Posts

ফোন

ফোন নবেন্দুর নতুন কেনা ফোনটা বেজে উঠলো,  নবেন্দু - হ্যালো  ওপারে একটা মহিলার গলা  রিনা - হ্যালো আমি কি নবেন্দুর সঙ্গে কথা বলছি? নবেন্দু - হ্যাঁ বলছি। রিনা - আমি রিনা বলছি। নবেন্দু - কে রিনা ? 

রাধা

তুমি ভুলে গেছো? দেবপ্রসাদ রাজা বিশ্বভানু রানি কীর্তির কোনো সন্তান নাই। ভারি কষ্ট মনে, প্রতিদিন ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেন সন্তানের জন্য, কিন্তু ঈশ্বর তার কথা শোনেন না। একদিন রানি কীর্তি যমুনায় স্নান করতে যান, দেখেন একটি পদ্ম ফুল স্রোতের বিপরীতে আসছে তার ভেতর দিয়ে আলোর জ্যোতি বেরোচ্ছে, রানি ফুলের কাছে গেলেন, আলোয় আলোকিত হলো সেই ভোর সূর্যদেব নদীর বুক থেকে উঠে এলেন, ফুলের পাপড়ি খুলে গেলো, ভেতরে এক ছোট্ট কন্যা শিশু যেন সেই আলোর সাথে খেলা করছে, রানি দেখে প্রফুল্লিত হলেন, হাতে তুলে নিলেন সেই কন্যাকে, আনন্দে আত্মহারা হয়ে ছুটলেন রাজবাড়ীর দিকে, রাজা বিশ্বভানুকে সব বললেন, শুনে রাজা বললেন আমাদের প্রার্থনা ঈশ্বর শুনেছেন, আমাদের ঘরে লক্ষী এসেছে, সকলে আনন্দ করতে লাগলেন, রাজ পুরোহিত এলেন ভাগ্য গণনা হলো, কিন্তু একি হলো শিশু যে চোখ খুলছে না, রাজ বৈদ্য এলেন, অনেক চেষ্টা করেও কন্যার চোখ খুললো না, রাজা বললেন থাক এই শিশু আমার কন্যা তা যাই হোক, নাম রাখলেন রাধা, ধীরে ধীরে মাস গেলো, এক দুই করে এগারো মাস কেটে গেলো তবু কন্যা চোখ খুললো না। ওদিকে মথুরার কংশ, এক এক করে বোনের বাচ্চাদের মেরে ফেলতে লাগলো, কারণ...

সম্পাদকীয়

'হাতে পায়ে শৃঙ্খলিত বিষণ্ণ মানুষ হারিয়ে ফেলেছে সব। ভাত হীন ভাতের থালা হাতে অর্ধনগ্ন মেয়েটা কে দেখে চালের দোকানের পশুটার  লালসার জিব বেরিয়ে পড়েছে বারো হাত।  বঞ্চনার সাথে জড়িয়ে উদ্বাত্ম জীবনে একান্ত বেদনাবোধ মধ্যবিত্তের সংকট, খুব বাস্তব আত্মিক বিচ্ছিন্নতা, 'যে জীবন মানুষের সাথে সমস্যাদীর্ণ আর্থিক ছবি পরিস্ফুট। এই বিরূপ পরিস্থিতিতে সহায় সম্বলহীন মানুষের মর্মস্পর্শী বৃত্তান্ত সন্নিবিষ্ট হয়েছে ' অঙ্গীকার' এর নিজস্ব অনুভবে। বেঁচে থাকার চাবি হারানো মানুষের দুঃসহ জীবনযাপন, অস্বচ্ছলতার প্রশ্নও এসেছে অবধারিতভাবে আত্মসংলগ্ন ভূমির জন্য মানুষের অন্তর্গত মায়াটান অপ্রতিরোধ্য। এর বাইরে ডাল-ভাত রুটি-রুজির জীবনে যে প্রভাব যে সংকট ঘনীভূত হয়েছিল তাও প্রতীয়মান হয়েছে ছত্রে ছত্রে। দেশতো শুধুমাত্র সম্প্রদায়গত বিভাজন নয়, মানুষের স্বাধীনতা এবং মানবিক চেতনারও বিভাজন। আমরা সেই সময়ের ছবি ইতিহাসের পাতায় সেভাবে পাব না। যতখানি দেখতে পাব সাহিত্যের আলোয় আমাদের 'অঙ্গীকার' এ নিরাভরণ দীপ্তিতে। চলছে সত্যকে আড়াল করার নির্মম প্রয়াস। ফলে মানবিক বিষয়গুলি ধামাচাপা পড়ে যায়। কিন্তু মানুষের হৃদয় জানে আসল...

