Posts

সম্মাননা

অঙ্কুরীশা সাহিত্য পত্রিকা  তুলসী জানা স্মৃতি পুরষ্কার ২০২৫ প্রাপক: কবি   হে সাহিত্য সাধক "এ জীবন দান যাঁর  তাঁরে খুঁজি বারবার" ওই বুঝি তাঁর শান্ত পদ ধ্বনি বাজে। সাহিত্য যাঁর হৃদয়ে বসত করত দিবানিশি, বই যাঁর প্রাণ, জীবনের শেষ দিনটিতেও সঙ্গী ছিল মলাট বন্দী অমৃতের ভান্ডার, সেই সাহিত্য পিপাসু তুলসী জানা মহাশয়া, উত্তর ২৪ পরগনার নিমতা অঞ্চলের এক উজ্জ্বল নাম।  বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতির অঙ্গনে আপনার দৃপ্ত বিচরণ অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। আপনার কাব্যশৈলীর সৃজনশীলতার সেবাধর্ম  আমাদের ঋদ্ধ করে। 'অঙ্কুরীশা শারদ সংখ্যা২০২৫ প্রকাশ অনুষ্ঠানে এই পঞ্চম বর্ষে  আপনার অক্ষর সেবা সাধনাকে আমরা সম্মান জানাই। আপনার অসামান্য কলমদক্ষতার হাত ধরে বাংলা সাহিত্য এগিয়ে যাবে, এই  দৃঢ় প্রত্যয় রেখে আপনার এই সৃজনশীল হাতে তুলে দিলাম সেই সাহিত্য প্রেমীর নামাঙ্কিত এই পুরষ্কার।  সাহিত্য-সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসারে আপনার দায়বদ্ধতা এবং একাগ্রতার স্বীকৃতিকে সম্মান জানাতে পেরে  আমরা খুশি। আপনার সুস্থতা এবং দীর্ঘ কলমজীবন কামনা করি। অভিনন্দন সহ- বিদ্যুৎ দাস  দেবপ্রসাদ জানা  ...

হেম চন্দ্র কানুগো জাতীয় পতাকার জনক

তিনি বাংলার প্রথম বোমার কারিগর, ভারতের প্রথম পতাকা এঁকেছিলেন তিনিই, কিন্তু আজ সেই মানুষটাই ইতিহাসে উপেক্ষিত। বিস্মৃতি সরিয়ে ফিরে দেখা ❝অগ্নিযুগের অস্ত্রগুরু দ্রোণাচার্য❞ হেমচন্দ্র কানুনগো.. ত্রিবর্ন রঞ্জিত পতাকা, গেরুয়া, সাদা, সবুজ। ভারতের জাতীয় পতাকা। কিন্তু এই ত্রিবর্ণ পতাকার প্রথম রূপ দিয়েছিলেন এক বাঙালি। কে মনে রেখেছেন হেমচন্দ্র কানুনগো কে? কেউ না। কেউ জানলই না মানুষটাকে। আসল নাম হেমচন্দ্র দাস কানুনগো। বিপ্লবী ভারতবর্ষের প্রথম জাতীয় পতাকার স্কেচ তৈরি করেন বিদেশের মাটি থেকে। সালটা ১৯০৭।জার্মানির স্টুয়ার্টগার্টে সেই পতাকা তুলে ধরেছিলেন ভিকাজী রুস্তম মাদাম কামা,একজন ভারতপ্রেমী স্বাধীনতা সংগ্রামী পার্সি মহিলা। ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে জার্মানির স্টুটগার্ট শহরে বিশ্ব সোশালিস্ট কংগ্রেসের যে অধিবেশন হয় তাতে মাদাম ভিকাজি কামার সাথে তিনিও উপস্থিত ছিলেন। হেমচন্দ্র চিত্রশিল্পী ছিলেন বলে, কথিত আছে মাদাম কামার অনুরোধে লাল,গেরুয়া ও সবুজ রঙের তেরঙ্গা পতাকা তৈরি করেন এবং ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দের ২২ আগস্ট প্রবাসী ভারতীয়দের সম্মেলনে মাদাম কামা সেই পতাকা উত্তোলন করে সারা বিশ্বে নজর কাড়েন। পতাকার মধ্যেও ছিল বি...

