Posts

Showing posts from August, 2021

অন্ধ অন্ধকারে

অন্ধ অন্ধকারে দেবপ্রসাদ জানা ২৫.৮.২০২১ না ওঠেনি দিবাকর,আমার আকাশে। যেখানে যখন থাকি,সেথা অন্ধকার। আঁধার জীবনে মোর, করে অত্যাচার। ছু-মন্তর খেলা করে,আনন্দ উচ্ছ্বাসে। কোন এক বর্ষাদিনে,জল থৈথৈ দেশে। শীতের চাদর ঢাকা,গভীর আঁধারে। বসন্তে,পলাশ বনে,ফুলের বাহারে। মোর চোখ দিশাহারা,মেঘ সম ভাসে। যেদিন সে এসেছিল,লুকিয়ে শলাকা। দুই চোখে দিয়ে গেছে,অন্ধকার ঢেলে। এই চোখ দেখেছিল,অন্তরঙ্গ থাকা। অন্য প্রেমিকের দেহে,তার দেহ ফেলে। অনুভূতি হয়নি যে,বহুকাল একা। পোড়া চামড়ার গন্ধ,কেন নাকে দিলে?

মনের বিকার

 মনের বিকার  দেবপ্রসাদ জানা যদি কোনদিন বন্ধু,"তুমি" বলো মোরে। আদর করে ডাকবে,শুনচ্ছো শেফালী। সময়ে মুহূর্ত গুলি,কেটে যেতো খালি। ক্ষণিকের মোলায়েমী,কথা বলা সুরে। ব্যথা যদি লেগে যায়,কিছুদিন পরে। বিষাদের ছায়া মনে,ছেয়ে যায় খালি। মিছে কথা শুনে শুনে,সে চোখেরবালি। শ্রাবণের ধারা যেন,চোখে থেকে ঝরে। সীমাহীন ভালোবাসা বন্ধু তব মনে। অবসাদে ভরে যাবে,জীবন আমার। বলবে ওরে রাক্ষসী,চলে যারে বনে। তোর ছোঁয়াতে জীবন,হলো ছারখার। ব্যাঙ্গমা ব্যাঙ্গমী ঘোরে,প্রেমের সন্ধানে। ঘর ছেড়ে পরকীয়া? এসব বেকার।

প্রমের ছড়া

 প্রেমের ছড়া স্বপ্নেরা জেগে থাকে সারারাত  স্বপ্ন দেখবে বলে। আলোআঁধারি জোছনা তারে দূরে দেয় ঠেলে। কবিতা আমার প্রেয়সী  কবিতা আমার মন। ভালোবেসে মরি যদি করো আলাপন। টুকরো টুকরো কিছু কথা থেকেই যায় মনে। কি জানি কি ভেবে বসে কিছু মন্দ জনে। ভাবতে ভারি ভালো লাগে আজো বেঁচে আছি। নইলে কবে, মরে গিয়ে হতাম নোংরা মাছি। কথা তো,হয় না বেশি একান্ত গোপনে। সব ভালো,রেখেছি বেছে রেখো মনের কোনে। প্রেম প্রেম কথা হলো ছড়ায় লিখে বলা। মর্ম কেউ বুঝবে নাগো এই দুপুরবেলা। তুই যা বলবি,সেটা তুই ছড়ায় উত্তর পাবি। হাতের কাছে নেই ছড়ি তবু ছড়াছড়ি কবি। ছড়া লেখা বড় কঠিন মিথ্যে বলতে হয়। টাপুর টুপুর বৃষ্টি আবার কবে কথা কয়। সন্ধ্যা প্রদীপ নয়তো এটা যেন কুমড়ো গাছে। শুভ সন্ধ্যা বলবো না আজ তিনি আছেন কাছে। আর নয়,অনেক হলো  প্রেম প্রেম কথা। সময় হলে তলব দিয়ো দেখাব বুকের ব্যথা। প্রেমে পড়ে লাভ নেই ছেঁড়া ছেঁড়া পাতা। প্রেমের চিঠি হলুদ মাখা তাতে ছড়ার ব্যথা। অলক্তক পায়ে এঁকে মাথা দিও সিঁদুর। লাগবে তুমি গ্রাম্যবধু প্রেমে ভরপুর। একটা কথাও বলব না রাস্তায় দেখলে চিনব না দাদাও বলতে দেবো না এখনো ছড়া লিখলে না? সুন্দর সুন্দর ছড়া দিয়ে হলো ...