ফটো

১৮২৬ সালে নিজের ছাদ থেকে একটা ফোটো তুলতে নিপসের লেগেছিল প্রায় চার ঘণ্টা। ভাবা যায়!!  তার কিছুদিন পরে, ১৮৩৯ সাল। ফিলাডেলফিয়ার অ্যামেচার রসায়নবিদ তথা ফটোগ্রাফার রবার্ট কর্নেলিয়াস নিজের বাড়ির মুদি দোকানের পিছনে একটা ক্যামেরা বসিয়ে, তার ঢাকনা খুলে ছবি তোলার প্ল্যান করলেন। কিন্তু কি মুশকিল! সে সময় বাড়িতে কেউ নেই। অগত্যা ঢাকনা খুলেই ক্যামেরার সামনে ঠায় এক মিনিট পাথরের মতো বসে থাকলেন তিনি। তারপর লেন্স বন্ধ করে ছবি ডেভেলপ করে দেখলেন দিব্যি এসেছে তার ছবি। দাগেরোটাইপ সেই ছবির পিছনে তিনি লিখলেন “The first light Picture ever taken. 1839.” পৃথিবীর প্রথম সেলফি।  এই দাগেরোটাইপ ছবির আবিষ্কার করেন ফরাসি দেশের জে এম দেগারে। এই পদ্ধতিতে রুপোর প্রলেপ দেওয়া পাতের উপর ছবি তোলা হত। তাই রুপো খসে গেলে ছবিও নষ্ট হয়ে যেত। ক্যালোটাইপ পদ্ধতির আবিষ্কারক ট্যালবটের সে সমস্যা ছিল না। তাঁর নেগেটিভ থেকে ইচ্ছেমতো পজিটিভ বানানো যেত। তখন ছবি তোলা রীতিমতো এক ঘটনা ছিল। একটুও নড়লেই ছবি খারাপ হয়ে যাবে। তাই স্ট্যান্ড থাকত, যাতে গলা মাথা সব আটকে ছবি তোলা হত। এক একটা ছবি তুলতে আধ ঘণ্টা লাগত। বাংলায় ছবি তোলার প্রচলন মোটাম...

সম্মাননা

অঙ্কুরীশা সাহিত্য পত্রিকা  তুলসী জানা স্মৃতি পুরষ্কার ২০২৫ প্রাপক: কবি   হে সাহিত্য সাধক "এ জীবন দান যাঁর  তাঁরে খুঁজি বারবার" ওই বুঝি তাঁর শান্ত পদ ধ্বনি বাজে। সাহিত্য যাঁর হৃদয়ে বসত করত দিবানিশি, বই যাঁর প্রাণ, জীবনের শেষ দিনটিতেও সঙ্গী ছিল মলাট বন্দী অমৃতের ভান্ডার, সেই সাহিত্য পিপাসু তুলসী জানা মহাশয়া, উত্তর ২৪ পরগনার নিমতা অঞ্চলের এক উজ্জ্বল নাম।  বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতির অঙ্গনে আপনার দৃপ্ত বিচরণ অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। আপনার কাব্যশৈলীর সৃজনশীলতার সেবাধর্ম  আমাদের ঋদ্ধ করে। 'অঙ্কুরীশা শারদ সংখ্যা২০২৫ প্রকাশ অনুষ্ঠানে এই পঞ্চম বর্ষে  আপনার অক্ষর সেবা সাধনাকে আমরা সম্মান জানাই। আপনার অসামান্য কলমদক্ষতার হাত ধরে বাংলা সাহিত্য এগিয়ে যাবে, এই  দৃঢ় প্রত্যয় রেখে আপনার এই সৃজনশীল হাতে তুলে দিলাম সেই সাহিত্য প্রেমীর নামাঙ্কিত এই পুরষ্কার।  সাহিত্য-সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসারে আপনার দায়বদ্ধতা এবং একাগ্রতার স্বীকৃতিকে সম্মান জানাতে পেরে  আমরা খুশি। আপনার সুস্থতা এবং দীর্ঘ কলমজীবন কামনা করি। অভিনন্দন সহ- বিদ্যুৎ দাস  দেবপ্রসাদ জানা  ...

