Posts

Showing posts from May, 2020

।।ধরিত্রী আবার মুক্ত হবে।।

।।ধরিত্রী আবার মুক্ত হবে।। দেবপ্রসাদ জানা তুমি নাকি বিশ্ব নিয়ে খেলা করো তোমার হাতের মুঠোয় পৃথিবী ধরো। আমি বলি নি, বিদ্রোহী কবি নজরুল বলেন। আপনি নাকি আগুনের গোলা হাতে চলেন। আপনার হাতে নাকি মহাজাগতিক শক্তি। হাজার খানিক বল নিয়ে লোফালুফি খেলেন। আপনার হাতেই দিন রাত্রির যাওয়া আসা। করতলে চাঁদ রেখে নিবিড়ে ঘুম দিতে গেলেন? পৃথিবীর আলো বাতাস অন্ধকার সব তোমার! হে পিতা ছদ্মবেশে স্নেহময় আঙুল গুলো ছুঁয়ে দাও একশ হাতি শক্তি দাও শরীরে, মনেও। আবার আমি যুদ্ধে নামি কলম হাতে। পুড়িয়ে দাও পৃথিবীটাকে নিজের হাতে জ্বালিয়ে। সূর্যের সঙ্গে একবার ঠোকাঠুকি দাও লাগিয়ে। চাঁদ যখন নেশা করে অল্প সময়ে যাবে হারিয়ে। জন্ম মৃত্যু তো আপনার হাতের খেলা দাও জানিয়ে। নতুবা এমন জোরে ছুঁড়ুন যেন পৃথিবীটা সূর্যের ভেতরে চলে যায়। পুড়ে ছাই হয়ে যায় যত পাপ অভিশাপ ভাইরাস জীবনের সব দায়। কেন? বারে দেখতে পাচ্ছেন না? গোটা পৃথিবীটায় মৃত্যু উৎসব চলছে। পোকা লেগে গেছে সব, বেগুনের মতো। কুরে কুরে খাচ্ছে, ভাইরাস তো আছেই। আরো আছে হারামজাদা যতো। যত না মরছে ভাইরাসে। তার থেকে মরছে সন্ত্রাসে। আকাল লাগবে এবার খাদ্যাভাব আসছে আবার। চাষী চাষ করে না ভয়...

।। কলঙ্ক।।

।। কলঙ্ক।। দেবপ্রসাদ জানা ১৪,৫,২০২০ তুমি তো চাঁদ কলঙ্কতো একটু থাকবেই। জীবনের এক আশ্চর্য আভা তোমার মধ্যে। তোমার জোছনায় আমার সংসার আলোকিত করো তুমি। এই আলোর পেছনেই দুষ্টু আঁধার। জীবনের দীর্ঘতম পথে যতটুকু পাবার। স্বপ্নময় সোনালী প্রেমের ডানায় একটু কালির দাগ। তাই তো? থাকুক না ধুলো মাখা পাখনা গুলো। আকাঙ্ক্ষার লাল পলাশ ফুলে ঝরুক প্রতিদিন। তোমার উষ্ণতায় যতবার ডুবদি, কলঙ্কিত করি তোমার শরীর নদীর আঁকাবাঁকা পথ। নৈঃশব্দ্যে ঢেলেদি আমার ঝর্না কলমে কালি। ওই শরীরেই একদিন অঙ্কুরিত হবে জীবন। চাঁদের মতো অযুত নক্ষত্রের উজ্জ্বল আলোক রশ্মি। সেতো তোমার হৃদয়ে বন্দী। থাক না একটু কলঙ্ক, তুমি তো চাঁদ, একটু কলঙ্কতো থাকবেই। রাতের আঁচলে মোড়া আমার জীবনের জোছনা তুমি। তুমি যে আমার চাঁদ। না হয় তোমার জোছনার জোয়ারে কেউ একটিবার সাঁতার কেটে গেছে। পাপ ওষ্ঠ ছুঁয়ে গেছে ও ফুলের পাপড়ি। গভীর প্রেমের নদীতে কেউ হয়তো ঝাঁপ দিয়েছিল একদিন। তাতে কি? এ ফুলের ওষ্ঠে লেগে আছে ক্ষমার পরাগ। এতেই তো জন্ম নেবে, তোমার আমার ভালোবাসার লাল পলাশ ফুল। বসন্ত এলেই। দুঃখ কেন চাঁদ? ও কলঙ্ক, একটু তো থাকবেই।