সুখের বাতাস

 সুখের বাতাস এগিয়ে চলি,উজান বেয়ে,আশৈশবে। শৈশবের প্রান্তে ফিরে,পর্যাপ্ত আশায়। তাকিয়ে দেখি রয়েছি,অদ্ভুত নেশায়। হতদরিদ্র যে আমি, রয়েছি নীরবে। সব পেয়েছির মন্ত্র,লিখেছি গৌরবে। অবশেষে যাচ্ছে উবে,হারিয়েছি দিশা। উত্তাল সাগর জলে,কার নৌকা ভাসা। ঐশ্বর্য প্রাচুর্য তার, সব গেছে ডুবে। হাসি কান্নার দামামা,বাজে না অঙ্গনে। অলৌকিক স্বপ্ন যেন,গভীরে প্রোথিত। মৃত্যু ঘুমের সন্ধিতে,ছুঁয়েছে শরীর। ভিজতে থাকি রোদের তপ্ত আভরণে। তাকিয়ে দেখেছি আমি,সকলে বঞ্চিত  সুখের বাতাস হাসে,বিশ্বজয়ী বীর।                    

আদিম মানব

 আদিম মানব এমন কিছুই মিষ্টি, লাগছে না তোরে। তবু মন বলে,আয়, চেটে চেটে খাই। গৌরবর্ণ স্নিগ্ধতনু,রূপে - রোসনাই। মিষ্টি মিষ্টি গন্ধ পাই,রাতজাগা ভোরে। নিশিরাতে মনে হলো,পাশে চাই তোরে আলোছায়া শুধু মায়া,কেন ভয় পাই। আঁধার রাতের স্বপ্নে তোরে পেতে চাই। গন্ধমাখা দেহ তোর,দিবি বল কারে? আঁধার জঙ্গলে ঘোরে,আদিম মানব। জীবন্ত মানুষ সেথা,সেঁকে নিয়ে খায়। পাথরে পাথর ঘষে,জ্বালায় আগুন। নিত্যদিন মত্ত থাকে,বেখেয়ালি সব। প্রতিদিন নারীদেহ, পুরুষাঙ্গ চায়। নিশিরাতে লেনদেন,বাজারে আসুন।

ঝুলন যাত্রা

 ঝুলন যাত্রা পূর্ণিমার চাঁদ চলে প্রেমের দর্শনে। বৃন্দাবনে দোলে রাধা,ফুলের দোলায়। হাতে বাঁশি রাখালেরে,যদি পাশে পায়। শ্যামল শ্যামলী বাঁধা,অলীক  বন্ধনে।। বৃন্দাবনে সুধা ঝরে,কৃষ্ণ নাম গানে। নানারঙে সুর তুলে,যায় দোলনায়। দোলদোল সোরগোল,রাধাকৃষ্ণ যায়। প্রেমলীলায় ঈশ্বর,মাতে বৃন্দাবনে। শ্রাবণে ঝুলন যাত্রা, মিলনে আবৃত। রাধাকৃষ্ণ একসাথে,বিলি করে মধু। অহিংসার পথে ওঠে,ভক্তির অমৃত। প্রেমবন্ধনে কানাই,করেছিল যাদু। অহিংসার পথে নামে,কত অনুগত। বৃন্দাবন সেজেগুজে,লাগে নববধু।

