Posts

Showing posts from July, 2025

হেম চন্দ্র কানুগো জাতীয় পতাকার জনক

তিনি বাংলার প্রথম বোমার কারিগর, ভারতের প্রথম পতাকা এঁকেছিলেন তিনিই, কিন্তু আজ সেই মানুষটাই ইতিহাসে উপেক্ষিত। বিস্মৃতি সরিয়ে ফিরে দেখা ❝অগ্নিযুগের অস্ত্রগুরু দ্রোণাচার্য❞ হেমচন্দ্র কানুনগো.. ত্রিবর্ন রঞ্জিত পতাকা, গেরুয়া, সাদা, সবুজ। ভারতের জাতীয় পতাকা। কিন্তু এই ত্রিবর্ণ পতাকার প্রথম রূপ দিয়েছিলেন এক বাঙালি। কে মনে রেখেছেন হেমচন্দ্র কানুনগো কে? কেউ না। কেউ জানলই না মানুষটাকে। আসল নাম হেমচন্দ্র দাস কানুনগো। বিপ্লবী ভারতবর্ষের প্রথম জাতীয় পতাকার স্কেচ তৈরি করেন বিদেশের মাটি থেকে। সালটা ১৯০৭।জার্মানির স্টুয়ার্টগার্টে সেই পতাকা তুলে ধরেছিলেন ভিকাজী রুস্তম মাদাম কামা,একজন ভারতপ্রেমী স্বাধীনতা সংগ্রামী পার্সি মহিলা। ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে জার্মানির স্টুটগার্ট শহরে বিশ্ব সোশালিস্ট কংগ্রেসের যে অধিবেশন হয় তাতে মাদাম ভিকাজি কামার সাথে তিনিও উপস্থিত ছিলেন। হেমচন্দ্র চিত্রশিল্পী ছিলেন বলে, কথিত আছে মাদাম কামার অনুরোধে লাল,গেরুয়া ও সবুজ রঙের তেরঙ্গা পতাকা তৈরি করেন এবং ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দের ২২ আগস্ট প্রবাসী ভারতীয়দের সম্মেলনে মাদাম কামা সেই পতাকা উত্তোলন করে সারা বিশ্বে নজর কাড়েন। পতাকার মধ্যেও ছিল বি...

রামকৃষ্ণ

দক্ষিণেশ্বর সভায় শ্রীরামকৃষ্ণদেব তাঁকে ‘হেডমাস্টার’, ‘ইংলিশম্যান’ ইত্যাদি নানা নামে পরিচয় করিয়ে দিতেন। কখনও তাঁকে বলতেন, ‘মাস্টার’। উপেক্ষিত ও বিলম্বিত হয়ে শেষ পর্যন্ত নিজের খরচেই ‘শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত’ ছেপেছিলেন মাস্টারমশাই                  ✍️শংকর জমিদার, আইসিএস জজ, বিসিএস মুনশেফ সায়েব, উকিল, ব্যারিস্টার, ডাক্তার— কারা ভারতীয় মধ্যবিত্তের মুখ রক্ষা করলেন মানবসেবায়, এর উত্তর দিতে গেলে মনে পড়ে যায় এই শ্রেষ্ঠ সম্মান যাঁরা পাওয়ার যোগ্য, তাঁদের নাম মাস্টারমশায়। এই শিক্ষকেরাই জাতীয় জীবনের নানা পর্যায়ে মধ্যবিত্ত ভারতীয়ের নিরন্তর সেবা করেছেন। এঁদের কেউ ‘মাস্টারদা’ নামে শাসকের অস্ত্রাগার লুণ্ঠন করে ফাঁসির মঞ্চে আরোহণ করেছেন, কেউ মন্দিরের অখ্যাত পুরোহিতের বাক্যসুধার দিনলিপি লিখে তাঁকে বিশ্ববন্দিত করেছেন, সেই সঙ্গে বিদেশিনি দিদি নিবেদিতা ও বিদেশিনি এন্টালির দিদিমণি মাদার টেরেজাকে যদি ধরেন, তা হলে মানতেই হবে, এঁরাই আমাদের মুকুটমণি। উৎসাহীরা এই তালিকায় যোগ করে দেন আর একজন মাস্টারকে, যাঁকে স্বয়ং বিদ্যাসাগর পদত্যাগপত্র পাঠাতে বাধ্য করেছিলেন। এই ...

7

অসলার সেই পরিস্থিতিটা বদলে দিলেন। তিনি ফুলের ব্যবস্থা করার থেকে শুরু করে হাসপাতালের দেওয়ালের রং হালকা আভাযুক্ত রঙে পরিবর্তিত করলেন। এবার তিনি রোগীদের দিকে ফিরলেন। তিনি তাদের খুব কম ওষুধ  দিতেন। কিন্তু প্রবল ভাবে আশাবাদী আশ্বাসের কথা বলতেন ।  যেটাতে মানসিক চাপ মুক্ত করত।এই সাইকোসোমাটিক চিকিৎসার ( এই সংজ্ঞা বর্তমানে বলা   হয়, সেসময়ে বই সংজ্ঞা কেউ কল্পনা করতে পারেনি।) ওষুধ দিতেন। তিনি একবার লিখেছিলেন লর্ডস বয়ং স্টে অ্যানে ডি বিউ প্রেতে, এই অলৌকিক পরিস্থিতি সত্যিই নির্ণায়ক ভাবে বাস্তবে পরিণত হয়। আমরা চিকিৎসকেরা একই ক্ষমতা বা শক্তি প্রতিদিন ব্যবহার করতাম। তা মৃতদের জাগিয়ে তুলতে পারত না, তা কোন নতুন চক্ষু বসিয়ে দিত না, বা একটা ভাঙ্গা হাড় কে জুড়ে দিত না। কিন্তু সুস্থ হয়ে ওঠার বিশ্বাস ও সঠিক ভাবে ব্যবহার করলে তা পরিস্থিতি বিশেষে গুরুত্ব পূর্ণ হয়ে উঠত। মোস্ট্রেলের এক ডাক্তার তাঁর স্মৃতির কারণে বলেছিলেন, ম্যাকগিল এর চিরস্থায়ী দুরারোগ্য রোগীদের শয্যা খালি হতে শুরু করে, দুর্ঘটনার পরিবর্তে সুস্থ হয়। নতুন রোগীরাও অল্প সময়ে সুস্থ হয়। এই ধরণের শক্তিশালী চিকিৎসার নিদর্শ...