হেম চন্দ্র কানুগো জাতীয় পতাকার জনক

তিনি বাংলার প্রথম বোমার কারিগর, ভারতের প্রথম পতাকা এঁকেছিলেন তিনিই, কিন্তু আজ সেই মানুষটাই ইতিহাসে উপেক্ষিত। বিস্মৃতি সরিয়ে ফিরে দেখা ❝অগ্নিযুগের অস্ত্রগুরু দ্রোণাচার্য❞ হেমচন্দ্র কানুনগো.. ত্রিবর্ন রঞ্জিত পতাকা, গেরুয়া, সাদা, সবুজ। ভারতের জাতীয় পতাকা। কিন্তু এই ত্রিবর্ণ পতাকার প্রথম রূপ দিয়েছিলেন এক বাঙালি। কে মনে রেখেছেন হেমচন্দ্র কানুনগো কে? কেউ না। কেউ জানলই না মানুষটাকে। আসল নাম হেমচন্দ্র দাস কানুনগো। বিপ্লবী ভারতবর্ষের প্রথম জাতীয় পতাকার স্কেচ তৈরি করেন বিদেশের মাটি থেকে। সালটা ১৯০৭।জার্মানির স্টুয়ার্টগার্টে সেই পতাকা তুলে ধরেছিলেন ভিকাজী রুস্তম মাদাম কামা,একজন ভারতপ্রেমী স্বাধীনতা সংগ্রামী পার্সি মহিলা। ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে জার্মানির স্টুটগার্ট শহরে বিশ্ব সোশালিস্ট কংগ্রেসের যে অধিবেশন হয় তাতে মাদাম ভিকাজি কামার সাথে তিনিও উপস্থিত ছিলেন। হেমচন্দ্র চিত্রশিল্পী ছিলেন বলে, কথিত আছে মাদাম কামার অনুরোধে লাল,গেরুয়া ও সবুজ রঙের তেরঙ্গা পতাকা তৈরি করেন এবং ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দের ২২ আগস্ট প্রবাসী ভারতীয়দের সম্মেলনে মাদাম কামা সেই পতাকা উত্তোলন করে সারা বিশ্বে নজর কাড়েন। পতাকার মধ্যেও ছিল বি...

রামকৃষ্ণ

দক্ষিণেশ্বর সভায় শ্রীরামকৃষ্ণদেব তাঁকে ‘হেডমাস্টার’, ‘ইংলিশম্যান’ ইত্যাদি নানা নামে পরিচয় করিয়ে দিতেন। কখনও তাঁকে বলতেন, ‘মাস্টার’। উপেক্ষিত ও বিলম্বিত হয়ে শেষ পর্যন্ত নিজের খরচেই ‘শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত’ ছেপেছিলেন মাস্টারমশাই                  ✍️শংকর জমিদার, আইসিএস জজ, বিসিএস মুনশেফ সায়েব, উকিল, ব্যারিস্টার, ডাক্তার— কারা ভারতীয় মধ্যবিত্তের মুখ রক্ষা করলেন মানবসেবায়, এর উত্তর দিতে গেলে মনে পড়ে যায় এই শ্রেষ্ঠ সম্মান যাঁরা পাওয়ার যোগ্য, তাঁদের নাম মাস্টারমশায়। এই শিক্ষকেরাই জাতীয় জীবনের নানা পর্যায়ে মধ্যবিত্ত ভারতীয়ের নিরন্তর সেবা করেছেন। এঁদের কেউ ‘মাস্টারদা’ নামে শাসকের অস্ত্রাগার লুণ্ঠন করে ফাঁসির মঞ্চে আরোহণ করেছেন, কেউ মন্দিরের অখ্যাত পুরোহিতের বাক্যসুধার দিনলিপি লিখে তাঁকে বিশ্ববন্দিত করেছেন, সেই সঙ্গে বিদেশিনি দিদি নিবেদিতা ও বিদেশিনি এন্টালির দিদিমণি মাদার টেরেজাকে যদি ধরেন, তা হলে মানতেই হবে, এঁরাই আমাদের মুকুটমণি। উৎসাহীরা এই তালিকায় যোগ করে দেন আর একজন মাস্টারকে, যাঁকে স্বয়ং বিদ্যাসাগর পদত্যাগপত্র পাঠাতে বাধ্য করেছিলেন। এই ...