অন্ধ অন্ধকারে

 অন্ধ অন্ধকারে দেবপ্রসাদ জানা ২৫.৮.২০২১ না ওঠেনি দিবাকর,আমার আকাশে। যেখানে যখন থাকি,সেথা অন্ধকার। আঁধার জীবনে মোর, করে অত্যাচার। ছু-মন্তর খেলা করে,আনন্দ উচ্ছ্বাসে। কোন এক বর্ষাদিনে,জল থৈথৈ দেশে। শীতের চাদর ঢাকা,গভীর আঁধারে। বসন্তে,পলাশ বনে,ফুলের বাহারে। মোর চোখ দিশাহারা,মেঘ সম ভাসে। যেদিন সে এসেছিল,লুকিয়ে শলাকা। দুই চোখে দিয়ে গেছে,অন্ধকার ঢেলে। এই চোখ দেখেছিল,অন্তরঙ্গ থাকা। অন্য প্রেমিকের দেহে,তার দেহ ফেলে। অনুভূতি হয়নি যে,বহুকাল একা। পোড়া চামড়ার গন্ধ,কেন নাকে দিলে?

মাতৃরূপে নারী

 মাতৃরূপে নারী দেবপ্রসাদ জানা ২৪.৮.২০২১ নারী তুমি কালো হও,কলঙ্ক নিও না। নারী কালী মহাকালী,প্রেমিকা ঘরনী। পবিত্র বিশুদ্ধ  নারী, মৃন্ময়ী জননী। তোমার অন্তরে মাতা,বিনম্র চেতনা। প্রজন্ম প্রজন্ম তুমি,মায়ার বীক্ষণে, প্রবাহিত শান্তনদী নির্বাক আকাশ। মায়ার বন্ধনে থাকে,গভীর প্রয়াস। শীতল বাতাস আনে,উত্তপ্ত অঙ্গনে। পবিত্র গঙ্গার জল,ভগবত গীতা। তার চেয়ে শুদ্ধনারী,তুমি মাতৃরূপে, কুৎসিত কালো রূপ,তবুও যে মাতা। দেবদেবী পুজা করে,ধুনো আর ধুপে। সৃষ্টির প্রলয় হোক,তবু রবে মাতা। প্রতিটি যুগের নারী,থাকে মাতৃরূপে। (কখখক,গঘঘগ,ঙচঙ,চঙচ)

মায়াবিনী

  মায়াবিনী দেবপ্রসাদ জানা ১৮.৮.২০২১ নিঝুম রাতের স্বপ্নে তুমি এসো স্বপ্ন লয়ে। হরিণ চোখে তাকিয়ে,থেকো মায়াবিনী তারা। ছলো ছলো চোখ করে,আর থেকো না চেয়ে। চোখের পরে রেখো না চোখ,হবে দিশাহারা। ধরতে চাইলে,দাও না ধরা,শুধু থাকো দূরে,  সূর্যাস্তের আগে পাখি,ঘরে আসলো ফিরে। ছল করে, দূর থেকে ,ডাকো ইশারায়- মনের কোনে মেঘলাকাশ,আবেগের দাম নেই। আসলে কাছে,পারাবতী,কোন ভরসায়? একটু হেসে কওনা কথা,নেই ভরসা নেই। বুকের মধ্যে তোমার ছবি এঁকেছি সারাদিন, কোন প্রদীপে ঘষলে পাবে,তোমায় আলাদিন।

অলৌকিক চমক

 অলৌকিক চমক  দেবপ্রসাদ জানা ১১.৮.২০২১ বন্যায় প্লাবিত পথঘাট - আর আকাশে ভেজা চাঁদ, মেঘের আড়ালে থাকা বিমুখ সূর্য। মারণ রোগে জড়ানো মাতাল পৃথিবী। পৃথিবীর কানে কানে বললাম - শান্তি হয়েছে তো? পূর্ণিমার অলৌকিক চাঁদ। জোয়ার ভাটায়, ভরা বন্যায় - জলের ওপরে খেলা করে,অলৌকিক চমক। ভেসে-যাওয়া পর্ণকুটিরের খড়কুটো  আগলে রেখে,অনাচ্ছাদিত জীবনযাপন। এই তো কবি,তোমার রসাল কবিতা? তোমার রসদে অভাব নেই। তোমার ও জবাব নেই।