।।শরীরের পরে প্রেম।।

।।শরীরের পরে প্রেম।। দেবপ্রসাদ জানা ১৫,৫,২০২০ কে বলে মনে প্রেম আসে? যে বলে ভুল বলে। তাই মনে হয় তোমার শরীরটাই প্রেম। তোমার বুকের মাঝখানটায় ভালোবাসার খনি। পাহাড়ি উপত্যকার মাঝে একটা সরু নদী। বুকের আবরণটা সরিয়ে দিলে বুকের হাড় গুলোর ওপর ভালোবাসার যুগলবন্দী। যেন উন্মুক্ত পর্বতে উষ্ণ শীতল জোছনা। ভালোবাসার স্ফুলিঙ্গ। তার নিচে হৃদয়। তাহলে দাঁড়াল কি? আগে শরীর, তারপরে আসে হৃদয়। ভালোবাসার গোপন কক্ষ। আসলে কি জানো? তোমার শরীরটা যদি বাঁকা সাপের মতো না হতো তাহলে প্রেম হতো কি? রাধা যদি কুমড়োর মতো? কৃষ্ণ কি প্রেমে পড়তো? হীর যদি কালো কুৎসিত হতো? রাঞ্ঝা প্রেমে পড়ত? পৃথিবীর আদিম যুগ থেকে শুধু সুন্দরের খেলা। প্রথমে শরীর পরে প্রেম। ভালোবাসা ভালো লাগার প্রধান ও প্রথম শর্ত শরীর। বসন্তের রূপ সুন্দর প্রেম। কোকিলের গলা সুন্দর প্রেম। শরতের মেঘ সুন্দর প্রেম। শীতের বরফ সুন্দর প্রেম। আর গ্রীষ্ম? রুক্ষ রুদ্র ভয়ঙ্কর। প্রেম আসে? তখন তো তোমাকে জড়িয়ে ধরতেও ইচ্ছে হয় না। আর তুমি বলো তোমার শুধু শরীর প্রেম নেই। সাদা বিছানায় তোমার উন্মুক্ত শরীর সুন্দর প্রেম। আকাশে চাঁদ সুন্দর প্রেম। নীল আকাশে তারারা সুন্দর প্রেম। ...

।। আসছে আকাল।।

।। আসছে আকাল।। দেবপ্রসাদ জানা ১৬,৫,২০২০ আর কত রাত কত দিন অপেক্ষায় থাকতে হবে? এখনো আকাশের রঙ ধুসর। ভরা মেঘ। এখনো হাতে হাতে অদৃশ্য জীবাণুর আনাগোনা। যেন বাড়ির প্যারাপিটে দাঁড়িয়ে আছি। নড়াচড়া করলেই মৃত্যু। অসীম কুয়াশা জাগে শূন্যতায়। রাত পোহালেই মৃত্যুর মিছিল চলেছে খবরের পাতায় পাতায়। অশান্ত রাতের শ্রান্তসফর শেষ কবে হবে? জানা নেই। কালো দিগন্তে আমরা এসে পড়েছি। ব্যথিত মনে ঝড়ের পূর্বাভাস পাচ্ছি। অস্ফুট হয়ে ক্রমে ক্রমে ডুবে যাচ্ছে, জীবনের ডিঙ্গি নৌকা। আমি দাঁড় টানতে ভুলে যাচ্ছি। সামনে শুধু অসীম কুয়াশা । রাত বড় গভীর গম্ভীর। দিনের আলো তাও আরো যেন গাঢ় অন্ধকার। কুয়াশা আর কুয়াশা। চলেছি কোথায়? কোন সীমাহীন অরন্যে? দুর্ভাগ্যের বিস্বাদ শর্বরী। , ঘরে ঘরে উঠবে ক্রন্দনধ্বনি। মাঠে চাষ নেই। চাষীরা ঘরে। জ্বরের ভয়ে লুকিয়ে। নইলে যে গুপ্তঘরে গুম হয়ে যাবে। হাহাকার ! ওটা কি বাতাসের হাহাকার,- নাকি ক্ষুধিতের হাহাকার? ওটা কি পাঁজরে বাজছে মৃত্যুর জয়ভেরী। কৈফিয়তের তীব্র ভ্রুকুটি - জাগো জনগণ ক্ষুধিত মুখের নীরব ভ্রুকুটি দেখো। আসছে আকালের বার্তা নিয়ে চেয়ে দেখো জনগণ। দেখো চেয়ে, দেখো সূর্য ওঠার আর কত দেরি, আর কত দ...

