Posts

রক্ত

আমি রক্ত কে দুর্বল হতে দেখেছি - কাঁদতে দেখেছি!  চিৎকার করতে দেখেছি!  দেহের প্রতিটা পাঁজরের হাহাকার দেখেছি..... দিন রাত্রির নিদারুণ রসিকতা দেখেছি! তোমাদের মিথ্যা সহানুভূতি দেখেছি!  প্রতারকদের প্রতারণা দেখেছি!  কতবার পড়েছি, ভেঙেছি, টুকরো হয়েছি - তবুও হারিনি!  হারিনি, আজও আমি জীবনের এই দম বন্ধ হওয়া পৃথিবীতে।।  হারিনি আমি আজও আমি তোমাদের মিথ্যা  সহানুভূতির কাছে- হারিনি আজও  আমি প্রতারকদের ফাঁদের জালে - আজো আমি ছুটছি, লড়ছি,  স্বপ্ন দেখছি...... বাঁচার স্বপ্ন, বেঁচে জেতার স্বপ্ন,হাহাকারহীন এক মুক্ত পৃথিবীর স্বপ্ন....!      

নারী ও শেক্স

মেয়েদের যোনি পথের ২ থেকে ৩ ইঞ্চি গভীরে নারীদের জি -স্পট এর অস্তিত্ব। লিঙ্গ ছোট ও বড় এখানে কোন সমস্যাই নয়।মুলত এই স্পট ঘিরেই নারীদের পূর্ণ উত্তেজনা। যৌনতা কোন পাপ নয় , এটা একটি শারীরিক উত্তেজনা মাত্র। মনের ক্ষুধা, পেটের ক্ষুধা ও শরীরের ক্ষুধা এক হয়ে মিলিত হয় যৌন ক্ষুধায়। নারীর শরীরের এই জি - স্পটের আবিষ্কারক হচ্ছেন নারী চিকিৎসক গ্রাফেনবার্গ। নারীর যোনির ভেতরে দুই থেকে তিন ইঞ্চি গভীরের এই অংশ থেকেই নারীর কামরস নির্গত হয়।গ্রাফেনবার্গ আরও বলেছেন, রাত ১১ টা থেকে রাত একটা পর্যন্ত নারীর এই জি - স্পট সবচেয়ে বেশি উত্তেজক অবস্থায় থাকে।ওই জায়গার স্পর্শ পায় একমাত্র হাতের আঙ্গুল। নারীর এই জি - স্পটকে নিউরোলোজিস্টরা নারীদের সুখানুভূতির অনন্য কারণ বলেছেন।এই জি স্পটের সন্ধান পেলে আপনিই হবেন সেই নারীর ক্যাসানোভা ও ডন জুয়ান। জি - স্পট এর অস্তিত্ব ও নারীর বীর্যপাতের প্রমাণ না মিললেও ১৯৪০ সাল থেকেই এই জি স্পট নিয়ে গবেষণা করছে যৌন বিজ্ঞানীরা। মহিলাদের উত্তেজনার জন্য সাধারণ ক্লিটোরাল উদ্দীপনার প্রয়োজন হয়।ক্লিটোরাল স্টিম্যুলেশন নারীদের ভগাঙ্কুরের মুখে ঘর্ষণ ও ভেতরের ঘর্ষণ থেকেও হতে পারে। নারী...

শর্মিষ্ঠা নাটক

শর্মিষ্ঠা নাটক প্রথমাঙ্ক প্রথম গর্ভাঙ্ক হিমালয় পর্বত- দূরে ইন্দ্রপুরী অমরাবতী (দুইজন দৈত্য  যুদ্ধবেশে।) দৈত্য-১।  বলশালী দৈত্যরাজ পর্ব্বতপ্রদেশে তাঁর আদেশানুসারে ইন্দ্রপুরী দ্বারে  বাস কচ্যি বহুদিন গুপ্তচর বেশে । দিবারাত্র চোখ রাখি দেবতা নগরে। দৈত্য -২। ক্ষণকাল স্বচ্ছন্দে না থাকি, ভয়ে ভয়ে। দেবতারা যে কখন, কি করে, হঠাৎ। সহসা যদি নির্গত হয়, সৈন্য লয়ে। সংবাদ তার দিতে হবে তৎক্ষণাৎ। দৈত্য -১।  দৈত্যভূমি যে নিতান্ত রম্য রমণীয়। স্থানে স্থানে তরুশাখা বিহঙ্গমগণ । মধু-স্বরে গান করে; হই পুলকীয়। বিবিধ বনকুসুম বিকশিত বন। দৈত্য -২। শুধুই কি এই? আছে পুষ্প পারিজাত। মৃদু মন্দ পুষ্প ঘ্রাণ, পবন সঞ্চার। মধুর মধুর সুরে, কেটে যায় রাত। সঙ্গীত কর্ণকুহরে, শীতল বিহার। দৈত্য -১। কোথাও ভীষণ হিম হিংস্র সিংহ-নাদ,  কোথা ব্যাঘ্র মহিষাদি, ভয়ঙ্কর শব্দ,  পর্বতনিঃসৃতা নদী, প্রস্তরে বিবাদ। উচ্ছ্বাস ধ্বনি বাতাস করিতেছে জব্দ। দৈত্য -২। কি আশ্চর্য্য! এ স্থানের গুণে অবনত। স্বর্গের সুখে স্বজন, মুক্ত পরিবেশে। তবু কেন পাহারায়, থাকি অবিরত। অহো! কার কার যেন পদশব্দ ভাসে। দৈত্য -১। হ্যাঁ তাই তো কার...