রামকৃষ্ণ

দক্ষিণেশ্বর সভায় শ্রীরামকৃষ্ণদেব তাঁকে ‘হেডমাস্টার’, ‘ইংলিশম্যান’ ইত্যাদি নানা নামে পরিচয় করিয়ে দিতেন। কখনও তাঁকে বলতেন, ‘মাস্টার’। উপেক্ষিত ও বিলম্বিত হয়ে শেষ পর্যন্ত নিজের খরচেই ‘শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত’ ছেপেছিলেন মাস্টারমশাই                  ✍️শংকর জমিদার, আইসিএস জজ, বিসিএস মুনশেফ সায়েব, উকিল, ব্যারিস্টার, ডাক্তার— কারা ভারতীয় মধ্যবিত্তের মুখ রক্ষা করলেন মানবসেবায়, এর উত্তর দিতে গেলে মনে পড়ে যায় এই শ্রেষ্ঠ সম্মান যাঁরা পাওয়ার যোগ্য, তাঁদের নাম মাস্টারমশায়। এই শিক্ষকেরাই জাতীয় জীবনের নানা পর্যায়ে মধ্যবিত্ত ভারতীয়ের নিরন্তর সেবা করেছেন। এঁদের কেউ ‘মাস্টারদা’ নামে শাসকের অস্ত্রাগার লুণ্ঠন করে ফাঁসির মঞ্চে আরোহণ করেছেন, কেউ মন্দিরের অখ্যাত পুরোহিতের বাক্যসুধার দিনলিপি লিখে তাঁকে বিশ্ববন্দিত করেছেন, সেই সঙ্গে বিদেশিনি দিদি নিবেদিতা ও বিদেশিনি এন্টালির দিদিমণি মাদার টেরেজাকে যদি ধরেন, তা হলে মানতেই হবে, এঁরাই আমাদের মুকুটমণি। উৎসাহীরা এই তালিকায় যোগ করে দেন আর একজন মাস্টারকে, যাঁকে স্বয়ং বিদ্যাসাগর পদত্যাগপত্র পাঠাতে বাধ্য করেছিলেন। এই ...

7

অসলার সেই পরিস্থিতিটা বদলে দিলেন। তিনি ফুলের ব্যবস্থা করার থেকে শুরু করে হাসপাতালের দেওয়ালের রং হালকা আভাযুক্ত রঙে পরিবর্তিত করলেন। এবার তিনি রোগীদের দিকে ফিরলেন। তিনি তাদের খুব কম ওষুধ  দিতেন। কিন্তু প্রবল ভাবে আশাবাদী আশ্বাসের কথা বলতেন ।  যেটাতে মানসিক চাপ মুক্ত করত।এই সাইকোসোমাটিক চিকিৎসার ( এই সংজ্ঞা বর্তমানে বলা   হয়, সেসময়ে বই সংজ্ঞা কেউ কল্পনা করতে পারেনি।) ওষুধ দিতেন। তিনি একবার লিখেছিলেন লর্ডস বয়ং স্টে অ্যানে ডি বিউ প্রেতে, এই অলৌকিক পরিস্থিতি সত্যিই নির্ণায়ক ভাবে বাস্তবে পরিণত হয়। আমরা চিকিৎসকেরা একই ক্ষমতা বা শক্তি প্রতিদিন ব্যবহার করতাম। তা মৃতদের জাগিয়ে তুলতে পারত না, তা কোন নতুন চক্ষু বসিয়ে দিত না, বা একটা ভাঙ্গা হাড় কে জুড়ে দিত না। কিন্তু সুস্থ হয়ে ওঠার বিশ্বাস ও সঠিক ভাবে ব্যবহার করলে তা পরিস্থিতি বিশেষে গুরুত্ব পূর্ণ হয়ে উঠত। মোস্ট্রেলের এক ডাক্তার তাঁর স্মৃতির কারণে বলেছিলেন, ম্যাকগিল এর চিরস্থায়ী দুরারোগ্য রোগীদের শয্যা খালি হতে শুরু করে, দুর্ঘটনার পরিবর্তে সুস্থ হয়। নতুন রোগীরাও অল্প সময়ে সুস্থ হয়। এই ধরণের শক্তিশালী চিকিৎসার নিদর্শ...

রক্ত

রক্ত দেবপ্রসাদ জানা আমি যখন জন্মেছিলাম- আমার একটা যমজ ভাই  আমার সঙ্গেই জন্মেছিল, যদিও  তাকে আমি দেখিনি কোনোদিন আমার বাবা বা আমার মা তাকে কোনোদিন প্রতিপালন করেনি, তাই বরাবর সে আমার ওপর আক্রোশ দেখিয়েছে, আমি তাকে চিৎকার করতে দেখেছি, আমি আমার রক্ত কে তার সামনে দুর্বল হতে দেখেছি - কাঁদতে দেখেছি!  চিৎকার করতে দেখেছি!  সে মহাক্রোশে আমার ওপর ঝাঁপ দিয়ে পড়েছে  দেহের প্রতিটা পাঁজরের তার হাহাকার দেখেছি..... দিন রাত্রির নিদারুণ রসিকতা দেখেছি! হাসপাতালে, পথে, ছাদের কার্নিশে- তোমাদের মিথ্যা সহানুভূতিও দেখেছি!  কতবার পড়েছি, ভেঙেছি, টুকরো হয়েছি - তবুও নিজের জন্য হারিনি!  হারিনি, আমি দম বন্ধ হওয়া পৃথিবীতে। লড়াই করেছি তার সাথে,  তার ক্ষতি কোনোদিন করিনি, করতে পারিনি। আমি জানি সে একদিন আমাকে হারিয়ে  শ্রেষ্ঠ হবে, জিতে নেবে সব। আমি তোমাদের মিথ্যা  সহানুভূতির কাছে- মিথ্যা ফাঁদের জালে - আজো আমি ছুটছি, লড়ছি,  স্বপ্ন দেখছি......বাঁচার স্বপ্ন, বেঁচে জেতার স্বপ্ন, হাহাকারহীন এক মুক্ত পৃথিবীর স্বপ্ন....! সে স্বপ্ন দেখে না, ক্ষিদে তৃষ্ণা তার নেই,  স...