মধুবাক্য বধুবাক্য

 মধুবাক্য বধুবাক্য দেবপ্রসাদ জানা ৯.৮.২০২১ শীতে রিক্ত-শূন্য তরু বসন্ত সোহাগে, নব পত্র শোভে তার শাখায় শাখায়, মৌমাছি আকৃষ্ট হয় ফুলের পরাগে। ভালোবেসে মধু,অলি ফুলে ফুলে খায়। প্রেমহীন জীবনের , মন মরুভূমি। ভালোবাসা নষ্টনীড়,শুধু পরিপাটি। মায়ের দুগ্ধ সুধায়, সিক্ত হয় ভূমি      সেই চারা বটবৃক্ষ,একেবারে খাঁটি। প্রেয়সীর স্রোতে ভাসা,সে বাধ্য প্রেমিক, মা'যে কত ব্যথা পায়,বোঝে না পাগল। খাঁটি ছেলে বাটি ছাড়ে,পরিল গৈরিক, গৃহছেড়ে বৃদ্ধাশ্রমে, থাকে দলবল। মাতৃবাক্য বেদবাক্য,গ্রন্থে লিখে দাও। বধুবাক্য সুধাবাক্য,হৃদে ভরে নাও।

প্রেমের চাতক

 প্রেমের চাতক দেবপ্রসাদ জানা  ৮.৮.২০২১ ভালোবাসা কারে বলে?বলব তোমায়। ছড়িয়েছে মায়াজাল, সারা বিশ্বজুড়ে। দুটি মন একসাথে , একত্রে ভাবায়, সুখে-দুখে কাটে কাল,একান্ত অসাড়ে। চোখ তুলে দেখো চেয়ে,গগনে তোমার। নীল আকাশে উড়তে,বিহঙ্গের দল। স্নিগ্ধ বাতাসের বুকে ভাসে গন্ধ তার। অজানা বাতাস লাগে,উড়িয়ে আঁচল। নক্ষত্রে চাতকপক্ষী,বারি পানে চায়। উড়ে আসে মেঘমালা,বৃষ্টি সাথে নিয়ে  তৃষ্ণার্ত চাতক যেন,সঙ্গী খুঁজে পায়। ফুটেছে প্রেমের ফুল,দেহের আলয়ে। সাগরে প্রেমের ঢেউ,দিগন্তে হারায়। ভরা প্রেমে ভরানদী সেলাম জানায়।

মনের আকাশে

 মনের আকাশে দেবপ্রসাদ জানা ৬.৮.২০২১ আদরের চোখে দেখা শরতের ভোর ঘাসের ওপর পড়া, শিশিরের মুক্তো। আনন্দের উৎসব,নিয়ে গেছে চোর। পাতে নেই টকঝাল,পাই শুধু শুক্তো। পরিপূর্ণ ভালোবাসা বাতাসে মিলায়, স্নেহময় আদরের হাত হারিয়েছে। আরো একটা শরৎ যে দোরগোড়ায়। কাশবনে সাদামেঘ, হাসি ভরিয়েছে। এইতো কদিন আগে ছিল মোর কাছে। মা বলে ডাক দিলেই,গুটি গুটি পায়- কাছে এসে হাসি মুখে,মিষ্টি চোখে চায়। শরীরী জ্যামিতি তার খুশিতে যে নাচে। আজ নাই মোর কাছে,মন কাঁদে হায়। মনের আকাশ যেন, বেহাগ বাজায়।

পুজো পুজো গন্ধ

 পুজো পুজো গন্ধ দেবপ্রসাদ জানা ৫.৮.২০২১ বাহিরে খেলিছে রোদ সবুজের বনে। গালিচা শিশির মাখা,শরৎ বাতাসে। বাইরে বিপদ তবু ,এসেছে স্মরণে, শারদীয়া হাঁক দেয়,মহালয়া আসে। টগবগে ঘোড়া ছোটে,তেপান্তর মাঠে, পুজো পুজো গন্ধে ভরা,হালকা বাতাসে। শারদ শিশির পায়ে,সেই মাঠে হাঁটে। ধুলোয় পড়া শিউলি,গন্ধ দিতে আসে। ঝিরঝিরে বাতাসের,সাথে মিশে গান। মাদকীয় নেশা লাগে কাশফুল বনে। নানা রঙে চারদিক  ঈশ্বরের দান। সাদামন সাদামেঘে,ওড়ে ক্ষনে ক্ষনে। চির নতুন সুন্দর, শরতের মাস। এত বাধা চারিদিকে,তবু মাকে চাস?