মেরুদণ্ড

মেরুদণ্ডটা যদি তোমার স্পর্শে- খাড়া হয়ে ঝলসে ওঠে, শিল্প যাক, শিক্ষা যাক, চাকরি যদি যায় যাক। তৃণের মূল এখন বহু গভীরে  আমি মৃত্যুবরণের অঙ্গীকারে বদ্ধ হলাম,  এখন আমি দেখতে পাচ্ছি। বধ্য সবার এখন আমি মরণজয়ী তাইতো স্বাধীন ইচ্ছে দিয়ে আকাশটাকে সাজিয়ে নিলাম নষ্ট তারা ঝেড়ে ঝুড়ে নতুন তারার দীপান্বিতায় ঘুম্স্তা ঘুমায় নিশুতরাতের দরজা ভেঙে বাইরে এলাম এখন আমার সকাল হলো। পাথর চাপা আত্মাগুলো স্মৃতিস্তম্ভ শহীদ বেদীর বারণ ভেঙে স্বতঃস্ফূর্ত বিস্ফোরণে আগুন ছড়ায় বলিভিয়ায় ভারতবর্ষে পাকিস্থানে গুয়েতেমালায় আফ্রিকাতে তোমার আগুন ছড়িয়ে দিয়ে ব্রিজ বেঁধে যাই ভাইয়ের চোখে বোনের চোখে আলোকিত চোখ রেখেছি ভালোবাসার মন্ত্র কাঁপে চোখের তারায় আধার মাণিক! ঘৃণায় পাষাণ স্মৃতির দিঘি-ঘটছে দ্রুত হাওয়ার বদল শব্দে ফোটে রক্ত কমল: ভালোবাসাই তোমার ভাষা! তোমার ভাষা কণ্ঠ জুড়ে গানের মতন শক্তিশালী এখন আমি মাইকোভস্কি এখন আমি পল রোবসন এখন আমার অনন্তকাল আকাশ জুড়ে উদ্ভাসিত। লেনিন সামনে দাড়িত পেছ তাড় বুঝে হী মল

রবীন্দ্র নজরুল

:- কে, নজরুল? বোসো। কখন এলে? - এই তো। স্তিমিত কন্ঠে বললেন নজরুল। :- তা গলাটা এরকম শোনাচ্ছে কেন? (রবীন্দ্রনাথ ঈষৎ বিস্মিত। নজরুল খুবই হুল্লোড়বাজ রগুড়ে মানুষ। আজ তো গলা শোনাই যাচ্ছে না!) কী ব্যাপার, কারোর শরীর-টরীর খারাপ নাকি! - আমার ছেলেটা কাল চলে গেল, গুরুদেব। ফুঁপিয়ে উঠলেন কাজী নজরুল। :- সে কী! চমকে উঠলেন রবীন্দ্রনাথ। ঊনসত্তর বছর বয়স তাঁর। এখন কি শুধু খারাপ খবর পাওয়ার জন্যেই বেঁচে থাকা? রবীন্দ্রনাথ মাঝে-মাঝেই একথা ভাবেন। চিকিৎসাশাস্ত্র একেবারেই অনুন্নত। বাঙালী পুরুষের গড় আয়ু মেরেকেটে চল্লিশ। নিজের অদ্ভুত ভালো স্বাস্থ্যের জন্য নিজেরই বিড়ম্বনা লাগে। খানিকক্ষণ চুপ করে থেকে জিজ্ঞাসা করলেন, কী হয়েছিল? - বসন্ত। স্মল পক্স। :- কত বয়স হয়েছিল। তিন, না? - চার। আবার দীর্ঘক্ষণের নীরবতা। বাঙালীর দুই প্রাণের কবি। শব্দের দুই জাদুকর। আজ দুজনেই নীরব। একটু পরে রবীন্দ্রনাথই আবার নীরবতা ভাঙলেন, তোমার ছেলেটি বড় গুণের ছিল শুনেছিলাম। কী যেন নাম রেখেছিলে? - ভালো নাম অরিন্দম খালিদ। সবাই ডাকতাম বুলবুল বলে। :- হ্যাঁ, বুলবুল, বুলবুল। নিজের মনেই দুবার নামটা আওড়ালেন রবীন্দ্রনাথ। শুনেছিলাম তার নাকি অদ্ভুত স্মৃতিশ...