নারী ও শেক্স

মেয়েদের যোনি পথের ২ থেকে ৩ ইঞ্চি গভীরে নারীদের জি -স্পট এর অস্তিত্ব। লিঙ্গ ছোট ও বড় এখানে কোন সমস্যাই নয়।মুলত এই স্পট ঘিরেই নারীদের পূর্ণ উত্তেজনা। যৌনতা কোন পাপ নয় , এটা একটি শারীরিক উত্তেজনা মাত্র। মনের ক্ষুধা, পেটের ক্ষুধা ও শরীরের ক্ষুধা এক হয়ে মিলিত হয় যৌন ক্ষুধায়। নারীর শরীরের এই জি - স্পটের আবিষ্কারক হচ্ছেন নারী চিকিৎসক গ্রাফেনবার্গ। নারীর যোনির ভেতরে দুই থেকে তিন ইঞ্চি গভীরের এই অংশ থেকেই নারীর কামরস নির্গত হয়।গ্রাফেনবার্গ আরও বলেছেন, রাত ১১ টা থেকে রাত একটা পর্যন্ত নারীর এই জি - স্পট সবচেয়ে বেশি উত্তেজক অবস্থায় থাকে।ওই জায়গার স্পর্শ পায় একমাত্র হাতের আঙ্গুল। নারীর এই জি - স্পটকে নিউরোলোজিস্টরা নারীদের সুখানুভূতির অনন্য কারণ বলেছেন।এই জি স্পটের সন্ধান পেলে আপনিই হবেন সেই নারীর ক্যাসানোভা ও ডন জুয়ান। জি - স্পট এর অস্তিত্ব ও নারীর বীর্যপাতের প্রমাণ না মিললেও ১৯৪০ সাল থেকেই এই জি স্পট নিয়ে গবেষণা করছে যৌন বিজ্ঞানীরা। মহিলাদের উত্তেজনার জন্য সাধারণ ক্লিটোরাল উদ্দীপনার প্রয়োজন হয়।ক্লিটোরাল স্টিম্যুলেশন নারীদের ভগাঙ্কুরের মুখে ঘর্ষণ ও ভেতরের ঘর্ষণ থেকেও হতে পারে। নারী...

শর্মিষ্ঠা নাটক

শর্মিষ্ঠা নাটক প্রথমাঙ্ক প্রথম গর্ভাঙ্ক হিমালয় পর্বত- দূরে ইন্দ্রপুরী অমরাবতী (দুইজন দৈত্য  যুদ্ধবেশে।) দৈত্য-১।  বলশালী দৈত্যরাজ পর্ব্বতপ্রদেশে তাঁর আদেশানুসারে ইন্দ্রপুরী দ্বারে  বাস কচ্যি বহুদিন গুপ্তচর বেশে । দিবারাত্র চোখ রাখি দেবতা নগরে। দৈত্য -২। ক্ষণকাল স্বচ্ছন্দে না থাকি, ভয়ে ভয়ে। দেবতারা যে কখন, কি করে, হঠাৎ। সহসা যদি নির্গত হয়, সৈন্য লয়ে। সংবাদ তার দিতে হবে তৎক্ষণাৎ। দৈত্য -১।  দৈত্যভূমি যে নিতান্ত রম্য রমণীয়। স্থানে স্থানে তরুশাখা বিহঙ্গমগণ । মধু-স্বরে গান করে; হই পুলকীয়। বিবিধ বনকুসুম বিকশিত বন। দৈত্য -২। শুধুই কি এই? আছে পুষ্প পারিজাত। মৃদু মন্দ পুষ্প ঘ্রাণ, পবন সঞ্চার। মধুর মধুর সুরে, কেটে যায় রাত। সঙ্গীত কর্ণকুহরে, শীতল বিহার। দৈত্য -১। কোথাও ভীষণ হিম হিংস্র সিংহ-নাদ,  কোথা ব্যাঘ্র মহিষাদি, ভয়ঙ্কর শব্দ,  পর্বতনিঃসৃতা নদী, প্রস্তরে বিবাদ। উচ্ছ্বাস ধ্বনি বাতাস করিতেছে জব্দ। দৈত্য -২। কি আশ্চর্য্য! এ স্থানের গুণে অবনত। স্বর্গের সুখে স্বজন, মুক্ত পরিবেশে। তবু কেন পাহারায়, থাকি অবিরত। অহো! কার কার যেন পদশব্দ ভাসে। দৈত্য -১। হ্যাঁ তাই তো কার...