দণ্ডধর

দণ্ডধর
দেবপ্রসাদ

পূবদিকে আরক্তিম, অরুণ প্রকাশে৷ 
সারা নিশা গেল তাঁর, নক্ষত্র-সভায়। 
তাই বুঝি পাণ্ডুবর্ণে, সভাসদ হাসে।
লজ্জাভরে দণ্ডধর, পাংশুরাগে ধায়।

আজ কেন দণ্ডধর, প্রখর এমন । 
কেউ কহে বুঝিয়াছি, ওহে মান্যবর।
সব মুখে কালি মাখা, উদ্যত যবন।
সেই হেতু উষ্ণ-রাগে, আছে দণ্ডধর।

অলক্ত আরক্ত প্রভা, এই সভামাঝে।
আকাশে শোণিতছটা, শোণিত ভূতলে । 
শোণিত বাহিত নদী, রক্তিমের সাজে।
শয়তানি কালমন্ত্রে, দাবানল জ্বলে।

এইভাবে কত দিন, চলিবে সমর। 
ওহে পাপী দণ্ডধর, নাও অবসর।


তারপরেও যবন, করিল বিজয়। 
অভেদ্য দুর্গম দুর্গ, কে করিবে ভেদ।
তাহার করিলে নিন্দা, জেলে যেতে হয়।
দণ্ডধর নিন্দা শুনে, করে বক্ষোভেদ।

একা তারা শিবলিঙ্গ, করিল রে চূর্ণ।
গুড়া করি ছড়াইল, মসজিদ দ্বারে।
অগাধ বিস্ময়ে দেখি, কোতল সম্পূর্ণ।
রাক্ষসের বাচ্ছা, কিনা করিবার পারে।

এখনি দুষ্টেরে লয়ে করহ বন্ধন ৷ 

নিশ্চয় ইহার প্রাণ লইব সত্বরে ॥ 
সত্য সত্য কোরাণ পরশি দিব্য করি । 
ভূমিসাৎ ক'রে যাব চিতোর নগরী ॥ 
হিন্দু দেব দেবী আর হিন্দু নারীগণ । 
ভ্রষ্ট করিবেক মম ক্রোধ-হুতাশন ॥” 
আজ্ঞামাত্র প্রহরী পবনবেগে ধায় । 
লৌহ-নিগড়েতে বন্ধ করিল রাজায় 
বেঁধে লয়ে কারাগারে করিল আটক । 
শূকর-শালায় যথা পতিত হাটক ॥ 
দণ্ডে দণ্ডে দণ্ডধর, করে দণ্ডাঘাত । 
ৰহিয়া কোমল তনু, হয় রক্তপাত ৷৷

Comments

Popular posts from this blog

দুঃখটাকে এবার

মহাঋষি শুক্রাচার্য্য

গিরিশ চন্দ্র ঘোষ