নশ্বর আনন্দ

 নশ্বর আনন্দ দেবপ্রসাদ জানা ৪.৮.২০২১ আতীব্র আকুতি মম হৃদয় অঙ্গনে  আটপৌরে ব্যকুলতা,রাখালিয়া সুরে,  উথাল পাথাল ঢেউ, মনের সাগরে। ভালোবাসা প্রেম মায়া মমতার সনে। প্রেমপ্রীতি পরকীয়া,দেখি দীর্ঘশ্বাসে, অসাড় হৃদয়ে জাগে,শিউলির গন্ধ। রূপটানের আড়ালে,নশ্বর আনন্দ। সুর তোলে মধুকর  মরমীয়া ত্রাসে। দহনের নগ্নস্পর্শে,প্রেম আছে লাগি। একাকীত্বে একবুক   হৃদয় বৈরাগী। বিনষ্ট সম্পর্কে লাগে হৈমন্তী জোছনা। আকুল শিউলিগন্ধে ছেঁড়া সহবাস, আলোহীন বন্ধগৃহে প্রেমের মূর্ছনা। গোপনতম প্রেমের, সুখের প্রশ্বাস।

কাব্যগাথা

    কাব্যগাথা দেবপ্রসাদ জানা   ০২.৮.২০২১ হয়তো বহু দূরের তারা গুলো,কোনদিন- অন্ধকার পৃথিবীকে আলোকিত করতে পারেনি।অন্ধকার আকাশে স্বপ্নময় দ্যুতি। একটা চাঁদ যখন অন্ধকার পৃথিবীর অর্ধদেহ - জোছনার আলোয় আলোকিত করে, আকাশ ভরা মিটিমিটি তারা ঝিলমিল করে, অপুর্ব তার মনোহরা রূপ। হয়তো কচিকাচা শিশু গাছ- পৃথিবীকে সবুজ চাদরে ঢেকে রাখা তৃণ- পর্যাপ্ত অক্সিজেন দিতে পারে নি, তবু জড়িয়ে থাকা সবুজ তৃণ, বিস্তৃত প্রান্তর,ধু ধু করা মাঠের ওপর, সুন্দর। নিস্তেজ,বিবর্ণ পাহাড় পর্বত, মরুভূমি- পৃথিবীর প্রাণী, কীট বা জীবাণু, পৃথিবীকে রূপসী করেছে। নির্জন জীবনের,সন্ধ্যা রাতের জোছনা মেঘের প্রাচীর ভেঙ্গে সহসা হাঁপাতে হাঁপাতে পৌঁছায় জনপদে- পর্বত শিখরে,অন্ধকারে দেখতে না পাওয়া - কালো সবুজ গাছের ওপর। বড়পথ, রাজপথ দুপাশে বাড়ির সারি- অভূতপূর্ব সৌন্দর্য্য। শহর আছে অথচ শব্দ নেই, গ্রাম আছে নির্জনতা নেই, বিস্তৃত ময়দানে নিঃসঙ্গতা নেই, দুপাশে তাকিয়ে দেখা শুনশান ছমছমে বাঁশবন। তার ভিতরে অলৌকিক ভুতের ভয়- জীবনে কোন সাড়া পড়েনি? কাক পক্ষী পিপীলিকা, পশুদের ডাক,মেঘের গর্জনে- কলম তখন সাদা খাতায় কবিতার ঝড় তোলে, কবির মনে ফুটে ওঠে, প্রেমে...