুলিত , সুধার সুগন্ধে আনন্দে শশাঙ্ক শশী অপুর্ব আকারে অমল সুন্দর দৃশ্য, বিত্ত মনোলোভে ঐন্দ্রজালিক বিশ্রুতি, বিভূতি মহিমা বিচিত্র আশ্চর্য চারু ললিত সুন্দরে। ঐ যে শুভ্র মেঘছায়া তলে পারিজাত অসংখ্য গন্ধর্ব দেব খেলিছে কাননে ঐ যে সোহাগের গান বাজিছে গগনে গিরি উপবন রহে প্রণয়ে বিধুর অমর নীরব সেই কমল কানন তার পাশে ব...