।।বাংলা ও বাঙালি।।

।।বাংলা ও বাঙালি।। দেবপ্রসাদ জানা ১৭,৫,২০২০ কাকের বাসায় জন্মেছে বলে কোকিল কখনো কাক হয়ে যায়নি। কুহু কুহু ডাক ছেড়ে কাকের মতো কা কা রবে গায় নি। তবে কেন মানুষ অন্যের বাসায় অন্যের মতো হয়। অন্য দেশে অন্য মানুষের মতো কথা কয়। নিজের ভাষা ভুলে গিয়ে হায় আপাদমস্তক মুখোশের আড়ালে থাকি। অন্যের বাসায় অন্যের মতো করে ভাষায় অভ্যন্তরস্থ করে রাখি। সুদূর পশ্চিম হতে সাগর নদ নদী পাহাড় পরিয়ে আশে কত বিদেশিরা। তাদের ভাষায় টান পড়ে না একটুও শুধু টান পড়ে বাংলা ভাষা ভাসি থাকে যারা। ভুলে যাই ভাষার মাধুর্য্য ভাষার ঐতিহ্য বিষন্নতার ঘোর কুয়াশায় আবছা হয়ে যায় মন। আকৃতি প্রকৃতিহীন অন্যান্য শব্দসত্তা বাংলা ভাষায় ঢুকে পড়ে যখন তখন। অনুর্বর স্বরচিত শব্দও ভিড় করে আছে নির্জনে ভাষার অভ্যন্তরে অজান্তে। এটা কেন? এমন কেন হয়? শব্দ ভান্ডারে কি এতোই অভাব বাংলা ভাষার দিগন্তে ? এই অপরিচ্ছন্ন অপরিণত শব্দের তান্ডবে বাংলা শব্দের বুকে লেগে যাচ্ছে যক্ষ্মা। বাংলা ভাষার বিস্তৃত স্বর্ণভূমির শব্দ ভান্ডারে ঘুন পোকার উৎপাত,রক্ষা করো রক্ষা।

।।প্রিয়তমা প্রকৃতি।।

।।প্রিয়তমা প্রকৃতি।। কলমে -দেবপ্রসাদ জানা ১৮,৫,২০২০ বিশ্বপিতা সূর্যদেবের লেখা একটা চিঠি।। প্রিয়তমা প্রকৃতি, বহুদিন হয়ে গেল তোমার কোন খবর আমাকে দাও না। জানি তোমার রাগ হওয়াটা স্বাভাবিক, দেখো আমি তোমাদের থেকে সাড়ে ন হাজার মাইল দূরে। সব সময় এত দূর থেকে তোমার খবর নেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। তা বলে আমি তোমাকে ভুলে যাই নি। প্রকৃতি তুমি ভালো আছো তো? আর তোমার ছেলে মেয়েরা তারা? রোদ্দুর,বাতাস,আর ঋতু? আর তারা? কেমন আছে? আর তোমার নাতি নাতনিরা? গ্রীষ্ম,বর্ষা,শরৎ,হেমন্ত,শীত বসন্ত। ওরা যে বড় দুরন্ত। পৃথিবী আর তুমি ঝগড়া করছ না তো? দেখো মনমালিন্যে কি হবে? শুনেছি পৃথিবীর ছেলেমেয়েরা এক মারন রাক্ষসের কবলে পড়েছে? উদ্ভিদ আর মানুষ। উদ্ভিদের নাকি ভীষন বিপদ। দাবানলের মতো এক আপদ, বাসা বেঁধেছে তার ঘরে। যখন তখন আষ্টেপৃষ্টে ধরে। তার ওপর দুজনের লড়াই তো সারাজীবন। তুমি একটুও করতে পারো না শাসন। এত বুদ্ধি ধরে মানুষ, বিপদ জেনেও গাছ কেটে জড়ো করে। বিপদটাকে জড়িয়ে ধরে। যতবার বলা হচ্ছে বাইরে বিপদ ঘুরছে। কঠিন ভাইরাস টপাটপ মানুষ মারছে। তবু শুনছে না তাই তো? জানি তোমার একার দ্বারা সম্ভব নয়। আসলে বিষন্নতায় ছুঁয়ে গেছে মন তাই খিদ...