পুরুষ

পুরুষ হতে গেলে আকাশের মতো অসীম হতে হয়, বটবৃক্ষের মতো ছায়াময় হতে হয়, মনের মধ্যে সমুদ্রের গভীরতা রাখতে হয়, পাহাড়ের উচ্চতার মতো ধৈ'র্য ধরতে হয়; নীলকন্ঠের মতো সব বি'ষ নিজের ভেতর ধারণ করতে হয়, চোখের জল বুকের ভেতর লুকিয়ে রাখতে হয়; সখ - আহ্লাদ গুলোকে বাক্সবন্দী করে পরিবারের দ্বায়িত্ব পালন করতে হয়; নিজের হাজার স্বপ্ন বি'স'র্জ'ন দিয়ে ছোট ভাই-বোন কিংবা ছেলে-মেয়ের স্বপ্নদ্রষ্টা হতে হয়; পুরুষ হতে গেলে কা'ন্না মিশিয়ে দিতে হয় বৃষ্টির জলে, পুরুষ হতে গেলে সুখ বি'স'র্জ'ন দিতে হয় হাসি মুখে, পুরুষ হতে গেলে নিজেকে পরিনত করতে হয় নারিকেলে। পুরুষ হচ্ছে গ্রীষ্মের কাঠ-ফাটা রোদ্দুরে নারীর বটবৃক্ষের ছায়া আর হাত পাখার শীতল হাওয়া, বর্ষায় মাথার উপর ছাতা, শরতে সাদা নীল রঙের মেলায় প্রকৃতি উপভো'গের অপার আনন্দ, হেমন্তের সকালে শিশির ভেজা ঘাস আর হালকা কুয়াশা প্রকৃতিতে মেলায় ঘোরার সঙ্গী, শীতে গায়ের কাঁথা আর বসন্তে প্রেমের জোয়ারে ভাসানো ঢেউ; পুরুষ তো সে, যে অন্ধকার রাস্তায় নারীর দিকে লা'ল'সা'র হাত না বাড়িয়ে, দ্বায়িত্বের হাত বাড়ায়, পুরুষ তো সে, যে ভীর বাসে অচেনা নারীকে সিট...

রবীন্দ্র নাথ

🙏 বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আদরের মাধুরীলতা দেবীর প্রয়াণ দিবসে বিনম্র শ্রদ্ধার্ঘ্য 🙏 মাধুরীলতা দেবী (বেলা) ঠাকুর চক্রবর্তী (জন্ম: ২৫ অক্টোবর ১৮৮৬—মৃত্যু: ১৬ মে ১৯১৮ সাল)। বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে প্রথম বাবা হওয়ার আনন্দে ভাসিয়েছিল যে শিশু মেয়েটি, তার নাম কবি রেখেছিলেন ‘মাধুরীলতা’, তার ডাক নাম ছিল ‘বেলা’। মাধুরীলতা বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও মৃণালিনী দেবীর জ্যেষ্ঠ সন্তান। তাঁর জন্মের সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ২৫ বছর। মৃণালিনীর তখনো ১৩ পূর্ণ হয়নি। কবির একান্ত স্নেহের দুলালী মাধুরীলতা বা বেলা ছিলেন অপরূপ সুন্দরী ও বুদ্ধিমান। ছোটবেলা থেকেই বাবা-মাসহ বাড়ির আর সবারই প্রিয় ছিলেন, সবার কাছ থেকেই প্রচুর আদর পেতেন বেলা। বাবা রবীন্দ্রনাথ যখন জমিদারি পরিদর্শনের জন্য মহালে যেতে আরম্ভ করেন, মাধুরীলতার বয়স তখন বছর চারেক। তখন থেকেই তিনি বাবাকে চিঠি লিখতে শুরু করেন। জোড়াসাঁকোয় রচিত, কবির বিখ্যাত কবিতা, ‘যেতে নাহি দিব,–তে ‘কন্যা মোর চারি বছরের’ উল্লেখে স্পষ্টই, কবিতাটি মাধুরীলতার কথা মনে করেই লেখা। তাঁর কাবুলিওয়ালা গল্পের ‘মিনি’ চরিত্রটি সম্পর্কে তিনি নিজেই হেমন্ত বালা দেবীকে চিঠিতে লিখে জা...