।। মৃত্যুপুরী।।

।। মৃত্যুপুরী।। দেবপ্রসাদ জানা। ১৯,৫,২০২০ অভিশিক্ত হতে চাইছি চেতনায়। গ্রন্থিতে, গুহামুখে সুপ্ত বেদনায়।। বসে আছি স্তব্ধতায় পথ ছেড়ে নিরাশায়। কর্মহীন অকর্মণ্য নির্বাক নিঃসঙ্গতায়।। কেঁপে উঠি আত্মার বুক ফাটা বেদনায়। এতদিন আত্মস্থ থেকেছি বোবা কান্নায়। অহঙ্কার প্রতিপত্তি কীর্তি যশ। আজ ভাইরাসের হাতে বশ। রক্তাক্ত চোখে রোদ্রছায়ায় অলিতে গলিতে। দুয়ারে পথে প্রান্তরে আর গরীবের খুলিতে।। আকাশে বাতাসে শুধু তেড়ে আসছে ভয়। কেঁপে উঠি টের পাই যেন আর বেশী দিন নয়।। ভেতরে ভেতরে নশ্বরতার নৈঃশব্দ্য মহামারী। হাত ছানি, কি কঠিন দৃষ্টিপাত প্রান যাবে ছাড়ি।। তুচ্ছতার আগুনে পুড়িয়ে জ্বালিয়ে ঝলসে দিতে চাইছে। গত একশ বছরের ঋণ একসাথে শোধ নিতে চাইছে।। মৃত্যুর ছোঁয়ায় পরিপূর্ণ আধাঁর পৃথিবীর সবটা। চিতার আগুন একটা নেভার আগে আর একটা। কবরের মাটি, একবার ফেলা শেষ হতে না হতে। সেই ক্ষনে আর একটা লাশ কবরে হচ্ছে দিতে।। গত একশ বছরে একবার ম্যানমেড মহামারী। হ্যাঁ ম্যানমেড, ইঙ্গিত দিচ্ছে অনবরত তারি।। পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষার নিষ্ঠুর আয়োজন। মানুষ মানুষকে মেরে পাশবিকতার নিদর্শন।। হে মৃত্যুর দূত রক্ষা করো,ক্ষমা করো সবে। তোমার থাবায় এ পৃথিবী সন...

।।ভুলে যাব সব।।

।।ভুলে যাব সব।। দেবপ্রসাদ জানা ২০,৫,২০২০ সব ভুলে যাব একদিন চলতে চলতে। সময়ের সাথে লুকোচুরি খেলতে খেলতে।। ভুলে কি যাব তোমার দেওয়া ব্যথা গুলো। ভুলে কি যাব ভোরের দেখা স্বপ্ন গুলো।। ভুলে যাব পৃথিবীর এই অসুস্থতার কথা। ভাইরাসের গড়া মহা তান্ডবের কথা। হয়তো একশ বছর পরে আরো এক মহামারী তোমার শহীদ হওয়ার কথা স্মরন করাবে তারই। হয়তো পৃথিবী আবার অন্যরকম হবে। হয়তো পৃথিবীর গায়ে বরফের চাদর রবে।। শীতল শীতল ঠান্ডা পৃথিবী চাঁদের মত জোছনায় ভরা রূপালী আলোর মত।। সে এক অন্য পৃথিবী দিয়ে দেখবো ভুলে যাব সব এই আকালের কথা যেমন ভুলে গেছি তোমার মায়া যেমন ভুলে গেছি বিশ্ব যুদ্ধের কথা। রাম রাবন বাবর আকবর শের খাঁ প্লেগ কলেরা কালাজ্বর আর করোনা ভুলে যাব সব স্বজন হারানোর বেদনা। সময়ের সঙ্গে লুকোচুরি খেলে, ভেবো না। হয়তো একদিন শরীরে ছুঁয়ে যাবে মৃত্যুর নিঃশ্বাস হয়তো পথ চলার গতি একদিন হয়ে যাবে হ্রাস। পৃথিবীর কোন এক প্রান্তে হয়তো আসবে তুফান আজকের পৃথিবী হতে নিয়ে যাবে সহস্র প্রান। সব ভুলে যাব একদিন শুধু ভুলব না তোমাকে। তুমি যে ভালোবেসে আড়ালে ছুরি মেরে ছিলে।। প্রত্যাশায় আমৃত্যু দিন গুনে গেছি, আজো গুনছি তুমি আসবে ভালোবাসবে,সেদিন বলেছ...

।।নতুন সূর্যোদয়।।

Image
।।নতুন সূর্যোদয়।। দেবপ্রসাদ জানা ২১,৫,২০২০ দেখো সুন্দর এসেছে দরজায়, পৃথিবীর দরজায়। আপ্যয়ন করো সবে, পৃথিবী আবার সুন্দর হবে। ফুল দেবে ফল দেবে মুক্ত বাতাসে দেবে অক্সিজেন আকাশ দেবে নীল, পৃথিবী আবার সুন্দর হবে। সুন্দর ডাকছে হাঁক পেড়ে দরজায় দরজায় বন্দী যারা ঘরের জেলে, ভাইরাসে ভীত বহুদিন । সাড়া দাও তারা যে যেথা আছো লুকিয়ে এতদিন উদভ্রান্ত পথিকের মত সুন্দর শুধু ঘুরে বেড়ায়। আজ বাতাসে ধুলিকণা নেই, গ্রীষ্মের তেমন উত্তাপ নেই। বাতাসে নেই বিষাক্ত ধোঁয়া, নদীতে নেই বিষাক্ত কালো জল। দেখো চেয়ে সুন্দর এসেছে,ঘাষের ডগায় শিশিরের টলমল। গোটা পৃথিবী হাসছে, আর কোন নালিশ করতে নেই। পাহাড়ের গায় বরফের মুক্তো হাসি আছে দেখবার সোনালী সূর্য করে লুকোচুরি খেলে যায় দেদার। বসন্ত থাকুক বা না থাকুক পৃথিবী হাসছে আবার পৃথিবী ভরা খুশি ছন্দে আনন্দে ফিরেছে এবার। কি হয়েছে যদি একটা ঝড় আসে আমফান কি হয়েছে মাসটা না হয় রমজান। কি হয়েছে বৃষ্টি না হয় একটু বেশিই করেছে দান কি হয়েছে শাশ্বত নক্ষত্রের দেশে কিছু দিয়েছে প্রান তবুতো সুন্দর এসেছে দুয়ারে দুয়ারে গোপনে ভরে গেছে আকাশ তারায় তারায়। শুকনো পাথরে জেগে উঠেছে সবুজ এতদিন যে প্রত্যাশায...

ছিঃ লজ্জা

।।ছিঃ লজ্জা।। দেবপ্রসাদ জানা    ১২,৫,২০২০ ছিঃ লজ্জা -ছিঃ লজ্জা- আমরা পুরুষ?  আমরা যারা বড়াই করি,আমরা পুরুষ।। সমাজের ধারক ও বাহক-তাদের ছিঃ। বিষন্নতায় পাগল একটা সমাজ ছিঃ।। আপাদমস্তক মুখোশের আড়ালে রেখে পরিহাস। জীবনের গোপনতম পাপের নিভৃতে সহবাস।। বিগলিত সত্তার তাপে সমুদ্র মন্থন উলম্ব প্রস্তরে। নক্ষত্র জেগে ওঠে প্রতিদিন নক্ষত্রের ভেতরে।। সে মরা নদীর স্রোত হোক আর উজান ভরা বন্যা জীবনের প্রকৃত ধর্ম প্রাকৃতিক, ধরিত্রী কন্যা।। এর পর  মা বোনেদের হাতে কন্ডম দিয়ে বলতে হবে। যাও এটা নিয়ে, সামনে অনেক পুরুষ দেখবে।। কন্ডম ধরিয়ে দেবে হাতে তাদের। বলবে আসুন। ধর্ষণ করো,  মন ভরে গেলে, গায়ে আগুন।। নাকি বলবে - যদি ভয় পাও, আমাকে যেন হত্যা কোরো না। দোহাই তোমরা আমাকে যেন পুড়িয়ে মেরো না। ছিঃ লজ্জা। তোমরা না সমাজ গড়ো, বিদ্যে বুদ্ধি ধরো,? এমন কথা কেমন করে উচ্চারণ করতে পারো?

ক্ষুধার রাজ্য

কবিতা-ক্ষুধার রাজ্য কলমে-দেবপ্রসাদ জানা ৯,৫,২০২০ প্রতিধ্বনিময় রৌদ্রাক্ত মাঠে ওরা নেই এই বৈশাখে। জীবনের সব ছন্দপতন যে মৌন স্তব্ধ করে রাখে। স্বপ্নের আলপথে হাঁটা নেই রাজপথে মিছিল নেই। শুধু ক্ষুধার রাজ্যে মিছিলের বিরতি নেই। শব্দ সংখ্যা -২৮

শিক্ষা

।।শিক্ষা।। দেবপ্রসাদ জানা ৭,৫,২০২০ বড় অচেনা লাগছে পৃথিবীটা। ভেঙ্গে চুরে অসুখে উত্তাপে ভাইরাসে বোধশুন্য। একটা মহাপ্রলয়ের পরে ধ্বংসস্তুপ। একটা হিমশীতল ঠান্ডা যুদ্ধ মনের গভীরে বাসা করছে। প্রাচীন নিদর্শন গুলো হারিয়ে যাচ্ছে নীল অন্ধকারে নীল কেন? আসলে আঁধার আজকাল কালো হয় না। সে লুকিয়ে থাকে আলোর ভেতরে। তাই নীল। শিক্ষা সেও ঐ নীল আলোয় উচ্ছাসের উষ্ণতায় গা ভেজাচ্ছে। পরিচিত অপরিচিত ফেরিওয়ালার ঝুড়িতে। এখন আবার অনলাইনেও ক্যাস অন ডেলিভারি। আগে ক্যাস পরে প্যাকেট খুলতে হয়। যদিও শিক্ষকের বিশ্বাসযোগ্য সিলমোহর করা। ঠকবার চান্স একেবারে নেই বললে চলে। একে তো লক্ ডাউন কোম্পানিতে তালা। বসেরা সব দুই কানে কালা। সরকার বাহাদুর বলেই খালাস সব ফ্রি। দশম থেকে চতুর্থ,ওয়ান টু থ্রি। চলছে পড়া অনলাইনে ওয়াট্স অ্যাপ ম্যাসেঞ্জারে গোটা কয়েক প্রশ্ন আর তার সমাধান। পরে তিন মাসের শিক্ষা দানের মজুরী চান। অদ্ভুত কারিগরি বাঃ বারে শিক্ষা এসব কি? দূর্যোগের দিনেও কেমন চালাকি। খুব গোপনে শান্ত মর্মধ্বনি শিক্ষার ভেতরে চেতনার নিঃশব্দ জোচ্চুরি। বেকার জনতা মরো বাঁচো বের হও মুখে রুমাল বেঁধে। ভাইরাসের থেকেও আরো বি...

অন্য রবীন্দ্রনাথ

।।অন্য রবীন্দ্রনাথ।।    দেবপ্রসাদ জানা         ৮,৫,২০২০ তোমরা না আমাকে ফুলের শয্যায় রেখেছিলে? শতাব্দীর দ্বারে দ্বারে স্তম্ভ বানিয়ে বসন্তের বসন্ত ফুল দিয়ে সাজিয়ে। আমি ঘুমিয়েছিলাম নিশ্চিতে স্বপ্ন নিয়ে কি প্রশান্ত,পরিতৃপ্ত সে ঘুম। সেই ফাঁকে তোমরা আমার নোবেল ছিনিয়ে নিলে। গানে দিলে অশ্লীলতার ছোঁয়া। এই নাকি তোমরা ভালোবাসো আমায়। ফুল গুলো কি সব কাঁটা হয়ে গেল পাপড়ি গুলো কেন এমন বিষাক্ত তীরের মতো বিঁধছে।। তোমরা ঘটা করে আমার জন্মদিন পালন করো। আমার তৈরী খাবার আমাকেই খাওয়াও। কেন? আমার লেখা গান, আমার লেখা কবিতা গল্প নাটক দিয়ে আমার ই মনোরঞ্জন করতে চাও। পঁচিশে বৈশাখী! আমি একা করিডরে, দীর্ঘ প্রান্তরের এক কোনে। অথবা রাস্তার মোড়ে ধুলো বালি মেখে আমার স্মৃতিস্তম্ভ। রোদ বৃষ্টি ঝড়, একটা ঢাকা নেই, মাথার ওপর উন্মুক্ত আকাশ। আমার সর্বাঙ্গের মালা গুলো যেন বিষধর কাল সাপ। এই কোথায় ঘুম ভাঙল আমার,এ কোন পৃথিবী? এ কোন দেশ? যে দেশে আমি ফুল দেখেছি নদী নালা সমুদ্রের সৌন্দর্য দেখেছি, বনে জঙ্গলে সবুজের ছবি এঁকেছি। সুরের ডালি দিয়ে সাজিয়ে ছিলাম পাখিদের গান। কোকিলের ড...